সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দুটি মামলায় ৫০ জনকে আসামি করা হবে। তবে ২৪ জনের নাম থাকবে দুই মামলা।
প্রথম মামলায় যাদের আসামি করা হবে তারা হলেন- সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড সাবেক পরিচালক, মাহমুদ সাজিদ কটন মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোহসিন, তার স্ত্রী ও চেয়ারম্যান শামীমা নারগিস চৌধুরী, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার, সাবেক পরিচালক বেলাল আহমেদ, গোলাম মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ফারুক, আরিফ আহমেদ, ওসমান গণি, মায়মুনা খানম, সরোয়ার জাহান মালেক, মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল,
শাহানা ফেরদৌস, সাজেদা নূর বেগম ও বোরহানুল হাসান চৌধুরী, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দৌলা ও এস এ এম সলিমউল্লাহ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (আগের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড) প্রধান কার্যালয়ের ঋণ বিভাগের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) ও ঋণ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ আলম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মশিউর রহমান জাহেদ,
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসএভিপি) ও ব্যবস্থাপক মো. শামসুল আলম, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) ও ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মুন্নশ্রী চক্রবর্তী, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হাসান আলী, জুনিয়র অফিসার রিফাত ইফতেখারুল আলম ও ঋণ বিভাগের জুনিয়র অফিসার মো. মিজানুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে ‘পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে’ ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ আনা হচ্ছে।
দুদক বলছে, ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকের পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই, গ্রাহকের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও গুদাম সরেজমিনে পরিদর্শন ‘করা হয়নি’। ঋণ আবেদনের মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ঋণগ্রহীতার অন্য ঋণ সমন্বয় এবং ঋণগ্রহীতার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেয়ারিং এর মাধ্যমে ‘স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর’ করে ২০ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। দুদক কর্মকর্তা বলেন, এই অভিযোগে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করা হবে।
অন্য মামলায় মোহাম্মদ মোহসিন, শামীমা নারগিস চৌধুরী, নিজাম চৌধুরী, পি কে হালদার, বেলাল আহমেদ, গোলাম মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ফারুক, আরিফ আহমেদ,
ওসমান গণি, সরোয়ার জাহান মালেক, মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল, শাহানা ফেরদৌস, সাজেদা নূর বেগম, বোরহানুল হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ কুতুবউদ্দৌলা, এস এ এম সলিমউল্লাহ, মো. গোলাম সারওয়ার, মোহাম্মদ মাহমুদ আলম, কাজী মশিউর রহমান জাহেদ, মো. শামসুল আলম, মুন্নশ্রী চক্রবর্তী, মো. হাসান আলী, রিফাত ইফতেখারুল আলম, মো. মিজানুর রহমান ছাড়াও আসামি করা হবে জুনিয়র অফিসার নিগার সুলতানাকে।
এই মামলায়ও একই অভিযোগ আনা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা ৩৫ কোটি টাকা অনুমোদন করলেও সে অর্থ প্রকৃত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়নি। বরং ‘স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের’ মাধ্যমে ২৯ কোটি ১৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও একই আইনে মামলা করা হবে বলেছেন দুদক কর্মকর্তা আক্তার হোসেন।
পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনও অগ্রগতির হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার বলেন,‘এই প্রক্রিয়াটা একটু জটিল, তারপরও এটা বিভিন্ন সংস্থা তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ করছে। ‘দুর্নীতি দমন কমিশনসহ আমাদের অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চেষ্টা করছেন। এই ক্ষেত্রে কোনও সাফল্য এলে আপনারা অবশ্যই জানতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘আসামি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি রয়েছে, সে কারণে আমরা যতদূর জেনেছি তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। সেই কারণে আমাদের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সবাই চেষ্টা করছেন তাকে সেখান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য।’
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দুটি মামলায় ৫০ জনকে আসামি করা হবে। তবে ২৪ জনের নাম থাকবে দুই মামলা।
প্রথম মামলায় যাদের আসামি করা হবে তারা হলেন- সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড সাবেক পরিচালক, মাহমুদ সাজিদ কটন মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোহসিন, তার স্ত্রী ও চেয়ারম্যান শামীমা নারগিস চৌধুরী, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার, সাবেক পরিচালক বেলাল আহমেদ, গোলাম মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ফারুক, আরিফ আহমেদ, ওসমান গণি, মায়মুনা খানম, সরোয়ার জাহান মালেক, মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল,
শাহানা ফেরদৌস, সাজেদা নূর বেগম ও বোরহানুল হাসান চৌধুরী, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দৌলা ও এস এ এম সলিমউল্লাহ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (আগের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড) প্রধান কার্যালয়ের ঋণ বিভাগের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) ও ঋণ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ আলম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মশিউর রহমান জাহেদ,
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসএভিপি) ও ব্যবস্থাপক মো. শামসুল আলম, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) ও ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মুন্নশ্রী চক্রবর্তী, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হাসান আলী, জুনিয়র অফিসার রিফাত ইফতেখারুল আলম ও ঋণ বিভাগের জুনিয়র অফিসার মো. মিজানুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে ‘পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে’ ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ আনা হচ্ছে।
দুদক বলছে, ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকের পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই, গ্রাহকের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও গুদাম সরেজমিনে পরিদর্শন ‘করা হয়নি’। ঋণ আবেদনের মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ঋণগ্রহীতার অন্য ঋণ সমন্বয় এবং ঋণগ্রহীতার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেয়ারিং এর মাধ্যমে ‘স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর’ করে ২০ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। দুদক কর্মকর্তা বলেন, এই অভিযোগে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করা হবে।
অন্য মামলায় মোহাম্মদ মোহসিন, শামীমা নারগিস চৌধুরী, নিজাম চৌধুরী, পি কে হালদার, বেলাল আহমেদ, গোলাম মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ফারুক, আরিফ আহমেদ,
ওসমান গণি, সরোয়ার জাহান মালেক, মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল, শাহানা ফেরদৌস, সাজেদা নূর বেগম, বোরহানুল হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ কুতুবউদ্দৌলা, এস এ এম সলিমউল্লাহ, মো. গোলাম সারওয়ার, মোহাম্মদ মাহমুদ আলম, কাজী মশিউর রহমান জাহেদ, মো. শামসুল আলম, মুন্নশ্রী চক্রবর্তী, মো. হাসান আলী, রিফাত ইফতেখারুল আলম, মো. মিজানুর রহমান ছাড়াও আসামি করা হবে জুনিয়র অফিসার নিগার সুলতানাকে।
এই মামলায়ও একই অভিযোগ আনা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা ৩৫ কোটি টাকা অনুমোদন করলেও সে অর্থ প্রকৃত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়নি। বরং ‘স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের’ মাধ্যমে ২৯ কোটি ১৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও একই আইনে মামলা করা হবে বলেছেন দুদক কর্মকর্তা আক্তার হোসেন।
পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনও অগ্রগতির হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার বলেন,‘এই প্রক্রিয়াটা একটু জটিল, তারপরও এটা বিভিন্ন সংস্থা তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ করছে। ‘দুর্নীতি দমন কমিশনসহ আমাদের অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চেষ্টা করছেন। এই ক্ষেত্রে কোনও সাফল্য এলে আপনারা অবশ্যই জানতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘আসামি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি রয়েছে, সে কারণে আমরা যতদূর জেনেছি তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। সেই কারণে আমাদের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সবাই চেষ্টা করছেন তাকে সেখান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য।’