এ পর্যন্ত মোট ১০৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবির শক্ত অবস্থান, সঙ্গে স্থানীয়রা
দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আরও ১৩৭ জনকে ঠেলে পালালো ভারত। এরমধ্যে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধা দিয়ে ৩৬ জন, আদিতমারি দিয়ে ৫৫ জন, সিলেট জৈন্তাপুর দিয়ে ৬৬ জন ও সুনামগঞ্জের ছাতক দিয়ে ১৬ জনসহ মোট ১৩৭ জনকে ভারত থেকে ঠেলে পাঠালো। এ নিয়ে মোট এক হাজার ৫৩ জনকে ঠেলে পাঠালো ভারত। বর্ডারগার্ড বিজিবির একাধিক সূত্রে এই সব তথ্য জানা গেছে। বিজিবি সূত্র জানায়, গত ৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত খাগড়াছড়ি দিয়ে ১১১ জন, কুড়িগ্রাম দিয়ে ৮৪ জন,সিলেট দিয়ে ১০৩ জন, মৌলভী বাজার দিয়ে ৩৩১ জন, হবিগঞ্জ দিয়ে ১৯ জন, সুনামগঞ্জ দিয়ে ১৬ জন, দিনাজপুর দিয়ে ২জন, চাপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে ১৭ জন, ঠাকুরগাঁও দিয়ে ১৯জন, পঞ্চগড় দিয়ে ৩২ জন, চুয়াডাঙ্গা দিয়ে ১৯জন, ঝিনাইদাহ দিয়ে ৪২ জন, কুমিল্লা দিয়ে ১৩ জন, ফেনী দিয়ে ৩৯ জন, সাতক্ষীরা দিয়ে ২৩ জন, মেহেরপুর দিয়ে ৩০ জন। এছাড়াও সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া এলাকা দিয়ে ৭৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারত।
ঠেলে পাঠানোর ঘটনায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ঠেলে পাঠানো রোধে বিজিবি সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা বাড়িয়েছে।
বুধবার,(২৮ মে ২০২৫) সংবাদের লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, লালমনিরহাটে সীমান্ত দিয়ে ৫৭ ব্যক্তিকে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা (পুশইনের চেষ্টা) করলে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সীমান্তবাসী ও বিজিবি জানায়, ভোররাত থেকে জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে আসাম রাজ্যের কিছু মুসলিম নাগরিকদের পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। ব্যর্থ হয়ে তাদের সীমান্তের শূন্য রেখায় ফেলে চলে যায়।
এ অবস্থায় পুশইন রোধে সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি। এ সময় বিজিবিকে সাহস দিতে লাঠিসোঁটা হাতে তাদের পাশে দাঁড়ান এলাকাবাসী। এতে ভোররাত থেকে চেষ্টা করেও ওই সব ভারতীয় আসাম রাজ্যের মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি।
তবে শূন্যরেখায় অবস্থান নেয়াদের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শূন্যরেখায় অবস্থান নেয়া ভারতীয় নাগরিকরা জানিয়েছেন, তারা সবাই আসাম রাজ্যের নাগরিক। সেখানে তাদের জায়গা-জমি বাড়ি-গাড়ি সবই রয়েছে। তাদের পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে শূন্যরেখায় ফেলে গেছে বিএসএফ।
বিজিবি রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাব্বির আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে এপারে পাঠানো লোকজন ভারতের আসামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বিএসএফকে পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের ফেরত নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিএসএফ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। পুশইন রোধে সতর্ক রয়েছে বিজিবি বলেও জানান তিনি।
লালমনিরহাট অধিনায়ক লে. কর্নেল, ব্যাটালিয়ন ১৫ বিজিবি মেহেদী ইমাম বলেন, গভীর রাতে সীমান্ত দিয়ে কোনো মানুষ ঠেলে দেয়া উচিত নয়। যদি কেউ বাংলাদেশি হয়ে থাকে তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করা হবে। কোনো ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে ঠাঁই দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা আসে না। এসব বিষয়ে করা প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এ পর্যন্ত মোট ১০৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবির শক্ত অবস্থান, সঙ্গে স্থানীয়রা
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আরও ১৩৭ জনকে ঠেলে পালালো ভারত। এরমধ্যে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধা দিয়ে ৩৬ জন, আদিতমারি দিয়ে ৫৫ জন, সিলেট জৈন্তাপুর দিয়ে ৬৬ জন ও সুনামগঞ্জের ছাতক দিয়ে ১৬ জনসহ মোট ১৩৭ জনকে ভারত থেকে ঠেলে পাঠালো। এ নিয়ে মোট এক হাজার ৫৩ জনকে ঠেলে পাঠালো ভারত। বর্ডারগার্ড বিজিবির একাধিক সূত্রে এই সব তথ্য জানা গেছে। বিজিবি সূত্র জানায়, গত ৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত খাগড়াছড়ি দিয়ে ১১১ জন, কুড়িগ্রাম দিয়ে ৮৪ জন,সিলেট দিয়ে ১০৩ জন, মৌলভী বাজার দিয়ে ৩৩১ জন, হবিগঞ্জ দিয়ে ১৯ জন, সুনামগঞ্জ দিয়ে ১৬ জন, দিনাজপুর দিয়ে ২জন, চাপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে ১৭ জন, ঠাকুরগাঁও দিয়ে ১৯জন, পঞ্চগড় দিয়ে ৩২ জন, চুয়াডাঙ্গা দিয়ে ১৯জন, ঝিনাইদাহ দিয়ে ৪২ জন, কুমিল্লা দিয়ে ১৩ জন, ফেনী দিয়ে ৩৯ জন, সাতক্ষীরা দিয়ে ২৩ জন, মেহেরপুর দিয়ে ৩০ জন। এছাড়াও সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া এলাকা দিয়ে ৭৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারত।
ঠেলে পাঠানোর ঘটনায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ঠেলে পাঠানো রোধে বিজিবি সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা বাড়িয়েছে।
বুধবার,(২৮ মে ২০২৫) সংবাদের লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, লালমনিরহাটে সীমান্ত দিয়ে ৫৭ ব্যক্তিকে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা (পুশইনের চেষ্টা) করলে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সীমান্তবাসী ও বিজিবি জানায়, ভোররাত থেকে জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে আসাম রাজ্যের কিছু মুসলিম নাগরিকদের পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। ব্যর্থ হয়ে তাদের সীমান্তের শূন্য রেখায় ফেলে চলে যায়।
এ অবস্থায় পুশইন রোধে সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি। এ সময় বিজিবিকে সাহস দিতে লাঠিসোঁটা হাতে তাদের পাশে দাঁড়ান এলাকাবাসী। এতে ভোররাত থেকে চেষ্টা করেও ওই সব ভারতীয় আসাম রাজ্যের মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি।
তবে শূন্যরেখায় অবস্থান নেয়াদের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শূন্যরেখায় অবস্থান নেয়া ভারতীয় নাগরিকরা জানিয়েছেন, তারা সবাই আসাম রাজ্যের নাগরিক। সেখানে তাদের জায়গা-জমি বাড়ি-গাড়ি সবই রয়েছে। তাদের পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে শূন্যরেখায় ফেলে গেছে বিএসএফ।
বিজিবি রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাব্বির আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে এপারে পাঠানো লোকজন ভারতের আসামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বিএসএফকে পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের ফেরত নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিএসএফ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। পুশইন রোধে সতর্ক রয়েছে বিজিবি বলেও জানান তিনি।
লালমনিরহাট অধিনায়ক লে. কর্নেল, ব্যাটালিয়ন ১৫ বিজিবি মেহেদী ইমাম বলেন, গভীর রাতে সীমান্ত দিয়ে কোনো মানুষ ঠেলে দেয়া উচিত নয়। যদি কেউ বাংলাদেশি হয়ে থাকে তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করা হবে। কোনো ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে ঠাঁই দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা আসে না। এসব বিষয়ে করা প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।