রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাপার কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র পদে পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার,(২৮ মে ২০২৫) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে নগরবাসী। সেই সঙ্গে সমাবেশ থেকে ৭ দিনের আলটিমেটাম ঘোষণা করা হয়েছে। মেয়র ও সকল কাউন্সিলরকে পুনর্বহাল করা না হলে ঈদের পর পরই লাগাতার অবস্থানসহ রংপুর অচল করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় কঠোর পুলিশী পাহারায় নগরীর শাপলা চত্বর থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার
নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। রংপুর মহানগরবাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর মিছিলকারীরা নগরীর সিটি বাজারসংলগ্ন রংপুর সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে স্লোগান দেয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি বলেন দেড় লাখ ভোট পেয়ে তিনি রংপুর সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। একইভাবে ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরাও নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হোসনে আরা ডালিয়া মাত্র ২২ হাজার ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। তিনি চতুর্থ হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়াল তিনি ৪৯ হাজার ভোট পেয়েছেন।
অথচ ৫ আগস্টের পর কোনো কারণ ছাড়াই রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণ করে একজন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ প্রশাসক রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই প্রশাসক ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না। করপোরেশনে আসেন না তিনি সার্কিট হাউজে বসে টাকা নিয়ে ফাইল সই করেন। ফলে নগরবাসী সব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এখন অবস্থা এমনি পর্যায়ে উপনীত হয়েছে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারের লুটপাট করেপোরেশনকে ধংসের দ্বারপ্রান্তে এনে ফেলেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে করপোরেশন ভবনের ইট-পাথর লুট হয়ে যাবে।
সাবেক মেয়র বলেন, ইশরাককে মেয়র পদে পুনর্বহালকে স্বাগত জানিয়ে তাকে অবিলম্বে দায়িত্ব দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মেয়র ডা. শাহাদত ভোট বর্জন করার পরেও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। এখনও সারাদেশে অনেক ইউপি চেয়ারম্যান নৌকা, লাঙ্গল, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে দায়িত্ব পালন করছে। তাকে অন্যায়ভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করে বলেন, এখন বলা হয় ওই সময় দিনের ভোট রাতে করা হয়েছে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্বাচন তো জেলা প্রশাসক আর বিভাগীয় কমিশনাররাই করেছে। জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পারবো না এটা মেনে নেয়া যায় না।
তিনি বর্তমান সরকারকে অথর্ব আখ্যায়িত করে বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার কথা বলে এখন সরকার নির্বাচন দিচ্ছে না আমাদের সরিয়ে মহা দুর্নীতিবাজকে প্রশাসক পদে বসিয়েছে। নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করে বেআইনি কাজ করেছে এই সরকার। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৭ দিনের মধ্যে তাকেসহ সব কাউন্সিলরকে পুনর্বহাল করা না হলে ঈদের পরে লাগাতারভাবে করপোরেশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন। সমাবেশে কাউন্সিলর মোকলেসুর রহমান তরু, ফজলুল হকসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। বিক্ষোভ মিছিলকারীরা সাবেক মেয়র মোস্তফার ছবি নিয়ে মিছিল করেছে। মিছিলে মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এস এম ইয়াসির, জেলা জাপার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির জেলা মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীসহ নগরবাসী অংশ নেন।
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাপার কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র পদে পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার,(২৮ মে ২০২৫) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে নগরবাসী। সেই সঙ্গে সমাবেশ থেকে ৭ দিনের আলটিমেটাম ঘোষণা করা হয়েছে। মেয়র ও সকল কাউন্সিলরকে পুনর্বহাল করা না হলে ঈদের পর পরই লাগাতার অবস্থানসহ রংপুর অচল করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় কঠোর পুলিশী পাহারায় নগরীর শাপলা চত্বর থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার
নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। রংপুর মহানগরবাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর মিছিলকারীরা নগরীর সিটি বাজারসংলগ্ন রংপুর সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে স্লোগান দেয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি বলেন দেড় লাখ ভোট পেয়ে তিনি রংপুর সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। একইভাবে ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরাও নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হোসনে আরা ডালিয়া মাত্র ২২ হাজার ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। তিনি চতুর্থ হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়াল তিনি ৪৯ হাজার ভোট পেয়েছেন।
অথচ ৫ আগস্টের পর কোনো কারণ ছাড়াই রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণ করে একজন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ প্রশাসক রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই প্রশাসক ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না। করপোরেশনে আসেন না তিনি সার্কিট হাউজে বসে টাকা নিয়ে ফাইল সই করেন। ফলে নগরবাসী সব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এখন অবস্থা এমনি পর্যায়ে উপনীত হয়েছে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারের লুটপাট করেপোরেশনকে ধংসের দ্বারপ্রান্তে এনে ফেলেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে করপোরেশন ভবনের ইট-পাথর লুট হয়ে যাবে।
সাবেক মেয়র বলেন, ইশরাককে মেয়র পদে পুনর্বহালকে স্বাগত জানিয়ে তাকে অবিলম্বে দায়িত্ব দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মেয়র ডা. শাহাদত ভোট বর্জন করার পরেও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। এখনও সারাদেশে অনেক ইউপি চেয়ারম্যান নৌকা, লাঙ্গল, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে দায়িত্ব পালন করছে। তাকে অন্যায়ভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করে বলেন, এখন বলা হয় ওই সময় দিনের ভোট রাতে করা হয়েছে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্বাচন তো জেলা প্রশাসক আর বিভাগীয় কমিশনাররাই করেছে। জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পারবো না এটা মেনে নেয়া যায় না।
তিনি বর্তমান সরকারকে অথর্ব আখ্যায়িত করে বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার কথা বলে এখন সরকার নির্বাচন দিচ্ছে না আমাদের সরিয়ে মহা দুর্নীতিবাজকে প্রশাসক পদে বসিয়েছে। নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করে বেআইনি কাজ করেছে এই সরকার। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৭ দিনের মধ্যে তাকেসহ সব কাউন্সিলরকে পুনর্বহাল করা না হলে ঈদের পরে লাগাতারভাবে করপোরেশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন। সমাবেশে কাউন্সিলর মোকলেসুর রহমান তরু, ফজলুল হকসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। বিক্ষোভ মিছিলকারীরা সাবেক মেয়র মোস্তফার ছবি নিয়ে মিছিল করেছে। মিছিলে মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এস এম ইয়াসির, জেলা জাপার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির জেলা মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীসহ নগরবাসী অংশ নেন।