সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার,(২৬ জুন ২০২৫) দুপুরে ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
সভায় প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা ভুল ছিল। কিন্তু কোনো সাংবাদিক বা প্রতিষ্ঠান কী বলতে পারবে, সচিবালয়ে সাংবাদিকের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে?’ তিনি বলেন, ‘প্রায় ৬০০ সাংবাদিক সচিবালয়ে প্রবেশের এক্সেস পেয়েছেন । তারা যাচ্ছেন, রিপোর্ট করছেন, আমরা তেমন কোনো কমপ্লেইন পাচ্ছি না। তবে এই কাজটা স্লো হয়ে গেছে। সবাইকে খুব দ্রুত অ্যাক্রেডিটেশন দেয়া উচিত।’
সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিল সরকার। সেই পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত কার্ড দেয়া হবে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘কমিটির কিছু পরামর্শ ছিল। সেগুলো বাস্তবায়ন করলে আমার মনে হয়, এই অবস্থা আরও ভালো জায়গায় যাবে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকারকে দোষারোপের রিপোর্ট হচ্ছে। কিন্তু সমালোচনা নিয়ে শক্ত সাংবাদিকতা হচ্ছে না। যা হচ্ছে তা খুবই গড়পড়তা প্রতিবেদন। তবে তথ্য প্রমাণভিত্তিক ভালো প্রতিবেদন প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘সরকার এখন কোনো গোয়েন্দা বা বাহিনী দিয়ে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে না। আমরা ভুল হলে ধরিয়ে দিচ্ছি। তখন বলা হচ্ছে সরকার বাধা দিচ্ছে। কোনো প্রতিবেদন হলে কালা কানুন
ব্যবহার হচ্ছে না। বরং এসব কালা কানুন বাতিল করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সাংবাদিকদের কোনো অন্যায় সুবিধা দিচ্ছে না। এর ব্যত্যয় থাকলে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার আহ্বান জানাচ্ছি। গত ১৫ বছরের বাজে সাংবাদিকতা নিয়ে একজন সাংবাদিকও দুঃখ প্রকাশ করেনি।’ এ সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের মুখোশ ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা উন্মোচনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও শিক্ষক পারভেজ করিম আব্বাসী, ফ্যাক্টচেকার ও দ্য ডিসেন্টের প্রতিষ্ঠাতা কদরুদ্দিন শিশির প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার,(২৬ জুন ২০২৫) দুপুরে ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
সভায় প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা ভুল ছিল। কিন্তু কোনো সাংবাদিক বা প্রতিষ্ঠান কী বলতে পারবে, সচিবালয়ে সাংবাদিকের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে?’ তিনি বলেন, ‘প্রায় ৬০০ সাংবাদিক সচিবালয়ে প্রবেশের এক্সেস পেয়েছেন । তারা যাচ্ছেন, রিপোর্ট করছেন, আমরা তেমন কোনো কমপ্লেইন পাচ্ছি না। তবে এই কাজটা স্লো হয়ে গেছে। সবাইকে খুব দ্রুত অ্যাক্রেডিটেশন দেয়া উচিত।’
সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিল সরকার। সেই পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত কার্ড দেয়া হবে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘কমিটির কিছু পরামর্শ ছিল। সেগুলো বাস্তবায়ন করলে আমার মনে হয়, এই অবস্থা আরও ভালো জায়গায় যাবে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকারকে দোষারোপের রিপোর্ট হচ্ছে। কিন্তু সমালোচনা নিয়ে শক্ত সাংবাদিকতা হচ্ছে না। যা হচ্ছে তা খুবই গড়পড়তা প্রতিবেদন। তবে তথ্য প্রমাণভিত্তিক ভালো প্রতিবেদন প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘সরকার এখন কোনো গোয়েন্দা বা বাহিনী দিয়ে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে না। আমরা ভুল হলে ধরিয়ে দিচ্ছি। তখন বলা হচ্ছে সরকার বাধা দিচ্ছে। কোনো প্রতিবেদন হলে কালা কানুন
ব্যবহার হচ্ছে না। বরং এসব কালা কানুন বাতিল করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সাংবাদিকদের কোনো অন্যায় সুবিধা দিচ্ছে না। এর ব্যত্যয় থাকলে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার আহ্বান জানাচ্ছি। গত ১৫ বছরের বাজে সাংবাদিকতা নিয়ে একজন সাংবাদিকও দুঃখ প্রকাশ করেনি।’ এ সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের মুখোশ ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা উন্মোচনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও শিক্ষক পারভেজ করিম আব্বাসী, ফ্যাক্টচেকার ও দ্য ডিসেন্টের প্রতিষ্ঠাতা কদরুদ্দিন শিশির প্রমুখ।