দেশে গণতন্ত্রের পদযাত্রা পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে তিনি (জিয়াউর রহমান) শাহাদাৎ বরণ করেছেন সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা আজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি পদে পদে।’
তিনি এ-ও বলেন, ‘মনে রাখবেন, সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানের যে রাজনীতি শহীদ জিয়া রেখে গেছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯-০৫-২০২৫) রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে দলের আলোচনা সভায় ভিডিওকলে যুক্ত হয়ে এই বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।
শিগগিরই দেশে গণতন্ত্র ‘পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ হবে বলে আশা করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত দেখতে পাব- এই হোক শহীদ জিয়ার শাহাদাৎবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। এরপর সেনাপ্রধান হন জিয়াউর রহমান। ওই বছরের ৭ নভেম্বর ‘সিপাহি-জনতার বিপ্লবের’ পর রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এএসএম সায়েমের নেতৃত্বে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে জিয়া ক্ষমতা গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন ১৯৭৮ সালের ২১ এপ্রিল।
১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়া। সেদিনের ঘটনা স্মরণ করে জিয়ার স্ত্রী খালেদা বলেন, ‘প্রতি বছর মে মাসের এই দিনটি আমাদের পরিবারে আসে এক বেদনা-বিধুর স্মৃতি নিয়ে। এদিনে শুধু আমাদের পরিবার নয় বরং সমগ্র দেশই হয়ে উঠেছিলো বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করে তিনি এদেশের সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ্য করেছিলেন, সেই চট্টগ্রামে এক সফল, সৎ, দূরদর্শী প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘এদেশে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা, উন্নয়ন এবং নিজস্ব জাতীয়তাবাদ সৃষ্টির অনন্য রূপকার শহীদ জিয়া।’
জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীর এই আলোচনা সভা হয় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সভার প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া। এর আগে সবশেষ তিনি জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কারাগারে যাওয়ার আগে ২০১৭ সালে।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ছিলেন সভার প্রধান আলোচক। আর সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থানরত ফখরুলও সেখান থেকে ভিডিওকলে সভায় যুক্ত হন।
দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বক্তব্য দেন।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
দেশে গণতন্ত্রের পদযাত্রা পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে তিনি (জিয়াউর রহমান) শাহাদাৎ বরণ করেছেন সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা আজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি পদে পদে।’
তিনি এ-ও বলেন, ‘মনে রাখবেন, সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানের যে রাজনীতি শহীদ জিয়া রেখে গেছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯-০৫-২০২৫) রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে দলের আলোচনা সভায় ভিডিওকলে যুক্ত হয়ে এই বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।
শিগগিরই দেশে গণতন্ত্র ‘পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ হবে বলে আশা করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত দেখতে পাব- এই হোক শহীদ জিয়ার শাহাদাৎবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। এরপর সেনাপ্রধান হন জিয়াউর রহমান। ওই বছরের ৭ নভেম্বর ‘সিপাহি-জনতার বিপ্লবের’ পর রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এএসএম সায়েমের নেতৃত্বে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে জিয়া ক্ষমতা গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন ১৯৭৮ সালের ২১ এপ্রিল।
১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়া। সেদিনের ঘটনা স্মরণ করে জিয়ার স্ত্রী খালেদা বলেন, ‘প্রতি বছর মে মাসের এই দিনটি আমাদের পরিবারে আসে এক বেদনা-বিধুর স্মৃতি নিয়ে। এদিনে শুধু আমাদের পরিবার নয় বরং সমগ্র দেশই হয়ে উঠেছিলো বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করে তিনি এদেশের সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ্য করেছিলেন, সেই চট্টগ্রামে এক সফল, সৎ, দূরদর্শী প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘এদেশে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা, উন্নয়ন এবং নিজস্ব জাতীয়তাবাদ সৃষ্টির অনন্য রূপকার শহীদ জিয়া।’
জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীর এই আলোচনা সভা হয় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সভার প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া। এর আগে সবশেষ তিনি জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কারাগারে যাওয়ার আগে ২০১৭ সালে।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ছিলেন সভার প্রধান আলোচক। আর সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থানরত ফখরুলও সেখান থেকে ভিডিওকলে সভায় যুক্ত হন।
দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বক্তব্য দেন।