গাইবান্ধার সদর উপজেলায় বল্লমঝড় ইউনিয়নের একজন উদ্যোক্তার মাশরুম চাষের ঘর -সংবাদ
সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের উদাসীনতা, অবকাঠামোগত ঘাটতি ও অবহেলার কারণে মাশরুম উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প কোনো কাজেই আসছে না। প্রকল্পে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা বলা হলেও উল্টো উদ্যোক্তাদের ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দেখা দিয়েছে।
মাশরুম চাষ ছেড়ে দিতে চান উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল
মার্কেটিং করার সামর্থ্য থাকলেও আমার উৎপাদন নেই :
সহিদা বেগম
ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে:
কৃষি সচিব
মাশরুম উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, বরাদ্দ অনুপাতে কাজ করা হয়নি। আবার খাতা-কলমে বরাদ্দ পরিশোধ দেখানো হলেও অর্ধেক কাজ হয়েছে। এছাড়া প্রদর্শনীর কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় দুই বছর আগে ট্রেনিং নিয়েও উৎপাদনে যেতে পারছেন না তারা। এ কারণে অনেক উদ্যোগতা এখন মাশরুম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবেই প্রকল্পগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে কৃষক সাফলতা পাচ্ছে না।
সরেজমিনে গাইবান্ধার সদর উপজেলার বল্লমঝড় ইউনিয়নের ‘কৃষাণ মাশরুম’ এর প্রদর্শনী পরিদর্শন করে দেখা যায়, তিনি দুই বছর আগে ট্রেনিং নিলেও উৎপাদনে যেতে পারেনি। ইনুবেশন ঘর ও চাষঘর করার কথা থাকলেও একটি ঘর হয়েছে। যা হয়েছে তাও আবার নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে। পিভিসি দরজা দেয়ার কথা থাকলেও তা নেটের দেয়া হয়েছে। সেখানে যে কাঠ দেয়া হয়েছে তা এখনি পচন ধরার অবস্থা।
উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল সংবাদকে বলেন, ‘প্রথম ব্যাচে সাভারের মাশরুম উন্নয়ন কেন্দ্রে ২৩ সালে ১০ দিনে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে চাষ করলেও সরকারিভাবে করা প্রকল্পের মাধ্যমে কোনো প্রোডাকশনে যেতে পারি নাই।’
’২৩ সালে ট্রেনিং নিয়েও এখনও উৎপাদনে যাননি বা স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা দিবো, দিচ্ছি বলে ঘুরাইয়া নিয়ে বেড়াইছে। এখনও তো দেয়া শুরু করেছে তাও (তবুও) কম্পিলিট (শেষ) করতে পারে নাই।’
মোস্তফা কামাল আক্ষেপ করে বলেন, ‘আামি যদি মাশরুম তৈরি করতে
যাই। আমার সর্বপ্রথম লাগবে ওয়াটার সিস্টেম। মাশরুম অন্যকিছু খায় না, খায় ফ্রেস সাদা পানি। যেটা আমার সবচেয়ে বেশি জরুরি সেটাই আমি পাইনি। এখানে ত্রিপল আছে, কুলিং ফ্যান আছে, অনেক কিছু আমি পাইনি।’
‘আমার প্রদর্শনীর জন্য বিএস ও উপজেলা কৃষি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তারা বারবার বলে এই দিবো দিচ্ছি! এই করে আমার ট্রেনিংয়ের প্রায় দেড় বছর চলে গেল’, বলেও আক্ষেপ তার।
গত বছরে মাশরুম চাষের জন্য ১০ দিনের ট্রেনিং নিয়েছেন গাইবান্ধার সদরের বাদিয়াখালীর চুনিয়া কান্দির সহিদা বেগম। তিনি সংবাদকে জানান, আমি ঢাকায় বিউটিশিয়ানের কাজ করতাম। আট মাস আগে মাশরুম প্রজেক্ট পাই। তখন ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে উদ্যোক্ততা হওয়ার ফিরে আসি। কৃষি অফিস থেকে আজ পর্যন্ত কোনো কিছু পাই নাই। সাংবাদিক মাশরুষ চাষ নিয়ে তৎপরতা কারণে গত চার-পাঁচ হলে একটা ঘরে কাঠামো করে দিছে। চাল বেড়া কিছুই করে দেয় নাই। আমি এখন বেকার হয়েছি।
তিনি কান্না জড়ানো কন্ঠে বলেন, ‘ট্রেনিং নিচি (নিয়েছি) প্রায় বছর হতে চললো আর আমার ঘর হলো না, ঘরের মাটি দেয়ার জন্য গর্ত করছি এখন বৃষ্টিতে তো ঘরও ভেঙ্গে যাচ্ছে। এখন কী করি! আমার তো আগে পিছে কিছুই থাকলো না।’
সহিদা বেগমের আক্ষেপ আরও আগে কাজ শুরু করলে এই সমস্যায় পড়তেন না। এ বিষয়ে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে থেকেই উদ্যোগী বেশি আমাকে যে তারা জাগাবে সেই চিন্তা আমি করি না। তবে এক স্যারের সঙ্গে আলোচনা করার পর একটু আগাইতেছে।’
তিনি ইতোমধ্যে ওই এলাকার ৩০ জন চাষিকে ট্রেনিং দিয়েছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘মাশরুম বিক্রি করা খুবই সহজ। আমার মার্কেটিং করার সামর্থ আছে কিন্তু প্রোডাকশন নাই!’
গাইবান্ধায় স্বামীর বাড়িতে প্রকল্পটির কাজ শুরু না হওয়ায় নানাজনের নানান কথাও শুনতে হয় তাকে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেনে সংবাদকে বলেন, ‘আমার লাইবেলিটিজ আমি দেখব্।ো’
মোস্তফা কামালের একটি ঘর দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘তাকে দু’টি রুম দেয়া হয়েছে।’ সরেজমিনে ঘুরে একটি ঘর পাওয়া গেছে। মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকারিভাবে যে লিস্ট দিছে সেখানে অনেক জিনিস আছে কিন্তু বাস্তবে অনেক কম। আমি অন্য জায়গা দুইটা ঘর দেখিছি কিন্ত আমাকে একটা ঘর দেয়া হয়েছে।’
প্রকল্প সূত্রে জানাগেছে, সারাদেশে মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৬০টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ৮০০ জন মাশরুম শিল্পোদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। এর মধ্যে কাগজে কলমে ৪০০টি মাশরুম শিল্পোদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে।
’২৩ সালের ট্রেনিং নিয়েও এখনও ঘরে মাশরুম চাষ করতে পারেনি উদ্যোক্ততা এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) আখতার জাহান কাঁকন সংবাদকে বলেন, ‘এ রকম হওয়ার কথানা।’ তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সংবাদকে বলেন,‘ এমনটা হওয়ার কথা নয়, ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্দেশ্য পুষ্টি উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হলেও সেই উদ্যোগের ছোঁয়া লাগেনি, কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে প্রকল্পের সঠিক ব্যবহার না হওয়ায় কৃষিতে কাঙ্খিত সফলতা আসছে না।
গাইবান্ধার সদর উপজেলায় বল্লমঝড় ইউনিয়নের একজন উদ্যোক্তার মাশরুম চাষের ঘর -সংবাদ
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের উদাসীনতা, অবকাঠামোগত ঘাটতি ও অবহেলার কারণে মাশরুম উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প কোনো কাজেই আসছে না। প্রকল্পে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা বলা হলেও উল্টো উদ্যোক্তাদের ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দেখা দিয়েছে।
মাশরুম চাষ ছেড়ে দিতে চান উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল
মার্কেটিং করার সামর্থ্য থাকলেও আমার উৎপাদন নেই :
সহিদা বেগম
ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে:
কৃষি সচিব
মাশরুম উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, বরাদ্দ অনুপাতে কাজ করা হয়নি। আবার খাতা-কলমে বরাদ্দ পরিশোধ দেখানো হলেও অর্ধেক কাজ হয়েছে। এছাড়া প্রদর্শনীর কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় দুই বছর আগে ট্রেনিং নিয়েও উৎপাদনে যেতে পারছেন না তারা। এ কারণে অনেক উদ্যোগতা এখন মাশরুম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবেই প্রকল্পগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে কৃষক সাফলতা পাচ্ছে না।
সরেজমিনে গাইবান্ধার সদর উপজেলার বল্লমঝড় ইউনিয়নের ‘কৃষাণ মাশরুম’ এর প্রদর্শনী পরিদর্শন করে দেখা যায়, তিনি দুই বছর আগে ট্রেনিং নিলেও উৎপাদনে যেতে পারেনি। ইনুবেশন ঘর ও চাষঘর করার কথা থাকলেও একটি ঘর হয়েছে। যা হয়েছে তাও আবার নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে। পিভিসি দরজা দেয়ার কথা থাকলেও তা নেটের দেয়া হয়েছে। সেখানে যে কাঠ দেয়া হয়েছে তা এখনি পচন ধরার অবস্থা।
উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল সংবাদকে বলেন, ‘প্রথম ব্যাচে সাভারের মাশরুম উন্নয়ন কেন্দ্রে ২৩ সালে ১০ দিনে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে চাষ করলেও সরকারিভাবে করা প্রকল্পের মাধ্যমে কোনো প্রোডাকশনে যেতে পারি নাই।’
’২৩ সালে ট্রেনিং নিয়েও এখনও উৎপাদনে যাননি বা স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা দিবো, দিচ্ছি বলে ঘুরাইয়া নিয়ে বেড়াইছে। এখনও তো দেয়া শুরু করেছে তাও (তবুও) কম্পিলিট (শেষ) করতে পারে নাই।’
মোস্তফা কামাল আক্ষেপ করে বলেন, ‘আামি যদি মাশরুম তৈরি করতে
যাই। আমার সর্বপ্রথম লাগবে ওয়াটার সিস্টেম। মাশরুম অন্যকিছু খায় না, খায় ফ্রেস সাদা পানি। যেটা আমার সবচেয়ে বেশি জরুরি সেটাই আমি পাইনি। এখানে ত্রিপল আছে, কুলিং ফ্যান আছে, অনেক কিছু আমি পাইনি।’
‘আমার প্রদর্শনীর জন্য বিএস ও উপজেলা কৃষি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তারা বারবার বলে এই দিবো দিচ্ছি! এই করে আমার ট্রেনিংয়ের প্রায় দেড় বছর চলে গেল’, বলেও আক্ষেপ তার।
গত বছরে মাশরুম চাষের জন্য ১০ দিনের ট্রেনিং নিয়েছেন গাইবান্ধার সদরের বাদিয়াখালীর চুনিয়া কান্দির সহিদা বেগম। তিনি সংবাদকে জানান, আমি ঢাকায় বিউটিশিয়ানের কাজ করতাম। আট মাস আগে মাশরুম প্রজেক্ট পাই। তখন ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে উদ্যোক্ততা হওয়ার ফিরে আসি। কৃষি অফিস থেকে আজ পর্যন্ত কোনো কিছু পাই নাই। সাংবাদিক মাশরুষ চাষ নিয়ে তৎপরতা কারণে গত চার-পাঁচ হলে একটা ঘরে কাঠামো করে দিছে। চাল বেড়া কিছুই করে দেয় নাই। আমি এখন বেকার হয়েছি।
তিনি কান্না জড়ানো কন্ঠে বলেন, ‘ট্রেনিং নিচি (নিয়েছি) প্রায় বছর হতে চললো আর আমার ঘর হলো না, ঘরের মাটি দেয়ার জন্য গর্ত করছি এখন বৃষ্টিতে তো ঘরও ভেঙ্গে যাচ্ছে। এখন কী করি! আমার তো আগে পিছে কিছুই থাকলো না।’
সহিদা বেগমের আক্ষেপ আরও আগে কাজ শুরু করলে এই সমস্যায় পড়তেন না। এ বিষয়ে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে থেকেই উদ্যোগী বেশি আমাকে যে তারা জাগাবে সেই চিন্তা আমি করি না। তবে এক স্যারের সঙ্গে আলোচনা করার পর একটু আগাইতেছে।’
তিনি ইতোমধ্যে ওই এলাকার ৩০ জন চাষিকে ট্রেনিং দিয়েছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘মাশরুম বিক্রি করা খুবই সহজ। আমার মার্কেটিং করার সামর্থ আছে কিন্তু প্রোডাকশন নাই!’
গাইবান্ধায় স্বামীর বাড়িতে প্রকল্পটির কাজ শুরু না হওয়ায় নানাজনের নানান কথাও শুনতে হয় তাকে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেনে সংবাদকে বলেন, ‘আমার লাইবেলিটিজ আমি দেখব্।ো’
মোস্তফা কামালের একটি ঘর দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘তাকে দু’টি রুম দেয়া হয়েছে।’ সরেজমিনে ঘুরে একটি ঘর পাওয়া গেছে। মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকারিভাবে যে লিস্ট দিছে সেখানে অনেক জিনিস আছে কিন্তু বাস্তবে অনেক কম। আমি অন্য জায়গা দুইটা ঘর দেখিছি কিন্ত আমাকে একটা ঘর দেয়া হয়েছে।’
প্রকল্প সূত্রে জানাগেছে, সারাদেশে মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৬০টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ৮০০ জন মাশরুম শিল্পোদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। এর মধ্যে কাগজে কলমে ৪০০টি মাশরুম শিল্পোদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে।
’২৩ সালের ট্রেনিং নিয়েও এখনও ঘরে মাশরুম চাষ করতে পারেনি উদ্যোক্ততা এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) আখতার জাহান কাঁকন সংবাদকে বলেন, ‘এ রকম হওয়ার কথানা।’ তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সংবাদকে বলেন,‘ এমনটা হওয়ার কথা নয়, ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্দেশ্য পুষ্টি উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হলেও সেই উদ্যোগের ছোঁয়া লাগেনি, কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে প্রকল্পের সঠিক ব্যবহার না হওয়ায় কৃষিতে কাঙ্খিত সফলতা আসছে না।