সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অন্যায় তদবির না মানলেই অপপ্রচারের শিকার হতে হয়—এমন অভিযোগ তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, “আমার কাছে বহু অন্যায় তদবির আসে। যখন সেগুলো মানি না, তখন দেখি ওই ব্যক্তিরা আমাকে ভারতের দালাল বলছে, আমার অতীত ইতিহাস টেনে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন প্রোগ্রাম বানানো হয়, যা ইচ্ছা বলা হয়।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমার জীবনে কখনো এত দুর্বল, শক্তিহীন ও অবরুদ্ধ অনুভব করিনি, যতটা এখন করছি উপদেষ্টা হয়ে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভয়াবহ সমালোচনা হচ্ছে।”
গণমাধ্যমে উপদেষ্টাদের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারের কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ অধিকাংশ উপদেষ্টা সেবকের মতো কাজ করছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যেন তাঁরা কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত।
আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিজের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “পুলিশসংক্রান্ত বিষয়ে আমার সাংবিধানিকভাবে কিছু করার সুযোগ নেই। যত ইচ্ছাই থাকুক, মিথ্যা মামলা হলে আমার করার কিছু থাকে না। কিন্তু কেউ সেটা বুঝতে চায় না।”
সামাজিক মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, “ইউনূস স্যার, শফিক ভাই, আমিসহ আমাদের বিরুদ্ধে অকল্পনীয় অপপ্রচার চলছে। আমরা একটাও মামলা করিনি। সবটা বাংলাদেশের মানুষের বিবেকের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।”
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তিনি বলেন, “এ দেশে সবাই মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও মামলা অনাকাঙ্ক্ষিত, তবে একেবারে অস্বাভাবিক নয়।”
তিনি আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বারবার বলেছে, যথাযথ প্রমাণ ছাড়া যেন কাউকে গ্রেপ্তার না করা হয়। তারপরও কিছু ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার হয়েছে। আমাদের ব্যর্থতা আছে, আমরা শিখছি।”
একাত্তর টিভির দুই সাংবাদিকের গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, “যে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সাংবাদিকতার কারণে নয়। তারা জামিন পাবে কি না—সেটা প্রশ্ন হতে পারে। তবে মামলা করেছে সাধারণ মানুষ, তাই আমাদের কিছু করার সুযোগ নেই।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, সাংবাদিক এম এ আজিজ, চিকিৎসক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান, প্রবাসী সাংবাদিক পারভীন এফ চৌধুরী ও ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দিন শিশির প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অন্যায় তদবির না মানলেই অপপ্রচারের শিকার হতে হয়—এমন অভিযোগ তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, “আমার কাছে বহু অন্যায় তদবির আসে। যখন সেগুলো মানি না, তখন দেখি ওই ব্যক্তিরা আমাকে ভারতের দালাল বলছে, আমার অতীত ইতিহাস টেনে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন প্রোগ্রাম বানানো হয়, যা ইচ্ছা বলা হয়।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমার জীবনে কখনো এত দুর্বল, শক্তিহীন ও অবরুদ্ধ অনুভব করিনি, যতটা এখন করছি উপদেষ্টা হয়ে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভয়াবহ সমালোচনা হচ্ছে।”
গণমাধ্যমে উপদেষ্টাদের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারের কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ অধিকাংশ উপদেষ্টা সেবকের মতো কাজ করছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যেন তাঁরা কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত।
আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিজের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “পুলিশসংক্রান্ত বিষয়ে আমার সাংবিধানিকভাবে কিছু করার সুযোগ নেই। যত ইচ্ছাই থাকুক, মিথ্যা মামলা হলে আমার করার কিছু থাকে না। কিন্তু কেউ সেটা বুঝতে চায় না।”
সামাজিক মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, “ইউনূস স্যার, শফিক ভাই, আমিসহ আমাদের বিরুদ্ধে অকল্পনীয় অপপ্রচার চলছে। আমরা একটাও মামলা করিনি। সবটা বাংলাদেশের মানুষের বিবেকের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।”
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তিনি বলেন, “এ দেশে সবাই মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও মামলা অনাকাঙ্ক্ষিত, তবে একেবারে অস্বাভাবিক নয়।”
তিনি আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বারবার বলেছে, যথাযথ প্রমাণ ছাড়া যেন কাউকে গ্রেপ্তার না করা হয়। তারপরও কিছু ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার হয়েছে। আমাদের ব্যর্থতা আছে, আমরা শিখছি।”
একাত্তর টিভির দুই সাংবাদিকের গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, “যে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সাংবাদিকতার কারণে নয়। তারা জামিন পাবে কি না—সেটা প্রশ্ন হতে পারে। তবে মামলা করেছে সাধারণ মানুষ, তাই আমাদের কিছু করার সুযোগ নেই।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, সাংবাদিক এম এ আজিজ, চিকিৎসক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান, প্রবাসী সাংবাদিক পারভীন এফ চৌধুরী ও ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দিন শিশির প্রমুখ।