alt

জাতীয়

মারা গেছেন হার্ট অ্যাটাকে, ১০ মাস পর হত্যা মামলা হলো হাসিনাসহ ৫৪ জনের নামে

এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ,আসামিদের মধ্যে বিএনপি নেতারাও আছেন

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর : মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

রংপুর নগরীর রাধাকৃষ্ণপুর এলাকায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিনকে ১০ মাস পর জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা বানিয়ে তাকে জাতীয় বীর দেখিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় এজাহারে ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং বাকি ৫২ জনই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। এদের মধ্যে ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীনকেও আসামি করা হয়।

শুধু তাই নয়, জাতীয় বীর দেখিয়ে ১০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিড আর ৫ লাখ টাকা জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনা জানাজানি হয়ে রংপুরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মজার ব্যাপার নিহত কথিত জাতীয় বীর সমেছ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম, তার ছেলে আশিকুর রহমান স্বীকার করেছে তাদের বাবা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। তারা মামলা করেছে পুলিশের কথামতো। মামলায় কারা আসামি হয়েছে তা তারা জানে না, শুধু স্বাক্ষর নিয়েছে কাগজে। (পুরো বক্তব্যের ভিডিও এ প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত আছে)।

সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় ২ আগস্ট তারিখে মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিন দোকানে বসে থাকা অবস্থায় জামায়াত নেতা হাজি নাছির উদ্দিনকে পুলিশ আটক করতে ওই এলাকায় এলে সমেছ উদ্দিন ভয়ে দোকান থেকে নেমে দৌড় দেয়। এরপর কিছুদূর যাওয়ার পর রাস্তায় শুয়ে পড়ে জ্ঞান হারায়। স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বাড়ির কাছে বেসরকারি প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। অথচ ১০ মাস পর স্থানীয় প্রশাসন পুরো ঘটনাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সমেছ উদ্দিনকে বাড়ির কাছে নজিরের হাট এলাকায় কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ তার ডেড বডির কোনো ময়নাতদন্ত হয় নাই। হত্যা মামলা দায়ের করার পরেও লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করার কোনো উদ্যেগ নেই পুলিশের।

কবরে যা লেখা রয়েছে: জাতীয় বীর সমেছ উদ্দিন। গত ২ আগস্ট ২০২৪ পুলিশ বিভাগের একটি দল তার বাড়িতে প্রবেশ করলে তিনি পুলিশ দেখে দৌড় দিতে গিয়ে পড়ে যান এবং তিনি সেখানেই মারা যান। সেটি নিশ্চিত করেন প্রাইম মেডিকেল কলেজের ডাক্তার।

হত্যা মামলার এজাহারে যা উল্লেখ করা হয়েছে: গত ৩ জুন তারিখে রংপুর মেট্রোপলিটান হাজিরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী হচ্ছেন হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম। যার মামলা নম্বর ২ তারিখ ৩.০৬.২৫ইং। ধারা ১৪৩/১৪৮/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০২/৫০৬ /১১৪এবং ১০৯ দ-বিধি।

মামলার এজাহারে বাদী সমেছ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম অভিযোগ করেন তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করার নির্দেশ দিলে

রংপুরের স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা গত ২/০৮/২৪ইং তারিখে সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে রংপুর মহানগরের হাজিরহাট মেট্রোপলিটান থানাধীন রাধাকৃষ্ণপুর এলাকার বাদিনীর বসতভিটাসংলগ্ন মুদি দোকানে সমেছ উদ্দিনকে আসামিরা নেমে আসতে বলে। এ সময় মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিন টের পেয়ে দোকান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। এ আসামিরা দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় সমেছ উদ্দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় পুলিশ ও আসামিরা তাকে ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় আসামিরা বাদিনী আমেনা বেগমকে বলে তোর স্বামীকে জামায়াত শিবির ও সরকারবিরোধী আন্দোলন করার সাধ মিটিয়ে দিলাম। এরপর এলাকাবাসী ও স্বজনরা সমেছ উদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় অটোরিকশা যোগে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রাত ৮ টার দিকে সমেছ উদ্দিনের পাল্স দেখে জানায় তিনি মারা গেছেন। পরে অজ্ঞাত একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে লাশ নিয়ে আসা হয়। এ সময় মৃত সমেছ উদ্দিনের মাথার পেছনে ছুরি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধা দেখতে পাওয়া যায়। পরে নজিরের হাট মসজিদের ইমাম মমিনুল ইসলাম জানাজা পড়ান। ১০ মাস পর মামলা করার বিষয়ে এজাহারে উল্লেখ করেন সে সময় পুলিশের ভয়ে মামলা করা হয়নি। পরে কাগজ সংগ্রহ করে নাকি মামলা করতে দেরি হয়েছে।

মামলাটি দায়ের করার পর হাজিরহাট থানার ওসি আব্দুল আল মামুন শাহ মামলাটি নিজেই রেকর্ড করে তিনি নিজেই তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

মামলার বাদী ও এলাকাবাসী যা বলেন: ১০ মাস পর হত্যা মামলা দায়ের করার বিষয়টি জানাজানি হলে নজিরের হাট এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ২ আগস্ট ওই এলাকায় কোনো ঘটনাই ঘটে নাই। মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিন হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার পর কীভাবে এতদিন পর তাকে হত্যা করার অভিযোগ করা হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী সমেছ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগমের বাড়িতে গেলে তিনি বলেন, তার স্বামী সমেছ উদ্দিনকে ধরতে ২ আগস্ট পুলিশ এলে তিনি দোকান থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করে একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারান। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কেন হত্যা মামলা করলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রশাসন তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কাগজে সই করতে বলেছে সে সই করেছে। সে কারও নামে হত্যা মামলা করে নাই বলে জানায়।

অপরদিকে মৃত সমেছ উদ্দনের ছেলে আশিকুর রহমান জানায় ঘটনার সময় সে রংপুরের বাইরে ছিল। তার বাবাকে পুলিশ ধরতে এলে তিনি দোকান থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তবে যারা তার বাবাকে ধরতে এসেছিল তাদের বিচার দাবি করেন তিনি। তবে অকপটে স্বীকার করেন তার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী জামায়াত নেতা যা বলেন: স্থানীয় ওয়ার্ড জামায়াতের আমির হাজি নাছির উদ্দিন জানান, মূল ঘটনা হচ্ছে ২ আগস্ট তারিখে কয়েকজন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার জন্য তার বাসা ঘেরাও করে। সে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিন ভয়ে দোকান থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে আসে নাই। পুলিশ এসেছিল আমাকে গ্রেপ্তার করতে। হার্ট অ্যাটাকের রোগী কীভাবে জাতীয় বীর হয়। সে কীভাবে সরকার থেকে জুলাই আন্দোলনে শহীদ বলে দুই দফায় ১৫ লাখ টাকা পায়? তিনি বলেন, পুরো ঘটনা সাজানো। এই ঘটনাকে হত্যা মামলা হিসেবে দায়ের করা অন্যায়। নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

মামলার আসামিদের স্বজনরা যা বলেন: সমেছ উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পর স্থানীয় সাধারণ মানুষকেও আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেহেদী হাসান ও আখতারুল ইসলামের স্বজন মমতাজ বেগম ও সালমা বেগম বলেন, সমেছ উদ্দিন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। এটাই শত ভাগ সত্য। অথচ এ ঘটনাকে কালার করে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে তাদের স্বজনসহ এলাকার নিরীহ মানুষকে আসামি করা সম্পূর্ণ অন্যায়।

বিএনপি রংপুর মহানগর আহ্বায়ক যা বলেন: এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু জানান, সমেছ উদ্দিন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। একজন হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া ব্যক্তি কীভাবে জাতীয় বীর হয় আমি কল্পনাও করতে পারছি না। এ ঘটনায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জয়নালসহ স্থানীয় নিরীহ ব্যক্তির নামে হত্যা মামলা দায়ের করা সত্যিই দুঃজনক। তিনি বলেন, সমেছ উদ্দিনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কই? ১০ মাস পর মামলা করা হলো এখনও লাশ উত্তোলন করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন? পুরো ঘটনা তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আলমগীর বলেন, আমি হাজিরহাট থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে দেখা করে জিজ্ঞাসা করি হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে কীভাবে হত্যা করার গল্প সাজানো হয়। পুলিশ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করেন, নিরীহ লোকদের আসামি করে মামলাবাণিজ্য করা হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন যা বলেন: সমেছ উদ্দিনের মরদেহ জানাজায় ইমামতি করা স্থানীয় মসজিদের ইমাম মমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি জানাজা পড়েছেন নিহতের শরীরে কোনো জখম দেখেননি। হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। হত্যা করার কথা শুনি নাই। এলাকাবাসী শরীফুল, আলমাছ আলীসহ অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে বলল, হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া ব্যক্তি কীভাবে জাতীয় বীর হয়? এটা নিয়ে হত্যা মামলা কে করালো সব বিষয় তদন্ত করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তারা।

থানার ওসি ও তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা যা বলেন: সার্বিক বিষয়ে জানতে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানার ওসি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল আল মামুন শাহের সঙ্গে কথা বলার জন্য হাজিরহাট থানায় গেলে দু’ঘণ্টা বসিয়ে রেখে অন্য কাজে বাইরে আছেন জানান। দু’ঘণ্টা পর থানায় এসে বলেন, কোনো কথা বলবেন না তিনি।

পরে এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে প্রশ্ন করা হয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নাই, করার কোনো পদক্ষেপ নাই, তাহলে কীভাবে হত্যা মামলা রেকর্ড করলেন। মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের নামে হয়রানি করার অভিযোগ করা হলে তিনি বার বার বলেন, উপর মহলের সঙ্গে কথা বলেন। মামলার বাদী স্বয়ং বলেছেন আপনি (ওসি) ডেকে নিয়ে হত্যা মামলা নিয়েছেন। কোনো উত্তর দেননি ওসি।

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

ছবি

আমের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজার

সিংগাইরে দেড় হাজার টাকায়ও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক

ছবি

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি

তেহরানে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার

ডেঙ্গুতে আরও ২৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি

ছবি

মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই খুলনায় জলজট, বেকার ৮২৩ কোটির প্রকল্প

দুদকের ৬ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ

ছবি

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা সচিবালয় কর্মচারীদের

উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ চান ইশরাক, আন্দোলন রাজপথে নেয়ার হুঁশিয়ারি

ঠিকাদারদের নামে ‘অগ্রিম’ ও ‘অতিরিক্ত’ বিল, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৬ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা

এখনই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই: অর্থ উপদেষ্টা

অসমাপ্ত আলোচনা শেষ করতে চায় ঐকমত্য কমিশন, বৈঠকে যোগ দেয়নি জামায়াত

ভিসা, নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকিতে তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাস ও নাগরিকদের নিরাপত্তা উদ্যোগ

ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার হচ্ছেন ইমরান হায়দার

ছবি

তেহরানে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার, নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ

জুলাইয়ের মধ্যেই ‘জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করতে চায় ঐকমত্য কমিশন, দলগুলোর সহযোগিতা চাইলেন আলী রীয়াজ

ছবি

গুম তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা চাইলেন মুহাম্মদ ইউনূস

সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুলসহ ১০ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

কোভিড: আরও ২৫ জন শনাক্ত, মৃত্যু ১

শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ভাড়া : আরও ৪ রুটে চালু করলো বিমান

স্বামীসহ সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

হাসিনাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ

আগামী ৫ দিন অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, কমবে তাপমাত্রা

গ্রেপ্তারের পর দুই মামলার আসামিকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ২৩৪ জন আক্রান্ত, মোট মৃত্যু ৩০ জনের

ছবি

বসুন্ধরা চেয়ারম্যানের ছেলেদের সম্পত্তির তথ্য জানিয়ে যুক্তরাজ্যে চিঠি

ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বন্দরের কন্টেইনার জট

ছবি

নগর ভবনে ইশরাকের সভা, ব্যানারে ‘মাননীয় মেয়র’ লেখা

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা ফের শুরু মঙ্গলবার

ছবি

ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে নিহত ৩৯০, আহত ১১৮২

ছবি

লন্ডন বৈঠকের সিদ্ধান্ত দ্রুত নির্বাচন কমিশনকে জানান: সরকারকে সালাহউদ্দিন

ছবি

বিতর্কিত তিন নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

গুম ঠেকাতে স্থায়ী কমিশন গঠনে দ্রুতই আইন হচ্ছে

ছবি

ঈদের ছুটির পর ফের আন্দোলনে সচিবালয়ের কর্মচারীরা

tab

জাতীয়

মারা গেছেন হার্ট অ্যাটাকে, ১০ মাস পর হত্যা মামলা হলো হাসিনাসহ ৫৪ জনের নামে

এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ,আসামিদের মধ্যে বিএনপি নেতারাও আছেন

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

রংপুর নগরীর রাধাকৃষ্ণপুর এলাকায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিনকে ১০ মাস পর জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা বানিয়ে তাকে জাতীয় বীর দেখিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় এজাহারে ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং বাকি ৫২ জনই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। এদের মধ্যে ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীনকেও আসামি করা হয়।

শুধু তাই নয়, জাতীয় বীর দেখিয়ে ১০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিড আর ৫ লাখ টাকা জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনা জানাজানি হয়ে রংপুরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মজার ব্যাপার নিহত কথিত জাতীয় বীর সমেছ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম, তার ছেলে আশিকুর রহমান স্বীকার করেছে তাদের বাবা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। তারা মামলা করেছে পুলিশের কথামতো। মামলায় কারা আসামি হয়েছে তা তারা জানে না, শুধু স্বাক্ষর নিয়েছে কাগজে। (পুরো বক্তব্যের ভিডিও এ প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত আছে)।

সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় ২ আগস্ট তারিখে মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিন দোকানে বসে থাকা অবস্থায় জামায়াত নেতা হাজি নাছির উদ্দিনকে পুলিশ আটক করতে ওই এলাকায় এলে সমেছ উদ্দিন ভয়ে দোকান থেকে নেমে দৌড় দেয়। এরপর কিছুদূর যাওয়ার পর রাস্তায় শুয়ে পড়ে জ্ঞান হারায়। স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বাড়ির কাছে বেসরকারি প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। অথচ ১০ মাস পর স্থানীয় প্রশাসন পুরো ঘটনাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সমেছ উদ্দিনকে বাড়ির কাছে নজিরের হাট এলাকায় কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ তার ডেড বডির কোনো ময়নাতদন্ত হয় নাই। হত্যা মামলা দায়ের করার পরেও লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করার কোনো উদ্যেগ নেই পুলিশের।

কবরে যা লেখা রয়েছে: জাতীয় বীর সমেছ উদ্দিন। গত ২ আগস্ট ২০২৪ পুলিশ বিভাগের একটি দল তার বাড়িতে প্রবেশ করলে তিনি পুলিশ দেখে দৌড় দিতে গিয়ে পড়ে যান এবং তিনি সেখানেই মারা যান। সেটি নিশ্চিত করেন প্রাইম মেডিকেল কলেজের ডাক্তার।

হত্যা মামলার এজাহারে যা উল্লেখ করা হয়েছে: গত ৩ জুন তারিখে রংপুর মেট্রোপলিটান হাজিরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী হচ্ছেন হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম। যার মামলা নম্বর ২ তারিখ ৩.০৬.২৫ইং। ধারা ১৪৩/১৪৮/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০২/৫০৬ /১১৪এবং ১০৯ দ-বিধি।

মামলার এজাহারে বাদী সমেছ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম অভিযোগ করেন তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করার নির্দেশ দিলে

রংপুরের স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা গত ২/০৮/২৪ইং তারিখে সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে রংপুর মহানগরের হাজিরহাট মেট্রোপলিটান থানাধীন রাধাকৃষ্ণপুর এলাকার বাদিনীর বসতভিটাসংলগ্ন মুদি দোকানে সমেছ উদ্দিনকে আসামিরা নেমে আসতে বলে। এ সময় মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিন টের পেয়ে দোকান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। এ আসামিরা দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় সমেছ উদ্দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় পুলিশ ও আসামিরা তাকে ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় আসামিরা বাদিনী আমেনা বেগমকে বলে তোর স্বামীকে জামায়াত শিবির ও সরকারবিরোধী আন্দোলন করার সাধ মিটিয়ে দিলাম। এরপর এলাকাবাসী ও স্বজনরা সমেছ উদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় অটোরিকশা যোগে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রাত ৮ টার দিকে সমেছ উদ্দিনের পাল্স দেখে জানায় তিনি মারা গেছেন। পরে অজ্ঞাত একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে লাশ নিয়ে আসা হয়। এ সময় মৃত সমেছ উদ্দিনের মাথার পেছনে ছুরি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধা দেখতে পাওয়া যায়। পরে নজিরের হাট মসজিদের ইমাম মমিনুল ইসলাম জানাজা পড়ান। ১০ মাস পর মামলা করার বিষয়ে এজাহারে উল্লেখ করেন সে সময় পুলিশের ভয়ে মামলা করা হয়নি। পরে কাগজ সংগ্রহ করে নাকি মামলা করতে দেরি হয়েছে।

মামলাটি দায়ের করার পর হাজিরহাট থানার ওসি আব্দুল আল মামুন শাহ মামলাটি নিজেই রেকর্ড করে তিনি নিজেই তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

মামলার বাদী ও এলাকাবাসী যা বলেন: ১০ মাস পর হত্যা মামলা দায়ের করার বিষয়টি জানাজানি হলে নজিরের হাট এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ২ আগস্ট ওই এলাকায় কোনো ঘটনাই ঘটে নাই। মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিন হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার পর কীভাবে এতদিন পর তাকে হত্যা করার অভিযোগ করা হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী সমেছ উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগমের বাড়িতে গেলে তিনি বলেন, তার স্বামী সমেছ উদ্দিনকে ধরতে ২ আগস্ট পুলিশ এলে তিনি দোকান থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করে একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারান। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কেন হত্যা মামলা করলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রশাসন তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কাগজে সই করতে বলেছে সে সই করেছে। সে কারও নামে হত্যা মামলা করে নাই বলে জানায়।

অপরদিকে মৃত সমেছ উদ্দনের ছেলে আশিকুর রহমান জানায় ঘটনার সময় সে রংপুরের বাইরে ছিল। তার বাবাকে পুলিশ ধরতে এলে তিনি দোকান থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তবে যারা তার বাবাকে ধরতে এসেছিল তাদের বিচার দাবি করেন তিনি। তবে অকপটে স্বীকার করেন তার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী জামায়াত নেতা যা বলেন: স্থানীয় ওয়ার্ড জামায়াতের আমির হাজি নাছির উদ্দিন জানান, মূল ঘটনা হচ্ছে ২ আগস্ট তারিখে কয়েকজন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার জন্য তার বাসা ঘেরাও করে। সে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় মুদি দোকানদার সমেছ উদ্দিন ভয়ে দোকান থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে আসে নাই। পুলিশ এসেছিল আমাকে গ্রেপ্তার করতে। হার্ট অ্যাটাকের রোগী কীভাবে জাতীয় বীর হয়। সে কীভাবে সরকার থেকে জুলাই আন্দোলনে শহীদ বলে দুই দফায় ১৫ লাখ টাকা পায়? তিনি বলেন, পুরো ঘটনা সাজানো। এই ঘটনাকে হত্যা মামলা হিসেবে দায়ের করা অন্যায়। নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

মামলার আসামিদের স্বজনরা যা বলেন: সমেছ উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পর স্থানীয় সাধারণ মানুষকেও আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেহেদী হাসান ও আখতারুল ইসলামের স্বজন মমতাজ বেগম ও সালমা বেগম বলেন, সমেছ উদ্দিন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। এটাই শত ভাগ সত্য। অথচ এ ঘটনাকে কালার করে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে তাদের স্বজনসহ এলাকার নিরীহ মানুষকে আসামি করা সম্পূর্ণ অন্যায়।

বিএনপি রংপুর মহানগর আহ্বায়ক যা বলেন: এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু জানান, সমেছ উদ্দিন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। একজন হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া ব্যক্তি কীভাবে জাতীয় বীর হয় আমি কল্পনাও করতে পারছি না। এ ঘটনায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জয়নালসহ স্থানীয় নিরীহ ব্যক্তির নামে হত্যা মামলা দায়ের করা সত্যিই দুঃজনক। তিনি বলেন, সমেছ উদ্দিনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কই? ১০ মাস পর মামলা করা হলো এখনও লাশ উত্তোলন করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন? পুরো ঘটনা তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আলমগীর বলেন, আমি হাজিরহাট থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে দেখা করে জিজ্ঞাসা করি হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে কীভাবে হত্যা করার গল্প সাজানো হয়। পুলিশ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করেন, নিরীহ লোকদের আসামি করে মামলাবাণিজ্য করা হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন যা বলেন: সমেছ উদ্দিনের মরদেহ জানাজায় ইমামতি করা স্থানীয় মসজিদের ইমাম মমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি জানাজা পড়েছেন নিহতের শরীরে কোনো জখম দেখেননি। হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। হত্যা করার কথা শুনি নাই। এলাকাবাসী শরীফুল, আলমাছ আলীসহ অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে বলল, হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া ব্যক্তি কীভাবে জাতীয় বীর হয়? এটা নিয়ে হত্যা মামলা কে করালো সব বিষয় তদন্ত করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তারা।

থানার ওসি ও তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা যা বলেন: সার্বিক বিষয়ে জানতে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানার ওসি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল আল মামুন শাহের সঙ্গে কথা বলার জন্য হাজিরহাট থানায় গেলে দু’ঘণ্টা বসিয়ে রেখে অন্য কাজে বাইরে আছেন জানান। দু’ঘণ্টা পর থানায় এসে বলেন, কোনো কথা বলবেন না তিনি।

পরে এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে প্রশ্ন করা হয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নাই, করার কোনো পদক্ষেপ নাই, তাহলে কীভাবে হত্যা মামলা রেকর্ড করলেন। মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের নামে হয়রানি করার অভিযোগ করা হলে তিনি বার বার বলেন, উপর মহলের সঙ্গে কথা বলেন। মামলার বাদী স্বয়ং বলেছেন আপনি (ওসি) ডেকে নিয়ে হত্যা মামলা নিয়েছেন। কোনো উত্তর দেননি ওসি।

back to top