সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ৭৫৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪৩৩ জন। রোববার,(১ জুন ২০২৫) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৭৫৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় ৪৩৩ জন। মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১৯০ জনকে। অভিযানে দেশীয় চায়নিজ কুড়াল ২টি, কার্তুজ ৫ টি, এলজি ২টি, ক্রিস ২টি, ছুরি ৩টি, সাবল ১টি, মুখের মুখোশ ৩টি এবং ১৮ ইঞ্চি লম্বা লোহার রামদা ১টি উদ্ধার করা হয়। বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা।

এছাড়া রাজধানীর দোলাইরপাড় এলাকায় ডেলটা হাসপাতালের সামনে ঝটিকা মিছিলের চেষ্টাকালে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামপুর থানা পুলিশ। তারা হলো শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ-উর-রহমান মাসুম (৪৮), কদমতলী থানা যুবলীগের সদস্য আহসান কবির আদর (৩১) এবং কদমতলী থানা যুবলীগের সদস্য ইদ্রিস আলী ঈশান (২২)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের দোলাইরপাড়ে ডেলটা হাসপাতালের সামনে থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের কিছু লোক সরকারবিরোধী মিছিল করতে সমবেত হলে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ সময় অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার সবার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে শ্যামপুর থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ৯

ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও কোরবানির পশুর হাটে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। অভিযানে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ মে রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরসংলগ্ন কামারপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় অবৈধ হাট স্থাপন, জোর করে গরু ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট হাটে বিক্রিতে বাধ্য করা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে (পাঁচজনকে) গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও, ৩১ মে বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়ের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।