দীর্ঘদিন ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের চাল। এতেই হিমশিম খাচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষ। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বেড়ে গেল প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। কিছুদিন আগেই অর্থাৎ কোরবানি ঈদের পর থেকে বেশ কিছুদিন চাল ছাড়া বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম স্থিতিশীল ছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি প্রায় ৮ টাকা বেড়েছে চালের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজি ও মুরগির দাম। শুক্রবার,(২৭ জুন ২০২৫) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি প্রায় ৮ টাকা বেড়েছে চালের দাম
ঢাকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঈদের পর চালকল মালিকদের সিন্ডিকেট আবার চাঙ্গা হয়েছে
একই সঙ্গে বেড়েছে মুরগি ও প্রায় সব ধরনের সবজির দাম
ঈদের পর এখন খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার আড়তগুলোতেই চালের দাম বেড়েছে। ঢাকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঈদের পর চালকল মালিকদের সিন্ডিকেট আবার চাঙ্গা হয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত বিভিন্ন মিলগেটে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি চালের দাম ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। এ সপ্তাহে আরও প্রায় দেড়শ’ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ার তথ্য জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। সব মিলে ঈদের পর প্রতি বস্তা চালের দাম সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যে কারণে ঈদের আগের চেয়ে এখন প্রতিকেজি চাল মানভেদে ২ থেকে ৮ টাকা টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এখন খুচরায় প্রতি কেজি মোটা চাল (বিআর-২৮, পারিজা) মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা দরে। সরু চালের মধ্যে জিরাশাইলের কেজি ৭৪ থেকে ৮০ টাকা এবং মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮৪ টাকা। কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৬ টাকা কেজিতে।
কাওরান বাজারের একজন চাল ব্যবসায়ী জানান, নাজিরশাইল ছাড়া পাইজাম, বিআর-২৮, মিনিকেটের দাম কেজিপ্রতি ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে ৬৮ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে যে মিনিকেট চাল কিনতেন, শুক্রবার কিনেছেন ৭৬ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া ছোট বাজারে ও পাড়ার মুদি দোকানে এ দাম আরেকটু বেশি। একজন মুদি দোকানদার জানান, ঈদের পর থেকে দোকান খুলে যে চালই অর্ডার দিচ্ছি, তারই দাম বস্তাপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা বেশি। দিনাজপুর, নওগাঁ, কুষ্টিয়া সব মোকামে চালের দাম বাড়ছে।
ঢাকার বাজার ঈদের পর থেকে বেশ স্বস্তিদায়ক ছিল মুরগির দাম, যা এখন বাড়তি। আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও এখন ১৬০-১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ৩০০-৩২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়াও বেড়েছে প্রায় অন্যান্য সব ধরনের সবজির দাম। সেগুনবাগিচায় বাজারে সবজি বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় সব ধরনের সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে।’
কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন বরবটি, কাকরোল, উস্তা
কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে, পটল, ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর ঝিঙা, চিচিঙা কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে চাইছেন বিক্রেতারা। তবে ভ্রাম্যমাণ দোকানে দাম কিছুটা কম।
ডিমের দামেও ঈদের পর থেকে ক্রমাগত কমতির ধারা চলছে। পাইকারি বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকায় আর খুচরা পর্যায়ে এসব ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকায়, যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগেও এটি ছিল ১৩৫-১৪০ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানগুলোতে এখনও ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদের সময় মাছের বাজারে যে খরা ছিল, এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন রুই, কাতল, পাবদা, চিংড়ি, টেংরা, শিংসহ সবধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সরবরাহ বেশি থাকায় দামেও নেই বড় কোনো ঊর্ধ্বগতি।
বড় আকারের রুই ও কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০-৭০০ টাকা, শিং ৪০০-৪৫০ টাকা এবং কৈ ২০০-২২০ টাকায়। এছাড়া সাধারণ তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। দেশি জাতের শিং ও কৈ মাছ এখনও দুষ্প্রাপ্য, যার দর যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকা কেজি।
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের চাল। এতেই হিমশিম খাচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষ। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বেড়ে গেল প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। কিছুদিন আগেই অর্থাৎ কোরবানি ঈদের পর থেকে বেশ কিছুদিন চাল ছাড়া বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম স্থিতিশীল ছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি প্রায় ৮ টাকা বেড়েছে চালের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজি ও মুরগির দাম। শুক্রবার,(২৭ জুন ২০২৫) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি প্রায় ৮ টাকা বেড়েছে চালের দাম
ঢাকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঈদের পর চালকল মালিকদের সিন্ডিকেট আবার চাঙ্গা হয়েছে
একই সঙ্গে বেড়েছে মুরগি ও প্রায় সব ধরনের সবজির দাম
ঈদের পর এখন খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার আড়তগুলোতেই চালের দাম বেড়েছে। ঢাকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঈদের পর চালকল মালিকদের সিন্ডিকেট আবার চাঙ্গা হয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত বিভিন্ন মিলগেটে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি চালের দাম ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। এ সপ্তাহে আরও প্রায় দেড়শ’ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ার তথ্য জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। সব মিলে ঈদের পর প্রতি বস্তা চালের দাম সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যে কারণে ঈদের আগের চেয়ে এখন প্রতিকেজি চাল মানভেদে ২ থেকে ৮ টাকা টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এখন খুচরায় প্রতি কেজি মোটা চাল (বিআর-২৮, পারিজা) মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা দরে। সরু চালের মধ্যে জিরাশাইলের কেজি ৭৪ থেকে ৮০ টাকা এবং মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮৪ টাকা। কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৬ টাকা কেজিতে।
কাওরান বাজারের একজন চাল ব্যবসায়ী জানান, নাজিরশাইল ছাড়া পাইজাম, বিআর-২৮, মিনিকেটের দাম কেজিপ্রতি ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে ৬৮ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে যে মিনিকেট চাল কিনতেন, শুক্রবার কিনেছেন ৭৬ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া ছোট বাজারে ও পাড়ার মুদি দোকানে এ দাম আরেকটু বেশি। একজন মুদি দোকানদার জানান, ঈদের পর থেকে দোকান খুলে যে চালই অর্ডার দিচ্ছি, তারই দাম বস্তাপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা বেশি। দিনাজপুর, নওগাঁ, কুষ্টিয়া সব মোকামে চালের দাম বাড়ছে।
ঢাকার বাজার ঈদের পর থেকে বেশ স্বস্তিদায়ক ছিল মুরগির দাম, যা এখন বাড়তি। আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও এখন ১৬০-১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ৩০০-৩২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়াও বেড়েছে প্রায় অন্যান্য সব ধরনের সবজির দাম। সেগুনবাগিচায় বাজারে সবজি বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় সব ধরনের সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে।’
কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন বরবটি, কাকরোল, উস্তা
কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে, পটল, ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর ঝিঙা, চিচিঙা কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে চাইছেন বিক্রেতারা। তবে ভ্রাম্যমাণ দোকানে দাম কিছুটা কম।
ডিমের দামেও ঈদের পর থেকে ক্রমাগত কমতির ধারা চলছে। পাইকারি বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকায় আর খুচরা পর্যায়ে এসব ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকায়, যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগেও এটি ছিল ১৩৫-১৪০ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানগুলোতে এখনও ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদের সময় মাছের বাজারে যে খরা ছিল, এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন রুই, কাতল, পাবদা, চিংড়ি, টেংরা, শিংসহ সবধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সরবরাহ বেশি থাকায় দামেও নেই বড় কোনো ঊর্ধ্বগতি।
বড় আকারের রুই ও কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০-৭০০ টাকা, শিং ৪০০-৪৫০ টাকা এবং কৈ ২০০-২২০ টাকায়। এছাড়া সাধারণ তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। দেশি জাতের শিং ও কৈ মাছ এখনও দুষ্প্রাপ্য, যার দর যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকা কেজি।