alt

জাতীয়

‘শান্তির পথ সংলাপে’, পারমাণবিক হামলা নিয়ে জাতিসংঘকে সক্রিয় হতে বলল ঢাকা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২২ জুন ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে সব পক্ষকে ‘সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা’ পালনের আহ্বান জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাহ আসিফ রহমান ব্রিফিংয়ে ওই বিবৃতি পড়ে শোনান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি একটি নাজুক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ।”

গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে। এর পাল্টা হিসেবে ইরানও ইসরায়েলে হামলা চালায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালালে সংঘাতের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপকে অঞ্চলজুড়ে আরও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাজনক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেক পর্যবেক্ষক।

বিশ্বনেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই এ ধরনের হামলার বিষয়ে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তারা উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান এবং কূটনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশও একইভাবে সহিংসতা থেকে বিরত থেকে কূটনৈতিক পথ অনুসরণের পক্ষে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “যে কোনো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সংলাপ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পক্ষে বাংলাদেশ তার দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে।”

“বাংলাদেশ সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়তে পারে এমন যে কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছে।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, “মধ্যপ্রাচ্যের চলমান পরিস্থিতি নিরসনে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছে।”

বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, “গঠনমূলক আলোচনা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে চলাই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র টেকসই পথ।”

সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে ধরে পুলিশে দিলো কথিত জনতা

শেখ হাসিনা ও সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা, ইসিতে অভিযোগ

১৮তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি

ওআইসিকে রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক ও মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

ছবি

গণতান্ত্রিক রূপান্তরে রাজনৈতিক দলের ভূমিকায় জোর কমিশন সহসভাপতির

ছবি

হোস্টেল না ছেড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ঢাকা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের

চোর চিনে ফেলায় বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

খুলনায় আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

জুলাই যোদ্ধাকে নির্যাতন, সিলেটে এসআই বরখাস্ত

বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা মেয়েসহ তিনজন নিহত

ছবি

মাশরুম প্রকল্প এখন কৃষকের ‘গলার কাঁটা’

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক আশার আলো: ফখরুল

বিয়ের বয়স কমিয়ে ভয়ঙ্কর উদাহরণ তৈরি করা হয়েছিল: উপদেষ্টা শারমীন

ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল অপ্রশস্ত সড়কে আড়াই বছরে নিহত ৩৮

ছবি

নোয়াখালীতে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়, খোলা আকাশের নিচে অনেকে

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে ইউনূসের বক্তব্যকে ‘স্বৈরতন্ত্রের ভাষা’ বললেন আনু মুহাম্মদ

ছবি

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরও ৩৫২ জন, মৃত্যু ১

ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ

পলাশে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

ইসিতে নিবন্ধন: শেষ দিনে আবেদন ‘জমা দেবে’ এনসিপি

ছবি

ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান নতুন ত্রিপক্ষীয় জোট হচ্ছে

সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: সিইসি

উপাচার্য নিয়োগে তালিকা দিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল

ছবি

হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি ব্যবহার করবো: বিবিসিকে ইউনূস

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৮২

‘সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সহাবস্থানে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি’

পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের ‘সদিচ্ছা’ নেই: আদিবাসী ফোরাম

সমুদ্রসীমার পরিপূর্ণ হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

কারা ফটকে নোবেলের বিয়ে, কনে ধর্ষণ মামলার বাদী

ছবি

ট্রাঙ্কের তালা খুলে এইচএসসির প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা, দুইটি প্রশ্ন ছেঁড়া

৫ দিন বন্ধ ছিল ঘর, দরজা ভেঙে মিললো নারীর অর্ধগলিত মরদেহ

প্রকাশ্যে চলন্ত গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি, ভাইরাল ভিডিও দেখে গ্রেপ্তার ১

ছবি

পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর দু’টি স্থানে বাঁধ ভেঙে নিম্নঞ্চল প্লাবিত

ট্রেনে কাটা পড়ে দুই জেলায় ৫ জনের মৃত্যু

ছবি

ছুটির দিনেও সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

tab

জাতীয়

‘শান্তির পথ সংলাপে’, পারমাণবিক হামলা নিয়ে জাতিসংঘকে সক্রিয় হতে বলল ঢাকা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২২ জুন ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে সব পক্ষকে ‘সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা’ পালনের আহ্বান জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাহ আসিফ রহমান ব্রিফিংয়ে ওই বিবৃতি পড়ে শোনান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি একটি নাজুক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ।”

গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে। এর পাল্টা হিসেবে ইরানও ইসরায়েলে হামলা চালায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালালে সংঘাতের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপকে অঞ্চলজুড়ে আরও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাজনক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেক পর্যবেক্ষক।

বিশ্বনেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই এ ধরনের হামলার বিষয়ে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তারা উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান এবং কূটনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশও একইভাবে সহিংসতা থেকে বিরত থেকে কূটনৈতিক পথ অনুসরণের পক্ষে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “যে কোনো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সংলাপ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পক্ষে বাংলাদেশ তার দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে।”

“বাংলাদেশ সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়তে পারে এমন যে কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছে।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, “মধ্যপ্রাচ্যের চলমান পরিস্থিতি নিরসনে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছে।”

বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, “গঠনমূলক আলোচনা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে চলাই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র টেকসই পথ।”

back to top