জিএম কাদেরের বাসায় হামলা
রংপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পৈতৃক বাস ভবন স্কাই ভিউতে হামলা ভাংচুর আগুন দেয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দু’নেতাসহ বিএনপি নেতাদের ডেকে এনে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তাদের সহায়তা চেয়েছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার,(১ জুন ২০২৫) ভোর পর্যন্ত নগরীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এছাড়া যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দু’নেতার বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সেনাবাহিনী রংপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহাম্মেদকে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পায়রা চত্বরে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি সেনাবাহিনীর ৭২ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। অপরদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা ইমরান আহাম্মেদ ও ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমতি গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের ওপর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের হামলা ও আহত করার অভিযোগ করে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতোয়ালি থানায় জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে প্রধান আসামি ও সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমানসহ ১৮ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে থানা থেকে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের ডেকে বিভিন্ন বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু সদস্য সচিব মাহফুজুন্নবী ডন জেলা সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকুকেও সেখানে ডেকে নেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জিএম কাদেরের বাসায় হামলায় অংশগ্রহণকারীদের ভিডিও দেখিয়ে বলা হয় এ ঘটনায় তাদের দলের লোকজন জড়িত ছিল কিনা। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতাদের সেনাবাহিনী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তাদের সহযোগিতা কামনা করে। এ সময় ঘটনাস্থলে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি সাংবাদিকদের বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ তাদের ফোন দিয়ে কোথায় আছেন জানতে চাওয়া হয়। তারা পায়রা চত্বরে আছেন জানালে সেনাবাহিনী সদস্যরা সেখানে চলে আসেন। হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন সেনাবাহিনী বলে জানান। অপরদিকে বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামুও সাংবাদিকদের জানান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমাদেরও এখানে ডাকা হয়েছে। তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন গত বৃহস্পতিবার রাতে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাস ভবনে হামলার ঘটনায় তাদের দলের কারা কারা জড়িত ছিল। সেনাবাহিনী ওই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও তাদের দেখিয়েছে। আমরা ওই ভিডিও দেখেছি। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তার পরেও যে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বার্থে সবকিছু করতে প্রস্তুত, সেটাই আমরা রংপুরে করে যাচ্ছি। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেটা যাবে, সেটা দলমত নির্বিশেষে যে খারাপ কাজ করবে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান খুবই কঠোর। কোনোভাবেই মানুষের ক্ষতি হয়, ভ্যান্ডালিজম করা, কোনো কিছু ভেঙে ফেলা এই জিনিসগুলো করার অবকাশ আমাদের অবস্থানকালীন নেই। এটাই আমাদের বার্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ দু’পক্ষই আমাদের সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। তারা গত বৃহস্পতিবারের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি দেখে শনাক্ত করতে পেরেছেন কে কে আছে তাদের দলে, যাদের হাতে লাঠি এবং অন্যান্য জিনিস ছিল, সেগুলো থাকার কথা ছিল না। এজন্য তারা বিব্রতবোধ করেছেন এবং কথা দিয়েছেন আগামীকাল রোববার তাদের হাজির করবেন। ভবিষ্যতে তারা এমনটা করবেন না, এটা আমরা আশা করছি। এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় গিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাতীয় পার্টি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের করেন। রংপুর মেট্রোপলিটান কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। তবে এই অভিযোগ এজাহার হিসেবে এখন গ্রহণ করছেন না। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেবেন। লিখিত দাখিল করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির রংপুর জেলা সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন।
জিএম কাদেরের বাসায় হামলা
রোববার, ০১ জুন ২০২৫
রংপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পৈতৃক বাস ভবন স্কাই ভিউতে হামলা ভাংচুর আগুন দেয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দু’নেতাসহ বিএনপি নেতাদের ডেকে এনে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তাদের সহায়তা চেয়েছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার,(১ জুন ২০২৫) ভোর পর্যন্ত নগরীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এছাড়া যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দু’নেতার বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সেনাবাহিনী রংপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহাম্মেদকে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পায়রা চত্বরে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি সেনাবাহিনীর ৭২ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। অপরদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা ইমরান আহাম্মেদ ও ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমতি গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের ওপর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের হামলা ও আহত করার অভিযোগ করে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতোয়ালি থানায় জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে প্রধান আসামি ও সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমানসহ ১৮ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে থানা থেকে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের ডেকে বিভিন্ন বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু সদস্য সচিব মাহফুজুন্নবী ডন জেলা সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকুকেও সেখানে ডেকে নেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জিএম কাদেরের বাসায় হামলায় অংশগ্রহণকারীদের ভিডিও দেখিয়ে বলা হয় এ ঘটনায় তাদের দলের লোকজন জড়িত ছিল কিনা। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতাদের সেনাবাহিনী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তাদের সহযোগিতা কামনা করে। এ সময় ঘটনাস্থলে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি সাংবাদিকদের বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ তাদের ফোন দিয়ে কোথায় আছেন জানতে চাওয়া হয়। তারা পায়রা চত্বরে আছেন জানালে সেনাবাহিনী সদস্যরা সেখানে চলে আসেন। হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন সেনাবাহিনী বলে জানান। অপরদিকে বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামুও সাংবাদিকদের জানান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমাদেরও এখানে ডাকা হয়েছে। তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন গত বৃহস্পতিবার রাতে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাস ভবনে হামলার ঘটনায় তাদের দলের কারা কারা জড়িত ছিল। সেনাবাহিনী ওই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও তাদের দেখিয়েছে। আমরা ওই ভিডিও দেখেছি। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তার পরেও যে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বার্থে সবকিছু করতে প্রস্তুত, সেটাই আমরা রংপুরে করে যাচ্ছি। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেটা যাবে, সেটা দলমত নির্বিশেষে যে খারাপ কাজ করবে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান খুবই কঠোর। কোনোভাবেই মানুষের ক্ষতি হয়, ভ্যান্ডালিজম করা, কোনো কিছু ভেঙে ফেলা এই জিনিসগুলো করার অবকাশ আমাদের অবস্থানকালীন নেই। এটাই আমাদের বার্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ দু’পক্ষই আমাদের সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। তারা গত বৃহস্পতিবারের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি দেখে শনাক্ত করতে পেরেছেন কে কে আছে তাদের দলে, যাদের হাতে লাঠি এবং অন্যান্য জিনিস ছিল, সেগুলো থাকার কথা ছিল না। এজন্য তারা বিব্রতবোধ করেছেন এবং কথা দিয়েছেন আগামীকাল রোববার তাদের হাজির করবেন। ভবিষ্যতে তারা এমনটা করবেন না, এটা আমরা আশা করছি। এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় গিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাতীয় পার্টি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের করেন। রংপুর মেট্রোপলিটান কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। তবে এই অভিযোগ এজাহার হিসেবে এখন গ্রহণ করছেন না। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেবেন। লিখিত দাখিল করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির রংপুর জেলা সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন।