বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (এমপিওভুক্ত) ‘এন্ট্রি লেভেলের’ লক্ষাধিক শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের ষষ্ঠ বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ।
একই দিনে সংস্থাটির ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল পুনর্বিবেচনা ও ই-সনদের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ফেল করা প্রার্থীরা। পুরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
রবিবার(২২-৬-২০২৫) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে
লক্ষাধিক শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এখন অনলাইনে এসব পদে নিয়োগের আবেদন করতে পারছেন প্রার্থীরা। যে কোন সময় ‘মেরিট লিস্টও’ প্রকাশ করা হবে বলে এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে ১৬ জুন এক লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ২২ জুন দুপুর ১২টা থেকে আবেদন ও ফি জমা দেয়া যাবে। ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এই আবেদন ও ফি জমা দেয়া যাবে।
এবার বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর বয়স ও নারী কোটা বিষয়ে পরিবর্তন হয়েছে। এতে বয়স ধরা হয় অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ ৪ জুন। এই তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। এতে সনদের মেয়াদ নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ থেকে ৩ বছর। সে অনুযায়ী ৪ জুন থেকে প্রার্থীর বয়স ও সনদের মেয়াদ ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতেÑ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনাকে বোঝানো হয়েছে।
এনটিআরসিএ বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল ও কলেজে ৪৬ হাজার ২১১টি শূন্যপদ, মাদরাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০টি উল্লেখ করা হয়েছে।
একজন প্রার্থী শূন্যপদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি প্রতিষ্ঠানে পছন্দ দিতে পারবে। এক হাজার টাকা আবেদন ফি দিয়ে এনটিআরসিএ এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবে। তবে আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে এই সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃত প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিত বা বাতিল এবং ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি বাতিলকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিলকৃত শূন্যপদগুলোর চাহিদা সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সংগৃহীত হওয়ায় ভুল চাহিদার কারণে নিয়োগ সুপারিশে কোনো জটিলতা হলে এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ফেল করা প্রার্থীদের বিক্ষোভ:
অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল পুনর্বিবেচনা ও ই-সনদের দাবিতে রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা অবরোধ করে ফেল করা প্রার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তাদের মধ্য থেকে সাতজনকে আটক করার কথা জানিয়ে পুলিশ বলেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) অংশ নেয়া সব প্রার্থীকে সনদ দেয়ার ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ সময় তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে সরতে অনীহা প্রকাশ করলে তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছিল ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী। গত ৪ জুন চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হলে তাদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়।
অনুত্তীর্ণ ২৩ হাজার প্রার্থীর একাংশ রবিবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে তাদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে এনটিআরসিএ সনদ দেয়ার দাবি জানায়। এসব প্রার্থী প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভাইভায় ভালো করলেও তাদের ‘ফেল’ করানো হয়েছে বলে তাদের দাবি।
রোববার, ২২ জুন ২০২৫
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (এমপিওভুক্ত) ‘এন্ট্রি লেভেলের’ লক্ষাধিক শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের ষষ্ঠ বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ।
একই দিনে সংস্থাটির ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল পুনর্বিবেচনা ও ই-সনদের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ফেল করা প্রার্থীরা। পুরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
রবিবার(২২-৬-২০২৫) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে
লক্ষাধিক শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এখন অনলাইনে এসব পদে নিয়োগের আবেদন করতে পারছেন প্রার্থীরা। যে কোন সময় ‘মেরিট লিস্টও’ প্রকাশ করা হবে বলে এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে ১৬ জুন এক লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ২২ জুন দুপুর ১২টা থেকে আবেদন ও ফি জমা দেয়া যাবে। ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এই আবেদন ও ফি জমা দেয়া যাবে।
এবার বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর বয়স ও নারী কোটা বিষয়ে পরিবর্তন হয়েছে। এতে বয়স ধরা হয় অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ ৪ জুন। এই তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। এতে সনদের মেয়াদ নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ থেকে ৩ বছর। সে অনুযায়ী ৪ জুন থেকে প্রার্থীর বয়স ও সনদের মেয়াদ ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতেÑ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনাকে বোঝানো হয়েছে।
এনটিআরসিএ বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল ও কলেজে ৪৬ হাজার ২১১টি শূন্যপদ, মাদরাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০টি উল্লেখ করা হয়েছে।
একজন প্রার্থী শূন্যপদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি প্রতিষ্ঠানে পছন্দ দিতে পারবে। এক হাজার টাকা আবেদন ফি দিয়ে এনটিআরসিএ এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবে। তবে আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে এই সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃত প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিত বা বাতিল এবং ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি বাতিলকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিলকৃত শূন্যপদগুলোর চাহিদা সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সংগৃহীত হওয়ায় ভুল চাহিদার কারণে নিয়োগ সুপারিশে কোনো জটিলতা হলে এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ফেল করা প্রার্থীদের বিক্ষোভ:
অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল পুনর্বিবেচনা ও ই-সনদের দাবিতে রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা অবরোধ করে ফেল করা প্রার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তাদের মধ্য থেকে সাতজনকে আটক করার কথা জানিয়ে পুলিশ বলেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) অংশ নেয়া সব প্রার্থীকে সনদ দেয়ার ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ সময় তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে সরতে অনীহা প্রকাশ করলে তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছিল ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী। গত ৪ জুন চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হলে তাদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়।
অনুত্তীর্ণ ২৩ হাজার প্রার্থীর একাংশ রবিবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে তাদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে এনটিআরসিএ সনদ দেয়ার দাবি জানায়। এসব প্রার্থী প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভাইভায় ভালো করলেও তাদের ‘ফেল’ করানো হয়েছে বলে তাদের দাবি।