ভারতের সিকিমে টানা ভারি বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। সম্ভাব্য বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রাজ্যের মাঙন, গ্যালশিং ও সোরেং জেলায় সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
হিমালয়ের চিতামু হ্রদ থেকে উৎপত্তি তিস্তা নদী ভারতের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের নীলফামারীর কালীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। তাই তিস্তার উজানে বন্যা দেখা দিলে তার প্রভাব বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলেও পড়ার আশঙ্কা থাকে।
বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে এবং তিস্তার পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে।
একই সঙ্গে ভারি বৃষ্টির কারণে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নদীগুলোর পানি আগামী দুই দিন বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের বালুওয়াখানি ও গ্যাংটক থেকে পাওয়া ‘নাওকাস্ট’ সতর্কবার্তায় শনিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিট থেকে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
গ্যাংটকের জেলা প্রশাসক এক জরুরি ঘোষণায় জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন।
রেড অ্যালার্ট জারির ফলে গ্যাংটকের অন্তর্গত দিকচু থেকে সিংতাম পর্যন্ত তিস্তা নদী অববাহিকায় বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সে কারণে মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
জরুরি পরিস্থিতিতে জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রধানদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগে থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নদ-নদীর পানি আগামী দুই দিন বাড়তে পারে। এই অঞ্চলের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই, সোমেশ্বরী ও মনু নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও মৌলভীবাজার জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ঝুঁকি রয়েছে।
সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে এবং এই পরিস্থিতি দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে এবং তিস্তার পানি সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন কমতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় নদীর পানি পাঁচ দিন বাড়তে পারে, তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার নদ-নদীর পানিও পাঁচ দিন বাড়তে পারে, যদিও তা বিপৎসীমার নিচেই থাকবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
ভারতের সিকিমে টানা ভারি বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। সম্ভাব্য বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রাজ্যের মাঙন, গ্যালশিং ও সোরেং জেলায় সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
হিমালয়ের চিতামু হ্রদ থেকে উৎপত্তি তিস্তা নদী ভারতের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের নীলফামারীর কালীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। তাই তিস্তার উজানে বন্যা দেখা দিলে তার প্রভাব বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলেও পড়ার আশঙ্কা থাকে।
বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে এবং তিস্তার পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে।
একই সঙ্গে ভারি বৃষ্টির কারণে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নদীগুলোর পানি আগামী দুই দিন বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের বালুওয়াখানি ও গ্যাংটক থেকে পাওয়া ‘নাওকাস্ট’ সতর্কবার্তায় শনিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিট থেকে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
গ্যাংটকের জেলা প্রশাসক এক জরুরি ঘোষণায় জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন।
রেড অ্যালার্ট জারির ফলে গ্যাংটকের অন্তর্গত দিকচু থেকে সিংতাম পর্যন্ত তিস্তা নদী অববাহিকায় বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সে কারণে মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
জরুরি পরিস্থিতিতে জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রধানদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগে থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নদ-নদীর পানি আগামী দুই দিন বাড়তে পারে। এই অঞ্চলের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই, সোমেশ্বরী ও মনু নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও মৌলভীবাজার জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ঝুঁকি রয়েছে।
সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে এবং এই পরিস্থিতি দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে এবং তিস্তার পানি সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন কমতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় নদীর পানি পাঁচ দিন বাড়তে পারে, তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার নদ-নদীর পানিও পাঁচ দিন বাড়তে পারে, যদিও তা বিপৎসীমার নিচেই থাকবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।