জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানকে অপসারণ না করলে আগামী ২৮ জুন (শনিবার) থেকে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের সব দপ্তরে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করার হুমকি দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা। তাঁরা অভিযোগ করেন, এনবিআর চেয়ারম্যান ‘আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী’ আমলা হিসেবে কাজ করছেন এবং রাজস্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার রাজস্ব ভবনে সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলম বিরতি পালন করেন। এ সময় অনেককে কাফনের কাপড় পরে কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়।
এই আন্দোলনের মধ্যে রোববার আয়কর বিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়। এসব বদলিকে ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ উল্লেখ করে পরিষদ তাদের বদলি আদেশ বাতিলের দাবি জানায়।
সংগঠনটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকার রাজস্ব ভবনে ও ঢাকার বাইরে নিজ নিজ দপ্তরে কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
এরপর ২৫ ও ২৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ছাড়া সব দপ্তরে কর্মবিরতি চলবে।
২৭ জুনের মধ্যে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ ও বদলি আদেশ বাতিল না হলে ২৮ জুন থেকে শুরু হবে ‘লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন’।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, চেয়ারম্যান প্রতিহিংসামূলক বদলি করছেন, চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তাকে কর কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ‘বাইরের লোক’ এনে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।
মে মাসে সরকার এনবিআরকে দুই ভাগ করে ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ ও ‘রাজস্ব নীতি’ নামে দুটি আলাদা বিভাগ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি করে। ওই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নামলে সরকার পিছু হটে এবং আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায়। এরপরও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে পদত্যাগ দাবি করে আসছেন।
বর্তমানে এনবিআর চেয়ারম্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় অফিস করছেন।
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানকে অপসারণ না করলে আগামী ২৮ জুন (শনিবার) থেকে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের সব দপ্তরে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করার হুমকি দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা। তাঁরা অভিযোগ করেন, এনবিআর চেয়ারম্যান ‘আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী’ আমলা হিসেবে কাজ করছেন এবং রাজস্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার রাজস্ব ভবনে সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলম বিরতি পালন করেন। এ সময় অনেককে কাফনের কাপড় পরে কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়।
এই আন্দোলনের মধ্যে রোববার আয়কর বিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়। এসব বদলিকে ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ উল্লেখ করে পরিষদ তাদের বদলি আদেশ বাতিলের দাবি জানায়।
সংগঠনটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকার রাজস্ব ভবনে ও ঢাকার বাইরে নিজ নিজ দপ্তরে কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
এরপর ২৫ ও ২৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ছাড়া সব দপ্তরে কর্মবিরতি চলবে।
২৭ জুনের মধ্যে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ ও বদলি আদেশ বাতিল না হলে ২৮ জুন থেকে শুরু হবে ‘লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন’।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, চেয়ারম্যান প্রতিহিংসামূলক বদলি করছেন, চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তাকে কর কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ‘বাইরের লোক’ এনে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।
মে মাসে সরকার এনবিআরকে দুই ভাগ করে ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ ও ‘রাজস্ব নীতি’ নামে দুটি আলাদা বিভাগ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি করে। ওই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নামলে সরকার পিছু হটে এবং আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায়। এরপরও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে পদত্যাগ দাবি করে আসছেন।
বর্তমানে এনবিআর চেয়ারম্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় অফিস করছেন।