alt

জাতীয়

মব দিয়ে জুতার মালা কিন্তু ‘ফেরত আসবে’: সাকি

চট্টগ্রাম ব্যুরো : শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

মব তৈরি করে কোনও ব্যক্তির গলায় জুতার মালা পরানোর যে উদাহরণ তৈরি হচ্ছে তা ‘ফেরত আসবে’ বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। পাশাপাশি ‘জনগণকে অন্ধকারে রেখে’ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি কোম্পানির হাতে দেয়ার সরকারি পরিকল্পনারও বিরোধিতা করেছেন তিনি।

সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তারের আগে কথিত মবের হেনস্তার প্রসঙ্গ ধরে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাকি বলেন, “মব আক্রমণ হচ্ছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি বললেন যে, মব না প্রেশার গ্রুপ। মানেটা কি? প্রেশার গ্রুপ জিনিসটা কি? আপনি যদি মনে করেন যে অমুক ব্যক্তি অন্যয় করেছে তার শাস্তি হওয়া দরকার, আপনার সভা-সমাবেশ করার জায়গা আছে। তার বাড়িতে হামলা করা আপনার এখন কর্তব্য না।”

জোনায়েদ সাকি বলেন, “তাহলে সরকার কি নিজে এটা উসকে দিচ্ছে? যে অমুককে আমার ধরতে হবে, ধরার আগে একটা নাটক করতে হবে। এ কি আশ্চর্য ব্যাপার! শেখ হাসিনা যেমন করত। কাউকে গ্রেপ্তার করার আগে নানান ছক তৈরি করত। বহুজনের ক্ষেত্রে এটা বলা যাবে। আগে তাকে একটু খলনায়ক ধরনের বানিয়ে নিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে দু-তিনদিন ধরে তাকে বেশ একটা ইয়ে চলেছে, তারপর যেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাহলে তো একই পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন।”

তিনি বলেন, “তিনটা নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য বহু আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে। আমরা বলেছি, সকলেই বলেছে। জবাবদিহির আওতায় আনেন। আপনারা সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেন। তারপর তাদের যদি বিচারিক জায়গায় নিতে হয় তাহলে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢোকেন। আপনি কোনও ব্যক্তির গলায় জুতার মালা পরাবেন, এটা একজন ব্যক্তির যে মানবিক অস্তিত্ব, তাকে আপনি অপমান করছেন। এটাকে বলে বিমানবিকীকরণ। একজন সর্বোচ্চ অপরাধীকেও তা করা হয় না কিন্তু। কারণ কোনও অপরাধীকে ফাঁসি দিলেও তারও কতগুলো মানবিক অধিকারকে স্বীকার করে নিয়ে কিন্তু সে কাজটা করা হয়।”

জোনায়েদ সাকি বলেন, “আপনি এটা করতে পারেন না। এই যে উদাহরণ তৈরি হচ্ছে, উদাহরণ কিন্তু ফেরত আসবে। এই উদাহরণগুলো কোনও কারণেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”

জোনায়েদ সাকি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেয়ার বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে আন্দোলন হয়েছে। সেসময় আমরা নিজেরাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। আমরা একটা কথাই বলেছিলাম যে, বন্দরের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেটাকে অর্থনীতির হৃৎপি- হিসেবে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন। সেটা যেমন অর্থনীতির হৃৎপি- আবার একই সঙ্গে এটা নিরাপত্তা ও কৌশলগত দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। ফলে এই বন্দরের উপর সার্বভৌম কর্তৃক আমাদের জনগণের, সরকারের থাকা দরকার। তারপরে এর অর্থনৈতিক এবং অন্য প্রযুক্তিগত দিক উন্নতির জন্য সরকার নানা পরিকল্পনা করতে পারে। সেখানে প্রয়োজন হলে প্রযুক্তিগত ও অন্য কাঠামোগত সহযোগিতা যদি বিদেশ থেকে নিতে হয়, সেটাও নেয়া যেতে পারে।”

তিনি বলেন, “সরকার কী প্রস্তাব করছে এটা এখন পর্যন্ত আসলে জনগণ অন্ধকারে। সরকার মনে হচ্ছে একটা বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে দিচ্ছে। কী জায়গা দিচ্ছেন, কোনও শর্তের ভিত্তিতে দিচ্ছেন, কত বছরের জন্য দিচ্ছেন সমস্ত আলাপ আলোচনা জনগণের জানার অধিকার ছিল “

বন্দর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “স্পষ্টতার সঙ্গে যাওয়া দরকার এবং জনগণের আলোচনার ভিত্তিতে যে রায়টা আসবে সেখানেই সিদ্ধান্তে যাওয়া দরকার।”

দেশের বিভিন্নস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, চরম দুর্ভোগে টেকনাফের ৩০০ পরিবার

১০ বছরের শিশুকে বস্তায় ভরে রোদের মধ্যে ফেলে রাখলেন মাদ্রাসা প্রধান

বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার আরও ১৫৪০

ছবি

ঋণ নয়, জলবায়ু খাতে অর্থায়ন দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচি

নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাড়লেন উমামা

চীন সফর ‘সফল’ হয়েছে: দেশে ফিরে ফখরুল

ছবি

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত প্রায় ১ লাখ

ছবি

১০ শতাংশ বেড়েছে বজ্রপাত, বছরে ৩৫০ মৃত্যু

ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্কারোপ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

ছবি

শেষ হলো রোড মার্চ, ‘দেশবিরোধী’ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান

করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, ডেঙ্গুতে ১

বিজয় সরণিতে ভেঙে ফেলা ‘মৃত্যুজয়’র স্থলে ‘গণমিনার’ হচ্ছে

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব ‘বিপন্ন হচ্ছে’: পূজা উদ্যাপন পরিষদ

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন, সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি পরিকল্পনা উপদেষ্টা

ছবি

মহাসমাবেশ থেকে ১৬ দফা ঘোষণা দিলো ইসলামী আন্দোলন

এনবিআরের শাটডাউন চলছে, বন্ধ শুল্ক-কর, আমদানি-রপ্তানি

ছবি

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জন, মোট আক্রান্ত ৯ হাজার ৪৮৪

বাংলাদেশে বজ্রপাত বেড়েছে ১০ শতাংশ, মৃত্যু এড়াতে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ

ছবি

এনবিআরে শাটডাউন: সারা দেশে বন্ধ শুল্ক ও রাজস্ব কার্যক্রম

ছবি

‘মার্চ টু এনবিআর’ শুরু, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

‘হুমকি’ ও ‘আহ্বান’ প্রত্যাখ্যান, ‘মার্চ টু এনবিআর’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ঐক্য পরিষদের

ওয়াক্ফ মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টে পৃথক বেঞ্চ গঠন

ছবি

বর্ণিল রথযাত্রায় ভক্তের ঢল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি

মিরপুরে ‘নিয়ন্ত্রণহীন’ বাস সড়কদ্বীপে, দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীর মৃত্যু

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করবে সরকার, ব্যক্তি করার ঘটনা ‘বিরল’: নূরুল হুদার আইনজীবী

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের আরও দুই মামলা

সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১৪ রোহিঙ্গাসহ ৩১ জনকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

সাবেক গভর্নর আতিউরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

সামাজিক ব্যবসা পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা

বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে না দেয়ার দাবিতে রোডমার্চ শুরু

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

চালের পর এবার বাড়লো মুরগি ও সবজির দাম

প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির বৈঠকের বিষয়গুলো স্পষ্ট করার দাবি বিএনপির

‘অনুকূল পরিবেশে’ বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী ভারত: জয়সোয়াল

ছবি

পারমাণবিক স্থাপনায় মারাত্মক ক্ষতি কথা স্বীকার করলো ইরান

tab

জাতীয়

মব দিয়ে জুতার মালা কিন্তু ‘ফেরত আসবে’: সাকি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

মব তৈরি করে কোনও ব্যক্তির গলায় জুতার মালা পরানোর যে উদাহরণ তৈরি হচ্ছে তা ‘ফেরত আসবে’ বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। পাশাপাশি ‘জনগণকে অন্ধকারে রেখে’ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি কোম্পানির হাতে দেয়ার সরকারি পরিকল্পনারও বিরোধিতা করেছেন তিনি।

সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তারের আগে কথিত মবের হেনস্তার প্রসঙ্গ ধরে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাকি বলেন, “মব আক্রমণ হচ্ছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি বললেন যে, মব না প্রেশার গ্রুপ। মানেটা কি? প্রেশার গ্রুপ জিনিসটা কি? আপনি যদি মনে করেন যে অমুক ব্যক্তি অন্যয় করেছে তার শাস্তি হওয়া দরকার, আপনার সভা-সমাবেশ করার জায়গা আছে। তার বাড়িতে হামলা করা আপনার এখন কর্তব্য না।”

জোনায়েদ সাকি বলেন, “তাহলে সরকার কি নিজে এটা উসকে দিচ্ছে? যে অমুককে আমার ধরতে হবে, ধরার আগে একটা নাটক করতে হবে। এ কি আশ্চর্য ব্যাপার! শেখ হাসিনা যেমন করত। কাউকে গ্রেপ্তার করার আগে নানান ছক তৈরি করত। বহুজনের ক্ষেত্রে এটা বলা যাবে। আগে তাকে একটু খলনায়ক ধরনের বানিয়ে নিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে দু-তিনদিন ধরে তাকে বেশ একটা ইয়ে চলেছে, তারপর যেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাহলে তো একই পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন।”

তিনি বলেন, “তিনটা নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য বহু আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে। আমরা বলেছি, সকলেই বলেছে। জবাবদিহির আওতায় আনেন। আপনারা সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেন। তারপর তাদের যদি বিচারিক জায়গায় নিতে হয় তাহলে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢোকেন। আপনি কোনও ব্যক্তির গলায় জুতার মালা পরাবেন, এটা একজন ব্যক্তির যে মানবিক অস্তিত্ব, তাকে আপনি অপমান করছেন। এটাকে বলে বিমানবিকীকরণ। একজন সর্বোচ্চ অপরাধীকেও তা করা হয় না কিন্তু। কারণ কোনও অপরাধীকে ফাঁসি দিলেও তারও কতগুলো মানবিক অধিকারকে স্বীকার করে নিয়ে কিন্তু সে কাজটা করা হয়।”

জোনায়েদ সাকি বলেন, “আপনি এটা করতে পারেন না। এই যে উদাহরণ তৈরি হচ্ছে, উদাহরণ কিন্তু ফেরত আসবে। এই উদাহরণগুলো কোনও কারণেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”

জোনায়েদ সাকি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেয়ার বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে আন্দোলন হয়েছে। সেসময় আমরা নিজেরাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। আমরা একটা কথাই বলেছিলাম যে, বন্দরের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেটাকে অর্থনীতির হৃৎপি- হিসেবে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন। সেটা যেমন অর্থনীতির হৃৎপি- আবার একই সঙ্গে এটা নিরাপত্তা ও কৌশলগত দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। ফলে এই বন্দরের উপর সার্বভৌম কর্তৃক আমাদের জনগণের, সরকারের থাকা দরকার। তারপরে এর অর্থনৈতিক এবং অন্য প্রযুক্তিগত দিক উন্নতির জন্য সরকার নানা পরিকল্পনা করতে পারে। সেখানে প্রয়োজন হলে প্রযুক্তিগত ও অন্য কাঠামোগত সহযোগিতা যদি বিদেশ থেকে নিতে হয়, সেটাও নেয়া যেতে পারে।”

তিনি বলেন, “সরকার কী প্রস্তাব করছে এটা এখন পর্যন্ত আসলে জনগণ অন্ধকারে। সরকার মনে হচ্ছে একটা বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে দিচ্ছে। কী জায়গা দিচ্ছেন, কোনও শর্তের ভিত্তিতে দিচ্ছেন, কত বছরের জন্য দিচ্ছেন সমস্ত আলাপ আলোচনা জনগণের জানার অধিকার ছিল “

বন্দর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “স্পষ্টতার সঙ্গে যাওয়া দরকার এবং জনগণের আলোচনার ভিত্তিতে যে রায়টা আসবে সেখানেই সিদ্ধান্তে যাওয়া দরকার।”

back to top