‘জনগণের ভোট ছাড়া’ নির্বাচন সম্পন্ন করা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিএনপির করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার ফের চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ শুক্রবার শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত রোববার গ্রেপ্তার করার পর সোমবার নূরুল হুমাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত। সেই রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে পুনরায় দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার।
সেখানে বলা হয়, আসামির দেওয়া ‘চাঞ্চল্যকর’ তথ্য যাচাই-বাছাই করা এবং যে তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো নথি সংক্রান্ত তথ্য হওয়ায় নথি উদ্ধার করে যাচাইবাছাই করা প্রয়োজন।
“আসামি প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকাকালে যেহেতু ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাতানো ছিল, সেহেতু এটি একটি দাপ্তরিক সংঘবদ্ধ অপরাধ। আসামির নির্দেশে কীভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাতানোভাবে আয়োজন করা হয় তা এবং ওই নির্বাচনের বাজেট ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত তথ্য উদঘাটন করা প্রয়োজন।”
আবেদনে বলা হয়, কে এম নূরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামিদের বিষয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দিয়েছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে সেই তথ্য যাছাই করা প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। নুরুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম সজিব রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে আরো চারদিন রিমান্ডে নিয়ে সাবেক এই সিইসিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বলে প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম জানান।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান গত রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি তাদের সময়ের নির্বাচন কমিশনারদের আসামি করা হয়।
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
‘জনগণের ভোট ছাড়া’ নির্বাচন সম্পন্ন করা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিএনপির করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার ফের চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ শুক্রবার শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত রোববার গ্রেপ্তার করার পর সোমবার নূরুল হুমাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত। সেই রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে পুনরায় দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার।
সেখানে বলা হয়, আসামির দেওয়া ‘চাঞ্চল্যকর’ তথ্য যাচাই-বাছাই করা এবং যে তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো নথি সংক্রান্ত তথ্য হওয়ায় নথি উদ্ধার করে যাচাইবাছাই করা প্রয়োজন।
“আসামি প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকাকালে যেহেতু ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাতানো ছিল, সেহেতু এটি একটি দাপ্তরিক সংঘবদ্ধ অপরাধ। আসামির নির্দেশে কীভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাতানোভাবে আয়োজন করা হয় তা এবং ওই নির্বাচনের বাজেট ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত তথ্য উদঘাটন করা প্রয়োজন।”
আবেদনে বলা হয়, কে এম নূরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামিদের বিষয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দিয়েছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে সেই তথ্য যাছাই করা প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। নুরুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম সজিব রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে আরো চারদিন রিমান্ডে নিয়ে সাবেক এই সিইসিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বলে প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম জানান।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান গত রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি তাদের সময়ের নির্বাচন কমিশনারদের আসামি করা হয়।