আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের তিন সংসদ নির্বাচনে ‘দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড’ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এজন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, যার নেতৃত্বে রয়েছেন হাই কোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইন।
অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপণ), জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম।
অনিয়ম তদন্ত করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ কমিটি প্রতিবেদন দেবে বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও। তুমুল গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের দশ মাস পর এসে ‘জনগণের ভোট ছাড়া’ ওই নির্বাচনগুলো আয়োজনের অভিযোগে মামলা করেছে বিএনপি।
রোববার করা মামলাটিতে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন কমিশনের সব পদাধিকারী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে চার দিনের রিমান্ডেও পেয়েছে পুলিশ। এছাড়া বুধবার সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিন দিন হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মামলা, গ্রেপ্তার আর রিমান্ডের মধ্যেই অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন করল সরকার।
তিনটি সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “নির্বাচনগুলো নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোট প্রদানের অধিকার ভূলুণ্ঠিত করে সাজানো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে।
“বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগও এসব নির্বাচন পরিচালনকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এতে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র এবং মৌলিক মানবাধিকার বিপন্ন হয়েছে বলে আশঙ্কা রয়েছে।”
এ প্রেক্ষাপটে নির্বাচনগুলোতে ‘দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড’ তদন্ত করতে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
কমিটির কার্যপরিধি হবে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষক, দেশি ও বিদেশি তদারকি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ বিশ্লেষণ করা। নির্বাচনের বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এবং সার্বিকভাবে এগুলোর নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ ও বিশ্লেষণ করা, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ সীমাবদ্ধ করতে ও জনগণের ভোটাধিকার প্রদান বাধাগ্রস্ত করতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ও সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করা।
এছাড়া নির্বাচনগুলোতে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন, এর সচিবালয় ও প্রশাসনের ভূমিকা বিশ্লেষণ করা, নির্বাচন কার্যক্রমে আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণ করা, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনসমূহের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগসমূহ যাচাই ও অনুসন্ধান করা, বিশ্লেষণের ভিত্তিতে নির্বাচনগুলোতে অনিয়মের দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের সকল নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধিবিধান, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনিক আয়োজনের কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা, পরিবর্তন ও রূপরেখার বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে কমিটি।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের তিন সংসদ নির্বাচনে ‘দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড’ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এজন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, যার নেতৃত্বে রয়েছেন হাই কোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইন।
অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপণ), জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম।
অনিয়ম তদন্ত করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ কমিটি প্রতিবেদন দেবে বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও। তুমুল গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের দশ মাস পর এসে ‘জনগণের ভোট ছাড়া’ ওই নির্বাচনগুলো আয়োজনের অভিযোগে মামলা করেছে বিএনপি।
রোববার করা মামলাটিতে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন কমিশনের সব পদাধিকারী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে চার দিনের রিমান্ডেও পেয়েছে পুলিশ। এছাড়া বুধবার সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিন দিন হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মামলা, গ্রেপ্তার আর রিমান্ডের মধ্যেই অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন করল সরকার।
তিনটি সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “নির্বাচনগুলো নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোট প্রদানের অধিকার ভূলুণ্ঠিত করে সাজানো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে।
“বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগও এসব নির্বাচন পরিচালনকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এতে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র এবং মৌলিক মানবাধিকার বিপন্ন হয়েছে বলে আশঙ্কা রয়েছে।”
এ প্রেক্ষাপটে নির্বাচনগুলোতে ‘দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড’ তদন্ত করতে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
কমিটির কার্যপরিধি হবে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষক, দেশি ও বিদেশি তদারকি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ বিশ্লেষণ করা। নির্বাচনের বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এবং সার্বিকভাবে এগুলোর নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ ও বিশ্লেষণ করা, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ সীমাবদ্ধ করতে ও জনগণের ভোটাধিকার প্রদান বাধাগ্রস্ত করতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ও সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করা।
এছাড়া নির্বাচনগুলোতে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন, এর সচিবালয় ও প্রশাসনের ভূমিকা বিশ্লেষণ করা, নির্বাচন কার্যক্রমে আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণ করা, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনসমূহের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগসমূহ যাচাই ও অনুসন্ধান করা, বিশ্লেষণের ভিত্তিতে নির্বাচনগুলোতে অনিয়মের দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের সকল নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধিবিধান, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনিক আয়োজনের কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা, পরিবর্তন ও রূপরেখার বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে কমিটি।