চাকরি আইন বাতিলের দাবি, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও তিন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি
চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে তিন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। তারা ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে রোববার,(১ জুন ২০২৫) ও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভ শেষে উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন।
রোববার বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন কর্মচারীরা। সেখানে তারা আধা ঘন্টার মতো বিক্ষোভ করেন।
এরপর কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি দেন। এরপর তারা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দেন।
পরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলেও তিনি দপ্তরে ছিলেন না। পরে দুপুরের দিকে তার কাছে স্মারকলিপি দেন কর্মচারীরা।
আগের দিন সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গতকাল শনিবার দেশে এলে তার সঙ্গে কথা বলে ভূমি সচিব তাদের ‘একটা ফলাফল’ দেবেন। রোববারের মধ্যে তাদের ‘একটা পজিটিভ রেজাল্ট’ দেয়ার কথা। এজন্য তারা রোববার কর্মসূচি কিছুটা শিথিল করে স্মারকলিপি দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন বলেও তিনি জানান।
চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে এমন বিধান রেখে ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। পরদিন ২৪ মে থেকেই আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে
সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব সংগঠন সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। তারা এই অধ্যাদেশটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অধ্যাদেশের কিছু বিধানের ‘অপপ্রয়োগের আশঙ্কা’ জ¦ালানি উপদেষ্টার:
কর্মচারীদের স্মারকলিপি হাতে পেয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অধ্যাদেশটি দেখেছি। উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজনের নজরে এই জিনিসটা এনেছি। এখানে কিছু প্রভিশান আছে, যেগুলো অপপ্রয়োগের সম্ভাবনা আছে।’
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তুলে ধরার আশ্বাস দেন ফাওজুল কবির খান। তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছেও বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানান। তবে তিনি অনুরোধ করেন, এই অধ্যাদেশটি রেখে কী কী ‘সেইফগার্ড’ করলে, এটি কর্মচারীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য হবে তা ভেবে দেখার জন্য।
এ সময় উপস্থিত সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, এই অধ্যাদেশ ‘সংবিধানবিরোধী কালো আইন’। তারা ‘অবিলম্বে এটা বাতিল’ চান।
চাকরি আইন বাতিলের দাবি, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও তিন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি
রোববার, ০১ জুন ২০২৫
চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে তিন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। তারা ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে রোববার,(১ জুন ২০২৫) ও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভ শেষে উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন।
রোববার বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন কর্মচারীরা। সেখানে তারা আধা ঘন্টার মতো বিক্ষোভ করেন।
এরপর কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি দেন। এরপর তারা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দেন।
পরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলেও তিনি দপ্তরে ছিলেন না। পরে দুপুরের দিকে তার কাছে স্মারকলিপি দেন কর্মচারীরা।
আগের দিন সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গতকাল শনিবার দেশে এলে তার সঙ্গে কথা বলে ভূমি সচিব তাদের ‘একটা ফলাফল’ দেবেন। রোববারের মধ্যে তাদের ‘একটা পজিটিভ রেজাল্ট’ দেয়ার কথা। এজন্য তারা রোববার কর্মসূচি কিছুটা শিথিল করে স্মারকলিপি দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন বলেও তিনি জানান।
চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে এমন বিধান রেখে ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। পরদিন ২৪ মে থেকেই আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে
সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব সংগঠন সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। তারা এই অধ্যাদেশটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অধ্যাদেশের কিছু বিধানের ‘অপপ্রয়োগের আশঙ্কা’ জ¦ালানি উপদেষ্টার:
কর্মচারীদের স্মারকলিপি হাতে পেয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অধ্যাদেশটি দেখেছি। উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজনের নজরে এই জিনিসটা এনেছি। এখানে কিছু প্রভিশান আছে, যেগুলো অপপ্রয়োগের সম্ভাবনা আছে।’
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তুলে ধরার আশ্বাস দেন ফাওজুল কবির খান। তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছেও বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানান। তবে তিনি অনুরোধ করেন, এই অধ্যাদেশটি রেখে কী কী ‘সেইফগার্ড’ করলে, এটি কর্মচারীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য হবে তা ভেবে দেখার জন্য।
এ সময় উপস্থিত সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, এই অধ্যাদেশ ‘সংবিধানবিরোধী কালো আইন’। তারা ‘অবিলম্বে এটা বাতিল’ চান।