শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা (আওয়ামী লীগ) সরকারের পতন ঘটেছিল গত বছর ৫ আগস্ট। ওই দিনটি (৫ আগস্ট) ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার পতনের তিন দিনের মাথায় গত বছর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ওই দিনটি (৮ আগস্ট) ঘোষণা করা হয়েছে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’।

আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যুর দিন ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আলাদা পরিপত্রে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। প্রতিবছর যথাযথ মর্যাদায় দিবসগুলো পালন করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে পরিপত্রে।

এর মধ্যে ৫ আগস্টকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত এবং বাকি দু’টি তারিখকে ‘খ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের দিনটি সাধারণ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকার আগেই জানিয়েছিল।

২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ইস্যুতে চলমান ছাত্র আন্দোলন শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ছিল। পরে তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ৩৬ দিনের সেই আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের যে তালিকা অন্তর্বর্তী সরকার গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে, সেখানে ‘শহীদের সংখ্যা ৮৩৪’। তবে অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘ যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখানে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ‘১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত’ হতে পারে বলে ধারণা দেয়া হয়েছে।