জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং সব পক্ষের অংশগ্রহণে রাজস্ব খাত সংস্কারের দাবিতে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি শুরু করেছে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন তারা।
এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এনবিআর ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভবনের ভেতরে অবস্থান নেয় বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। আশপাশের এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এনবিআরের এক আন্দোলনকারী কর্মকর্তা জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিতে এসেছি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভবনে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না, এমনকি কেউ বের হতেও পারছেন না।”
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, “এ মুহূর্তে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ ছাড়া সংস্কারের আর কোনো পথ খোলা নেই। সব ধরনের নিপীড়নমূলক বদলি আদেশ বাতিল করতে হবে।”
একই দাবিতে সারা দেশের শুল্ক-কর দপ্তরগুলোতেও শনিবার থেকে ‘লাগাতার শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
এদিকে আন্দোলন থামাতে গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনবিআর সংস্কার নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে ২৫ জুন মঙ্গলবার তিন পক্ষের আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয় এবং বদলি আদেশগুলো পুনর্বিবেচনার কথাও বলা হয়।
তবে আন্দোলনকারীরা ওই নির্দেশ অমান্য করে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, “আমাদের মতামত উপেক্ষা করে এনবিআর ভেঙে যে দুটি বিভাগ করা হয়েছে, সেটি একতরফা ও অগণতান্ত্রিক। এটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে সরকার এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি করে। এরপর থেকেই এনবিআরের কর্মকর্তারা ‘সংগঠনের ভবিষ্যৎ ও নিজেদের পেশাগত অবস্থান হুমকির মুখে পড়েছে’ দাবি করে আন্দোলন শুরু করেন।
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং সব পক্ষের অংশগ্রহণে রাজস্ব খাত সংস্কারের দাবিতে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি শুরু করেছে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন তারা।
এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এনবিআর ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভবনের ভেতরে অবস্থান নেয় বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। আশপাশের এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এনবিআরের এক আন্দোলনকারী কর্মকর্তা জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিতে এসেছি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভবনে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না, এমনকি কেউ বের হতেও পারছেন না।”
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, “এ মুহূর্তে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ ছাড়া সংস্কারের আর কোনো পথ খোলা নেই। সব ধরনের নিপীড়নমূলক বদলি আদেশ বাতিল করতে হবে।”
একই দাবিতে সারা দেশের শুল্ক-কর দপ্তরগুলোতেও শনিবার থেকে ‘লাগাতার শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
এদিকে আন্দোলন থামাতে গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনবিআর সংস্কার নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে ২৫ জুন মঙ্গলবার তিন পক্ষের আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয় এবং বদলি আদেশগুলো পুনর্বিবেচনার কথাও বলা হয়।
তবে আন্দোলনকারীরা ওই নির্দেশ অমান্য করে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, “আমাদের মতামত উপেক্ষা করে এনবিআর ভেঙে যে দুটি বিভাগ করা হয়েছে, সেটি একতরফা ও অগণতান্ত্রিক। এটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে সরকার এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি করে। এরপর থেকেই এনবিআরের কর্মকর্তারা ‘সংগঠনের ভবিষ্যৎ ও নিজেদের পেশাগত অবস্থান হুমকির মুখে পড়েছে’ দাবি করে আন্দোলন শুরু করেন।