দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার,(২৬ জুন ২০২৫) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ শীর্ষক এক বৈঠকে সরকারপ্রধান এ নির্দেশ দেন তার দপ্তর জানিয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সরকারি ভবনে সোলার প্যানেল বসানোর কাজটি বেসরকারি উদ্যোগে করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে বিবেচনা করুন। যারা বসাবে তারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই এটার রক্ষণাবেক্ষণ করবে, কার্যকরভাবে এটা পরিচালনা করবে। সরকারের পক্ষ থেকে শুধু ছাদটা দেয়া হবে; বাকি কাজ তারাই করবে। এখন পর্যন্ত যে সব প্রতিষ্ঠান রুফটপ সোলার করেছে তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। তারা কী ধরনের সমস্যায় পড়েছে, সেগুলো জানতে হবে। সেই সমস্যাগুলো সমাধানের দিকে যেতে হবে।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে সব সরকারি ভবন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এবং সরকারি হাসপাতালের ছাদে সোলার প্যানেল বসাতে বলা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলেছে, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য সরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাকে কোনো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে না। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত ছাদের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়া পাবে।
বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, ইন্টারন্যাশনাল রিনিউবেল এনার্জি এজেন্সির (আইআরইএনএ) ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌরবিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভারতে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৭.১৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৭ শতাংশ উৎপাদন
হলেও বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার মাত্র ৫.৬ শতাংশ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে থাকে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে পূরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আর আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে এই পরিমাণ ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় সরকার।
এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ইতোমধ্যে ৫২৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার স্থলভিত্তিক ৫৫টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দরপত্র কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়ন হতে আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে কর্মকর্তারা বৈঠকে তুলে ধরেছেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উপস্থিত ছিলেন।
হজের আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ
আগামী বছরের হজ কার্যক্রম যেন আরও সহজ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেজন্য এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, ‘এ বছর ছোটখাটো যেসব ত্রুটি ধরা পড়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে সেগুলো যেন না হয় তার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দেন বলে তার দপ্তর জানিয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এ বছর হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। সবাই প্রশংসা করেছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পরিশ্রম করেছে- এজন্য সবাইকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা।’
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান, আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১০ জুলাই বাংলাদেশিদের জন্য হজ কোটা ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার,(২৬ জুন ২০২৫) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ শীর্ষক এক বৈঠকে সরকারপ্রধান এ নির্দেশ দেন তার দপ্তর জানিয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সরকারি ভবনে সোলার প্যানেল বসানোর কাজটি বেসরকারি উদ্যোগে করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে বিবেচনা করুন। যারা বসাবে তারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই এটার রক্ষণাবেক্ষণ করবে, কার্যকরভাবে এটা পরিচালনা করবে। সরকারের পক্ষ থেকে শুধু ছাদটা দেয়া হবে; বাকি কাজ তারাই করবে। এখন পর্যন্ত যে সব প্রতিষ্ঠান রুফটপ সোলার করেছে তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। তারা কী ধরনের সমস্যায় পড়েছে, সেগুলো জানতে হবে। সেই সমস্যাগুলো সমাধানের দিকে যেতে হবে।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে সব সরকারি ভবন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এবং সরকারি হাসপাতালের ছাদে সোলার প্যানেল বসাতে বলা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলেছে, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য সরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাকে কোনো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে না। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত ছাদের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়া পাবে।
বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, ইন্টারন্যাশনাল রিনিউবেল এনার্জি এজেন্সির (আইআরইএনএ) ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌরবিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভারতে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৭.১৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৭ শতাংশ উৎপাদন
হলেও বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার মাত্র ৫.৬ শতাংশ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে থাকে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে পূরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আর আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে এই পরিমাণ ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় সরকার।
এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ইতোমধ্যে ৫২৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার স্থলভিত্তিক ৫৫টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দরপত্র কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়ন হতে আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে কর্মকর্তারা বৈঠকে তুলে ধরেছেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উপস্থিত ছিলেন।
হজের আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ
আগামী বছরের হজ কার্যক্রম যেন আরও সহজ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেজন্য এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, ‘এ বছর ছোটখাটো যেসব ত্রুটি ধরা পড়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে সেগুলো যেন না হয় তার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দেন বলে তার দপ্তর জানিয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এ বছর হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। সবাই প্রশংসা করেছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পরিশ্রম করেছে- এজন্য সবাইকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা।’
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান, আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১০ জুলাই বাংলাদেশিদের জন্য হজ কোটা ঘোষণা করা হবে।