আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আইন মন্ত্রণালয় সংস্কারের জন্য তিনটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করছে। এই লক্ষ্যগুলো হলো—দ্রুত ও স্বল্প সময়ে কম খরচে মামলা নিষ্পত্তি, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং মামলা নামক অভিশাপ থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেওয়া।
শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর প্রাথমিক খসড়া নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় বিভিন্ন জেলার আইনজীবী সমিতির নেতা, বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধি, এবং আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। তাঁরা খসড়া অধ্যাদেশের ওপর মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
আইন উপদেষ্টা জানান, দ্রুত ও স্বল্প সময়ে মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেওয়ানি কার্যবিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধনের কাজও এগিয়ে চলেছে এবং আশা করা হচ্ছে, এটি এক মাসের মধ্যে অধ্যাদেশ আকারে পাস করা সম্ভব হবে।
সংস্কারের দ্বিতীয় লক্ষ্য হিসেবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কাজটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এজন্য ডিজিটালাইজেশন, বিচারকদের প্রশিক্ষণ শিক্ষাক্রমের মান উন্নয়ন এবং বিচার বিভাগের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী সংগ্রহের মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আইনজীবীদের সহযোগিতায় এই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা চলছে।
তৃতীয় লক্ষ্য হিসেবে মামলার অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, এজন্য বিদ্যমান আইনগুলোতে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে বছরে গড়ে ৫ লাখ মামলা হয়, যেখানে সরকারি সহায়তায় মাত্র ৩৫ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়। এই ব্যবস্থায় সময় কম লাগে এবং ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে সেবা গ্রহণকারীরা সন্তুষ্ট থাকেন। তাই এই কর্মসূচিকে সম্প্রসারিত করে দক্ষ ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারলে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা এক থেকে দুই লাখে উন্নীত করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা হলেও তার রায় মেনে নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না, ফলে কেউ মামলা করার অধিকার হারাবে না।
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আইন মন্ত্রণালয় সংস্কারের জন্য তিনটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করছে। এই লক্ষ্যগুলো হলো—দ্রুত ও স্বল্প সময়ে কম খরচে মামলা নিষ্পত্তি, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং মামলা নামক অভিশাপ থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেওয়া।
শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর প্রাথমিক খসড়া নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় বিভিন্ন জেলার আইনজীবী সমিতির নেতা, বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধি, এবং আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। তাঁরা খসড়া অধ্যাদেশের ওপর মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
আইন উপদেষ্টা জানান, দ্রুত ও স্বল্প সময়ে মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেওয়ানি কার্যবিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধনের কাজও এগিয়ে চলেছে এবং আশা করা হচ্ছে, এটি এক মাসের মধ্যে অধ্যাদেশ আকারে পাস করা সম্ভব হবে।
সংস্কারের দ্বিতীয় লক্ষ্য হিসেবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কাজটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এজন্য ডিজিটালাইজেশন, বিচারকদের প্রশিক্ষণ শিক্ষাক্রমের মান উন্নয়ন এবং বিচার বিভাগের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী সংগ্রহের মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আইনজীবীদের সহযোগিতায় এই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা চলছে।
তৃতীয় লক্ষ্য হিসেবে মামলার অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, এজন্য বিদ্যমান আইনগুলোতে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে বছরে গড়ে ৫ লাখ মামলা হয়, যেখানে সরকারি সহায়তায় মাত্র ৩৫ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়। এই ব্যবস্থায় সময় কম লাগে এবং ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে সেবা গ্রহণকারীরা সন্তুষ্ট থাকেন। তাই এই কর্মসূচিকে সম্প্রসারিত করে দক্ষ ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারলে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা এক থেকে দুই লাখে উন্নীত করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা হলেও তার রায় মেনে নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না, ফলে কেউ মামলা করার অধিকার হারাবে না।