দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে এসব নারী-শিশুকে পুশইন করে বিএসএফ
দেশের সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো থামছে না। বৃহস্পতিবার (২৯-০৫-২০২৫) আরও ৪৩ জনকে সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারত। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিদের সংখ্যা ১১শ’ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিন এই সংখ্যা বাড়ছে।
সংবাদের দিনাজপুরের নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানিয়েছেন, জেলার বিরল উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে আটক করেছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিজিবি ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান। ঠেলে পাঠানো ওই ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন নারী ও দুইজন পুরুষ। আটককৃতরা জানিয়েছে, এক মাস আগে ভারতের বিভিন্ন স্থান হতে তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ।
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কর্তৃক ঠেলে পাঠানোর ঘটনা বেড়েছে।
বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। স্থানীয় জনগনই তাদেরকে সহযোগিতা করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, যাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সংবাদের সিলেট বিয়ানী বাজার প্রতিনিধি জানান, মাত্র চার দিনের ব্যবধানে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২১ জন বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। বিজিবি তাদের আটক করে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বেশিরভাগের বাড়ি নড়াইল জেলায়। এর আগে গত ২৫ মে একই সীমান্ত দিয়ে আরো ৩২ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। আটককৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা এবং ৮ শিশু। বৃহস্পতিবার ভোরে বিয়ানীবাজার সীমান্তের নওয়াগ্রাম এলাকা দিয়ে তাদের পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তারা সবাই ভারতে দিনমজুরের কাজ করতেন।
বিজিবি জানায়, ৫২ ব্যাটালিয়নের টহল দল সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ প্রবেশের সময় তাদের আটক করে। পরে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন বিয়ানীবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, ‘আটক সবাই বাংলাদেশি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
বিয়ানীবাজার থানার ওসি আশরাফ উজ্জামান বলেন, ‘২১ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’
সংবাদের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্ত দিয়ে আরও ৯ বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও পুরুষরা রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সীমান্তের ৯৪৫ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়। এদের সবার বাড়ি ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা বজরের খামার এলাকায়। কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে তারা ভারতে গিয়েছিল। কাশিপুর ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা ঠেলে দেয়া ওই ৯ নারী পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধীন কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহিদ জানান, ভারতীয় খেতাবের কুটি ও ঝিকরী ক্যাম্পের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে বিএসএফ ওই ৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে আমরা টহলরত বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করি।
ফুলবাড়ী থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, দুপুরে বিজিবি পুশইন হওয়া ৯ জনকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি এন্ট্রি করা হয়েছে। পরে সবার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বজনদের জিম্মায় তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছেন, গত ৭ মে থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১১৮ জন, সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১১৫জন, মৌলভীবাজার দিয়ে ৩৪০ জন, হবিগঞ্জ দিয়ে ১৯ জন, সুনামগঞ্জ দিয়ে ১৬ জন, কুমিল্লা দিয়ে ১৩ জন, ফেনী দিয়ে ৩৯ জন, কুড়িগ্রাম দিয়ে ৯৩ জন, লালমনির হাট দিয়ে ৭৮ জন, ঠাকুরগাঁও দিয়ে ১৯ জন, পঞ্চগড় দিয়ে ৩২ জন, দিনাজপুর দিয়ে ১৫ জন, চাপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে ১৭ জন, চুয়াডাঙ্গা দিয়ে ১৯ জন, মেহেরপুর দিয়ে ৩০ জন, ঝিনাইদহ দিয়ে ৪২ জন, সাতক্ষীরা দিয়ে ২৩ জন। এছাড়াও সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় ৭৮ জনকে বনবিভাগের সহায়তায় কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১০৬ জন।
বিজিবির একাধিক সূত্র জানায়, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ভারত থেকে এভাবে মানুষদের ঠেলে পাঠানো নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এছাড়াও ঠেলে পাঠানো ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বিজিবি সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে এসব নারী-শিশুকে পুশইন করে বিএসএফ
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
দেশের সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো থামছে না। বৃহস্পতিবার (২৯-০৫-২০২৫) আরও ৪৩ জনকে সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারত। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিদের সংখ্যা ১১শ’ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিন এই সংখ্যা বাড়ছে।
সংবাদের দিনাজপুরের নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানিয়েছেন, জেলার বিরল উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে আটক করেছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিজিবি ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান। ঠেলে পাঠানো ওই ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন নারী ও দুইজন পুরুষ। আটককৃতরা জানিয়েছে, এক মাস আগে ভারতের বিভিন্ন স্থান হতে তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ।
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কর্তৃক ঠেলে পাঠানোর ঘটনা বেড়েছে।
বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। স্থানীয় জনগনই তাদেরকে সহযোগিতা করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, যাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সংবাদের সিলেট বিয়ানী বাজার প্রতিনিধি জানান, মাত্র চার দিনের ব্যবধানে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২১ জন বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। বিজিবি তাদের আটক করে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বেশিরভাগের বাড়ি নড়াইল জেলায়। এর আগে গত ২৫ মে একই সীমান্ত দিয়ে আরো ৩২ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। আটককৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা এবং ৮ শিশু। বৃহস্পতিবার ভোরে বিয়ানীবাজার সীমান্তের নওয়াগ্রাম এলাকা দিয়ে তাদের পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তারা সবাই ভারতে দিনমজুরের কাজ করতেন।
বিজিবি জানায়, ৫২ ব্যাটালিয়নের টহল দল সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ প্রবেশের সময় তাদের আটক করে। পরে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন বিয়ানীবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, ‘আটক সবাই বাংলাদেশি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
বিয়ানীবাজার থানার ওসি আশরাফ উজ্জামান বলেন, ‘২১ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’
সংবাদের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্ত দিয়ে আরও ৯ বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও পুরুষরা রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সীমান্তের ৯৪৫ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়। এদের সবার বাড়ি ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা বজরের খামার এলাকায়। কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে তারা ভারতে গিয়েছিল। কাশিপুর ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা ঠেলে দেয়া ওই ৯ নারী পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধীন কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহিদ জানান, ভারতীয় খেতাবের কুটি ও ঝিকরী ক্যাম্পের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে বিএসএফ ওই ৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে আমরা টহলরত বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করি।
ফুলবাড়ী থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, দুপুরে বিজিবি পুশইন হওয়া ৯ জনকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি এন্ট্রি করা হয়েছে। পরে সবার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বজনদের জিম্মায় তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছেন, গত ৭ মে থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১১৮ জন, সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১১৫জন, মৌলভীবাজার দিয়ে ৩৪০ জন, হবিগঞ্জ দিয়ে ১৯ জন, সুনামগঞ্জ দিয়ে ১৬ জন, কুমিল্লা দিয়ে ১৩ জন, ফেনী দিয়ে ৩৯ জন, কুড়িগ্রাম দিয়ে ৯৩ জন, লালমনির হাট দিয়ে ৭৮ জন, ঠাকুরগাঁও দিয়ে ১৯ জন, পঞ্চগড় দিয়ে ৩২ জন, দিনাজপুর দিয়ে ১৫ জন, চাপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে ১৭ জন, চুয়াডাঙ্গা দিয়ে ১৯ জন, মেহেরপুর দিয়ে ৩০ জন, ঝিনাইদহ দিয়ে ৪২ জন, সাতক্ষীরা দিয়ে ২৩ জন। এছাড়াও সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় ৭৮ জনকে বনবিভাগের সহায়তায় কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১০৬ জন।
বিজিবির একাধিক সূত্র জানায়, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ভারত থেকে এভাবে মানুষদের ঠেলে পাঠানো নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এছাড়াও ঠেলে পাঠানো ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বিজিবি সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।