উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ‘অন্যায় তদবির’ না মানলেই অপপ্রচারের শিকার হতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তার কাছে ‘বহু অন্যায় তদবির’ আসে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন সেগুলো মানি না, তখন দেখি ওই ব্যক্তিরা আমাকে ভারতের দালাল বলছে, আমার অতীত ইতিহাস টেনে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন
প্রোগ্রাম বানানো হয়, যা ইচ্ছা বলা হয়।’
বৃহস্পতিবার,(২৬ জুন ২০২৫) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা : সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জীবনে কখনো এত দুর্বল, শক্তিহীন ও অবরুদ্ধ অনুভব করিনি, যতটা এখন করছি উপদেষ্টা হয়ে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভয়াবহ সমালোচনা হচ্ছে।’
গণমাধ্যমে উপদেষ্টাদের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারের কথা তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ অধিকাংশ উপদেষ্টা ‘সেবকের’ মতো কাজ করছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যেন তারা কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত।
তিনি বলেন, ‘ইউনূস স্যার, শফিক ভাই, আমিসহ আমাদের বিরুদ্ধে অকল্পনীয় অপপ্রচার চলছে। আমরা একটাও মামলা করিনি। সবটা বাংলাদেশের মানুষের বিবেকের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’
দায়িত্বপালন কালে সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশসংক্রান্ত বিষয়ে আমার সাংবিধানিকভাবে কিছু করার সুযোগ নেই। যত ইচ্ছাই থাকুক, মিথ্যা মামলা হলে আমার করার কিছু থাকে না। কিন্তু কেউ সেটা বুঝতে চায় না।’
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ দেশে সবাই মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও মামলা অনাকাঙ্খিত, তবে একেবারে অস্বাভাবিক নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বারবার বলেছে, যথাযথ প্রমাণ ছাড়া যেন কাউকে গ্রেপ্তার না করা হয়। তারপরও কিছু ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার হয়েছে। আমাদের ব্যর্থতা আছে, আমরা শিখছি।’
একাত্তর টিভির দুই সাংবাদিকের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সাংবাদিকতার কারণে নয়। তারা জামিন পাবে কিনা-সেটা প্রশ্ন হতে পারে। তবে মামলা করেছে সাধারণ মানুষ, তাই আমাদের কিছু করার সুযোগ নেই।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, সাংবাদিক এমএ আজিজ, চিকিৎসক সাখাওয়াৎ হোসেন প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ‘অন্যায় তদবির’ না মানলেই অপপ্রচারের শিকার হতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তার কাছে ‘বহু অন্যায় তদবির’ আসে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন সেগুলো মানি না, তখন দেখি ওই ব্যক্তিরা আমাকে ভারতের দালাল বলছে, আমার অতীত ইতিহাস টেনে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন
প্রোগ্রাম বানানো হয়, যা ইচ্ছা বলা হয়।’
বৃহস্পতিবার,(২৬ জুন ২০২৫) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা : সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জীবনে কখনো এত দুর্বল, শক্তিহীন ও অবরুদ্ধ অনুভব করিনি, যতটা এখন করছি উপদেষ্টা হয়ে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভয়াবহ সমালোচনা হচ্ছে।’
গণমাধ্যমে উপদেষ্টাদের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারের কথা তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ অধিকাংশ উপদেষ্টা ‘সেবকের’ মতো কাজ করছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যেন তারা কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত।
তিনি বলেন, ‘ইউনূস স্যার, শফিক ভাই, আমিসহ আমাদের বিরুদ্ধে অকল্পনীয় অপপ্রচার চলছে। আমরা একটাও মামলা করিনি। সবটা বাংলাদেশের মানুষের বিবেকের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’
দায়িত্বপালন কালে সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশসংক্রান্ত বিষয়ে আমার সাংবিধানিকভাবে কিছু করার সুযোগ নেই। যত ইচ্ছাই থাকুক, মিথ্যা মামলা হলে আমার করার কিছু থাকে না। কিন্তু কেউ সেটা বুঝতে চায় না।’
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ দেশে সবাই মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও মামলা অনাকাঙ্খিত, তবে একেবারে অস্বাভাবিক নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বারবার বলেছে, যথাযথ প্রমাণ ছাড়া যেন কাউকে গ্রেপ্তার না করা হয়। তারপরও কিছু ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার হয়েছে। আমাদের ব্যর্থতা আছে, আমরা শিখছি।’
একাত্তর টিভির দুই সাংবাদিকের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সাংবাদিকতার কারণে নয়। তারা জামিন পাবে কিনা-সেটা প্রশ্ন হতে পারে। তবে মামলা করেছে সাধারণ মানুষ, তাই আমাদের কিছু করার সুযোগ নেই।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, সাংবাদিক এমএ আজিজ, চিকিৎসক সাখাওয়াৎ হোসেন প্রমুখ।