ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে সব পক্ষকে ‘সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা’ পালনের আহ্বান জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাহ আসিফ রহমান ব্রিফিংয়ে ওই বিবৃতি পড়ে শোনান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি একটি নাজুক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ।”
গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে। এর পাল্টা হিসেবে ইরানও ইসরায়েলে হামলা চালায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালালে সংঘাতের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপকে অঞ্চলজুড়ে আরও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাজনক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেক পর্যবেক্ষক।
বিশ্বনেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই এ ধরনের হামলার বিষয়ে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তারা উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান এবং কূটনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশও একইভাবে সহিংসতা থেকে বিরত থেকে কূটনৈতিক পথ অনুসরণের পক্ষে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “যে কোনো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সংলাপ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পক্ষে বাংলাদেশ তার দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে।”
“বাংলাদেশ সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়তে পারে এমন যে কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, “মধ্যপ্রাচ্যের চলমান পরিস্থিতি নিরসনে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছে।”
বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, “গঠনমূলক আলোচনা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে চলাই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র টেকসই পথ।”
রোববার, ২২ জুন ২০২৫
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে সব পক্ষকে ‘সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা’ পালনের আহ্বান জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাহ আসিফ রহমান ব্রিফিংয়ে ওই বিবৃতি পড়ে শোনান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি একটি নাজুক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ।”
গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে। এর পাল্টা হিসেবে ইরানও ইসরায়েলে হামলা চালায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালালে সংঘাতের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপকে অঞ্চলজুড়ে আরও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাজনক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেক পর্যবেক্ষক।
বিশ্বনেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই এ ধরনের হামলার বিষয়ে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তারা উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান এবং কূটনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশও একইভাবে সহিংসতা থেকে বিরত থেকে কূটনৈতিক পথ অনুসরণের পক্ষে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “যে কোনো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সংলাপ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পক্ষে বাংলাদেশ তার দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে।”
“বাংলাদেশ সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়তে পারে এমন যে কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, “মধ্যপ্রাচ্যের চলমান পরিস্থিতি নিরসনে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছে।”
বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, “গঠনমূলক আলোচনা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে চলাই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র টেকসই পথ।”