সিলেটের লামাবাজার এলাকায় গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জসিমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত (ক্লোজ) করার পর বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার রেজাউল করিম জানান, অভিযোগটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে রবিবার (২২ জুন ২০২৫) মধ্যেই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের মিডিয়া সেলের সম্পাদক ও যুগ্ম সদস্য সচিব ফখরুল হাসান জানান, সিলেটের লামাবাজার এলাকায় ফজরের নামাজের পর চায়ের দোকান খোলার কারণে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন লামাবাজার এলাকার গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিন। এ ঘটনায় অভিযোগ লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জসিমের বিরুদ্ধে।
ফখরুল হাসান জানান, আহত ওই ব্যক্তি আন্দোলনের সময় আহত হয়ে বর্তমানে সিএনজি চালাতে না পেরে জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি ছোট চায়ের দোকান চালান। প্রতিদিনের মতো শনিবার ফজরের পর দোকান খুললে এসআই জসিম এসে ‘এত সকালে দোকান খোলা কেন?’ জানতে চেয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় জোর করে ভ্যানে তুলতে গেলে আহত ব্যক্তি জানান, ‘আমি একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা। আন্দোলনে আহত হওয়ার পর দীর্ঘসময় বসে থাকতে পারি না, তাই এই দোকান দিয়েছি। আমাকে জেলে দিলে পরিবার না খেয়ে মরবে।’ জবাবে এসআই জসিম বলেন, ‘তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ এই বলে কিল, ঘুষি, থাপ্পড় মারতে মারতে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে এসআই জসিম ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যান। বর্তমানে আহত ব্যক্তি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলা কমিটি এবং জুলাইযোদ্ধাদের সহযোদ্ধারা। অনতিবিলম্ব এসআই জসিম ও কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
সিলেটের লামাবাজার এলাকায় গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জসিমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত (ক্লোজ) করার পর বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার রেজাউল করিম জানান, অভিযোগটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে রবিবার (২২ জুন ২০২৫) মধ্যেই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের মিডিয়া সেলের সম্পাদক ও যুগ্ম সদস্য সচিব ফখরুল হাসান জানান, সিলেটের লামাবাজার এলাকায় ফজরের নামাজের পর চায়ের দোকান খোলার কারণে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন লামাবাজার এলাকার গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিন। এ ঘটনায় অভিযোগ লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জসিমের বিরুদ্ধে।
ফখরুল হাসান জানান, আহত ওই ব্যক্তি আন্দোলনের সময় আহত হয়ে বর্তমানে সিএনজি চালাতে না পেরে জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি ছোট চায়ের দোকান চালান। প্রতিদিনের মতো শনিবার ফজরের পর দোকান খুললে এসআই জসিম এসে ‘এত সকালে দোকান খোলা কেন?’ জানতে চেয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় জোর করে ভ্যানে তুলতে গেলে আহত ব্যক্তি জানান, ‘আমি একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা। আন্দোলনে আহত হওয়ার পর দীর্ঘসময় বসে থাকতে পারি না, তাই এই দোকান দিয়েছি। আমাকে জেলে দিলে পরিবার না খেয়ে মরবে।’ জবাবে এসআই জসিম বলেন, ‘তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ এই বলে কিল, ঘুষি, থাপ্পড় মারতে মারতে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে এসআই জসিম ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যান। বর্তমানে আহত ব্যক্তি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলা কমিটি এবং জুলাইযোদ্ধাদের সহযোদ্ধারা। অনতিবিলম্ব এসআই জসিম ও কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।