গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে বাঁধ ভেঙে নিম্নঞ্চল প্লাবিত। শুক্রবার তোলা -সংবাদ
ফেনীতে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর দু’টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাতে এ ভাঙন সৃষ্টি হয়।
বাঁধ ভাঙ্গার কারণে ফুলগাজীর উত্তর বরইয়া, দক্ষিণ বরইয়া, বণিকপাড়া, বসন্তপুর ও জগৎপুর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ফুলগাজীর তরকারি বাজার-সংলগ্ন স্থানে মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করে বাজারের একটি অংশ প্লাবিত হয়েছে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের সুবার বাজার সংলগ্ন মনিপুর গ্রামে বাঁধ ভেঙ্গে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। স্থানীয়দের অনেক নানাভাবে চেষ্টা করেও ভাঙন ঠেকাতে পারেনি।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। জুন থেকে আগস্ট মাসে সামান্য বৃষ্টিতেই লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। বাড়ি-ঘর ও হাট-বাজারে দোকানের জিনিসপত্র পানিতে ভিজে ক্ষতির মুখে পড়তে দেখা গেছে বিগত বেশ কয়েক বছর।
মূলত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা, সেচ্ছাচারিতার কারণে দীর্ঘদিন থেকে এ জনপদের মানুষ বন্যার সঙ্গে নিজেদের অনেকটা মানিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীদের রয়েছে। এছাড়াও তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার পরিবর্তন হয় কিন্তু পরিবর্তন হয়না ফেনীর উত্তরাঞ্চল তথা ফুলগাজী পরশুরামের মানুষের ভাগ্যের।
ভারি বর্ষণ আর ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে বাঁধ ভাঙ্গলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে এসে কোনো রকমের জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামত করে তারা চলে যায়। স্থায়ী বাঁধ নির্মানের কথা থাকলেও পরবর্তীতে অর্থ সংকট দেখায় কর্মকর্তারা। আজও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করার খবরে কর্মকর্তারা এসে ঘুরে গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রেজ রিডার নেপাল সাহা বলেন, মুহুরী নদীর পানি শুক্রবার,(২০ জুন ২০২৫) শুক্রবার সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে।
শুক্রবার সকালে মুহুরী নদীর পানির ১০.৬৮ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। অথচ একদিন আগে বৃহস্পতিবারও সারাদিন বিপৎসীমার কাছাকাছি ছিল।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতিদায়িত্ব) আক্তার হোসেন মজুমদার জানান, মুহুরী নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে বাধেঁর বেশ কয়েকটি স্থান এখনও ঝুঁকিতে রয়েছে। একটি স্থানে বাঁধ ভেঙেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে বাঁধ ভেঙে নিম্নঞ্চল প্লাবিত। শুক্রবার তোলা -সংবাদ
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
ফেনীতে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর দু’টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাতে এ ভাঙন সৃষ্টি হয়।
বাঁধ ভাঙ্গার কারণে ফুলগাজীর উত্তর বরইয়া, দক্ষিণ বরইয়া, বণিকপাড়া, বসন্তপুর ও জগৎপুর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ফুলগাজীর তরকারি বাজার-সংলগ্ন স্থানে মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করে বাজারের একটি অংশ প্লাবিত হয়েছে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের সুবার বাজার সংলগ্ন মনিপুর গ্রামে বাঁধ ভেঙ্গে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। স্থানীয়দের অনেক নানাভাবে চেষ্টা করেও ভাঙন ঠেকাতে পারেনি।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। জুন থেকে আগস্ট মাসে সামান্য বৃষ্টিতেই লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। বাড়ি-ঘর ও হাট-বাজারে দোকানের জিনিসপত্র পানিতে ভিজে ক্ষতির মুখে পড়তে দেখা গেছে বিগত বেশ কয়েক বছর।
মূলত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা, সেচ্ছাচারিতার কারণে দীর্ঘদিন থেকে এ জনপদের মানুষ বন্যার সঙ্গে নিজেদের অনেকটা মানিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীদের রয়েছে। এছাড়াও তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার পরিবর্তন হয় কিন্তু পরিবর্তন হয়না ফেনীর উত্তরাঞ্চল তথা ফুলগাজী পরশুরামের মানুষের ভাগ্যের।
ভারি বর্ষণ আর ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে বাঁধ ভাঙ্গলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে এসে কোনো রকমের জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামত করে তারা চলে যায়। স্থায়ী বাঁধ নির্মানের কথা থাকলেও পরবর্তীতে অর্থ সংকট দেখায় কর্মকর্তারা। আজও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করার খবরে কর্মকর্তারা এসে ঘুরে গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রেজ রিডার নেপাল সাহা বলেন, মুহুরী নদীর পানি শুক্রবার,(২০ জুন ২০২৫) শুক্রবার সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে।
শুক্রবার সকালে মুহুরী নদীর পানির ১০.৬৮ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। অথচ একদিন আগে বৃহস্পতিবারও সারাদিন বিপৎসীমার কাছাকাছি ছিল।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতিদায়িত্ব) আক্তার হোসেন মজুমদার জানান, মুহুরী নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে বাধেঁর বেশ কয়েকটি স্থান এখনও ঝুঁকিতে রয়েছে। একটি স্থানে বাঁধ ভেঙেছে।