মঙ্গলবার ও নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ইশরাক সমর্থকরা -সংবাদ
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে এবার নগর ভবনের সামনের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করছেন ডিএসসিসির কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার,(২৭ মে ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে আদালতের রায়ের অপেক্ষায় সরকার
নগর ভবনের সব ফটকে এখনও তালা, গত ১৫ মে থেকে সব সেবা বন্ধ রয়েছে
দুপুর ১২টার পর ঢাকার দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ইশরাকের সমর্থকরা নগর ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভে অংশ নেন। ওই সময় তারা ‘শপখ শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’, ‘মেয়র নিয়ে টালবাহানা, সহ্য করা হবে না’, ‘চলছে লড়াই চলবে, ইশরাক ভাই লড়বে’, ‘নগর পিতা ইশরাক ভাই, আমরা তোমার ভুলি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান ধরেন।
এর ফলে নগর ভবনের সামনের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়, এতে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ইশরাক সমর্থকদের অবস্থানের কারণে হাইকোর্ট মোড় থেকে গুলিস্তানমুখী সড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হতে দেখা গেছে।
ইশরাকের শপথ এখন ‘আদালতের বিচারাধীন বিষয়’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর বিষয়টিকে এখন ‘আদালতের বিচারাধীন বিষয়’ বলছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ কারণে স্থানীয় সরকার বিভাগ আদালতের রায়ের অপেক্ষায়।মঙ্গলবার, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এ দিন বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আইন অধিশাখা থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ইশরাক হোসেনের শপথ পড়ানোর বিষয়ে ২২ মে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট খারিজ হয়। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ শপথ পড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল।
এ অবস্থায় গত ২৫ মে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে ইশরাক হোসেন নিজে তার আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এছাড়া ২২ মে রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে ২৬ মে একজন নাগরিকের পক্ষে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দাখিল করা হয়। এর ফলে সর্বোচ্চ আদালতে এটি একটি বিচারাধীন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে তাই স্থানীয় সরকার বিভাগ ইশরাক হোসেনের শপথ পাঠের ক্ষেত্রে আদালতের রায়ের অপেক্ষমাণ রয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন ইশরাক।
‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। টানা আন্দোলন ও কর্মসূচির কারণে সিটি করপোরেশনের সব ধরনের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ আছে। এজন্য নাগরিক সেবায় যে ধরনের ভোগান্তি তৈরি হয়েছে, যার দায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ওপর দিয়েছেন ইশরাক সমর্থকরা।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে
বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ।
এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ইশরাক সমর্থকরা লাগাতার আন্দোলনে নামলেও আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ফেইসবুক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন ইশরাক। তার সমর্থকরাও একই দাবি তোলেন।
গত বৃহস্পতিবার ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট মামলা খারিজ করে দেয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কী উদ্যোগ নেয় তা পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে সেদিন আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন ইশরাক।
সে সময় শেষ হওয়ার পর ইশরাকের সমর্থকরা গত শনিবার থেকে ফের নগর ভবনে অবস্থান নিয়েছেন। এরপর ইশরাকের শপথ আটকাতে গতকাল সোমবার আপিল বিভাগে যান রিটকারী আইনজীবী মামুনুর রশিদ। বিএনপির এই নেতাকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজের যে আদেশ হাইকোর্ট দিয়েছে, তা স্থগিত চেয়ে সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন তিনি।
একই দিনে শপথ নেয়াতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে ‘তাগিদ নোটিশ’ পাঠিয়েছেন ইশরাক হোসেনের আইনজীবী মাহাবুব উদ্দীন খোকন।
নগর ভবনের প্রবেশের সব ফটকে এখনও তালা ঝুলছে। ভেতরে সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিক্ষোভ শুরুর পর দিন ১৫ মে থেকে সব সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। কর্মকর্তারাও নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারছেন না।
মঙ্গলবার ও নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ইশরাক সমর্থকরা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে এবার নগর ভবনের সামনের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করছেন ডিএসসিসির কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার,(২৭ মে ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে আদালতের রায়ের অপেক্ষায় সরকার
নগর ভবনের সব ফটকে এখনও তালা, গত ১৫ মে থেকে সব সেবা বন্ধ রয়েছে
দুপুর ১২টার পর ঢাকার দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ইশরাকের সমর্থকরা নগর ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভে অংশ নেন। ওই সময় তারা ‘শপখ শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’, ‘মেয়র নিয়ে টালবাহানা, সহ্য করা হবে না’, ‘চলছে লড়াই চলবে, ইশরাক ভাই লড়বে’, ‘নগর পিতা ইশরাক ভাই, আমরা তোমার ভুলি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান ধরেন।
এর ফলে নগর ভবনের সামনের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়, এতে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ইশরাক সমর্থকদের অবস্থানের কারণে হাইকোর্ট মোড় থেকে গুলিস্তানমুখী সড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হতে দেখা গেছে।
ইশরাকের শপথ এখন ‘আদালতের বিচারাধীন বিষয়’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর বিষয়টিকে এখন ‘আদালতের বিচারাধীন বিষয়’ বলছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ কারণে স্থানীয় সরকার বিভাগ আদালতের রায়ের অপেক্ষায়।মঙ্গলবার, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এ দিন বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আইন অধিশাখা থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ইশরাক হোসেনের শপথ পড়ানোর বিষয়ে ২২ মে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট খারিজ হয়। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ শপথ পড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল।
এ অবস্থায় গত ২৫ মে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে ইশরাক হোসেন নিজে তার আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এছাড়া ২২ মে রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে ২৬ মে একজন নাগরিকের পক্ষে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দাখিল করা হয়। এর ফলে সর্বোচ্চ আদালতে এটি একটি বিচারাধীন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে তাই স্থানীয় সরকার বিভাগ ইশরাক হোসেনের শপথ পাঠের ক্ষেত্রে আদালতের রায়ের অপেক্ষমাণ রয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন ইশরাক।
‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। টানা আন্দোলন ও কর্মসূচির কারণে সিটি করপোরেশনের সব ধরনের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ আছে। এজন্য নাগরিক সেবায় যে ধরনের ভোগান্তি তৈরি হয়েছে, যার দায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ওপর দিয়েছেন ইশরাক সমর্থকরা।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে
বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ।
এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ইশরাক সমর্থকরা লাগাতার আন্দোলনে নামলেও আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ফেইসবুক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন ইশরাক। তার সমর্থকরাও একই দাবি তোলেন।
গত বৃহস্পতিবার ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট মামলা খারিজ করে দেয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কী উদ্যোগ নেয় তা পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে সেদিন আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন ইশরাক।
সে সময় শেষ হওয়ার পর ইশরাকের সমর্থকরা গত শনিবার থেকে ফের নগর ভবনে অবস্থান নিয়েছেন। এরপর ইশরাকের শপথ আটকাতে গতকাল সোমবার আপিল বিভাগে যান রিটকারী আইনজীবী মামুনুর রশিদ। বিএনপির এই নেতাকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজের যে আদেশ হাইকোর্ট দিয়েছে, তা স্থগিত চেয়ে সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন তিনি।
একই দিনে শপথ নেয়াতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে ‘তাগিদ নোটিশ’ পাঠিয়েছেন ইশরাক হোসেনের আইনজীবী মাহাবুব উদ্দীন খোকন।
নগর ভবনের প্রবেশের সব ফটকে এখনও তালা ঝুলছে। ভেতরে সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিক্ষোভ শুরুর পর দিন ১৫ মে থেকে সব সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। কর্মকর্তারাও নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারছেন না।