মব তৈরি করে কোনও ব্যক্তির গলায় জুতার মালা পরানোর যে উদাহরণ তৈরি হচ্ছে তা ‘ফেরত আসবে’ বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। পাশাপাশি ‘জনগণকে অন্ধকারে রেখে’ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি কোম্পানির হাতে দেয়ার সরকারি পরিকল্পনারও বিরোধিতা করেছেন তিনি।
সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তারের আগে কথিত মবের হেনস্তার প্রসঙ্গ ধরে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাকি বলেন, “মব আক্রমণ হচ্ছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি বললেন যে, মব না প্রেশার গ্রুপ। মানেটা কি? প্রেশার গ্রুপ জিনিসটা কি? আপনি যদি মনে করেন যে অমুক ব্যক্তি অন্যয় করেছে তার শাস্তি হওয়া দরকার, আপনার সভা-সমাবেশ করার জায়গা আছে। তার বাড়িতে হামলা করা আপনার এখন কর্তব্য না।”
জোনায়েদ সাকি বলেন, “তাহলে সরকার কি নিজে এটা উসকে দিচ্ছে? যে অমুককে আমার ধরতে হবে, ধরার আগে একটা নাটক করতে হবে। এ কি আশ্চর্য ব্যাপার! শেখ হাসিনা যেমন করত। কাউকে গ্রেপ্তার করার আগে নানান ছক তৈরি করত। বহুজনের ক্ষেত্রে এটা বলা যাবে। আগে তাকে একটু খলনায়ক ধরনের বানিয়ে নিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে দু-তিনদিন ধরে তাকে বেশ একটা ইয়ে চলেছে, তারপর যেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাহলে তো একই পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন।”
তিনি বলেন, “তিনটা নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য বহু আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে। আমরা বলেছি, সকলেই বলেছে। জবাবদিহির আওতায় আনেন। আপনারা সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেন। তারপর তাদের যদি বিচারিক জায়গায় নিতে হয় তাহলে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢোকেন। আপনি কোনও ব্যক্তির গলায় জুতার মালা পরাবেন, এটা একজন ব্যক্তির যে মানবিক অস্তিত্ব, তাকে আপনি অপমান করছেন। এটাকে বলে বিমানবিকীকরণ। একজন সর্বোচ্চ অপরাধীকেও তা করা হয় না কিন্তু। কারণ কোনও অপরাধীকে ফাঁসি দিলেও তারও কতগুলো মানবিক অধিকারকে স্বীকার করে নিয়ে কিন্তু সে কাজটা করা হয়।”
জোনায়েদ সাকি বলেন, “আপনি এটা করতে পারেন না। এই যে উদাহরণ তৈরি হচ্ছে, উদাহরণ কিন্তু ফেরত আসবে। এই উদাহরণগুলো কোনও কারণেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”
জোনায়েদ সাকি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেয়ার বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে আন্দোলন হয়েছে। সেসময় আমরা নিজেরাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। আমরা একটা কথাই বলেছিলাম যে, বন্দরের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেটাকে অর্থনীতির হৃৎপি- হিসেবে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন। সেটা যেমন অর্থনীতির হৃৎপি- আবার একই সঙ্গে এটা নিরাপত্তা ও কৌশলগত দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। ফলে এই বন্দরের উপর সার্বভৌম কর্তৃক আমাদের জনগণের, সরকারের থাকা দরকার। তারপরে এর অর্থনৈতিক এবং অন্য প্রযুক্তিগত দিক উন্নতির জন্য সরকার নানা পরিকল্পনা করতে পারে। সেখানে প্রয়োজন হলে প্রযুক্তিগত ও অন্য কাঠামোগত সহযোগিতা যদি বিদেশ থেকে নিতে হয়, সেটাও নেয়া যেতে পারে।”
তিনি বলেন, “সরকার কী প্রস্তাব করছে এটা এখন পর্যন্ত আসলে জনগণ অন্ধকারে। সরকার মনে হচ্ছে একটা বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে দিচ্ছে। কী জায়গা দিচ্ছেন, কোনও শর্তের ভিত্তিতে দিচ্ছেন, কত বছরের জন্য দিচ্ছেন সমস্ত আলাপ আলোচনা জনগণের জানার অধিকার ছিল “
বন্দর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “স্পষ্টতার সঙ্গে যাওয়া দরকার এবং জনগণের আলোচনার ভিত্তিতে যে রায়টা আসবে সেখানেই সিদ্ধান্তে যাওয়া দরকার।”
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
মব তৈরি করে কোনও ব্যক্তির গলায় জুতার মালা পরানোর যে উদাহরণ তৈরি হচ্ছে তা ‘ফেরত আসবে’ বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। পাশাপাশি ‘জনগণকে অন্ধকারে রেখে’ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি কোম্পানির হাতে দেয়ার সরকারি পরিকল্পনারও বিরোধিতা করেছেন তিনি।
সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তারের আগে কথিত মবের হেনস্তার প্রসঙ্গ ধরে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাকি বলেন, “মব আক্রমণ হচ্ছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি বললেন যে, মব না প্রেশার গ্রুপ। মানেটা কি? প্রেশার গ্রুপ জিনিসটা কি? আপনি যদি মনে করেন যে অমুক ব্যক্তি অন্যয় করেছে তার শাস্তি হওয়া দরকার, আপনার সভা-সমাবেশ করার জায়গা আছে। তার বাড়িতে হামলা করা আপনার এখন কর্তব্য না।”
জোনায়েদ সাকি বলেন, “তাহলে সরকার কি নিজে এটা উসকে দিচ্ছে? যে অমুককে আমার ধরতে হবে, ধরার আগে একটা নাটক করতে হবে। এ কি আশ্চর্য ব্যাপার! শেখ হাসিনা যেমন করত। কাউকে গ্রেপ্তার করার আগে নানান ছক তৈরি করত। বহুজনের ক্ষেত্রে এটা বলা যাবে। আগে তাকে একটু খলনায়ক ধরনের বানিয়ে নিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে দু-তিনদিন ধরে তাকে বেশ একটা ইয়ে চলেছে, তারপর যেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাহলে তো একই পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন।”
তিনি বলেন, “তিনটা নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য বহু আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে। আমরা বলেছি, সকলেই বলেছে। জবাবদিহির আওতায় আনেন। আপনারা সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেন। তারপর তাদের যদি বিচারিক জায়গায় নিতে হয় তাহলে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢোকেন। আপনি কোনও ব্যক্তির গলায় জুতার মালা পরাবেন, এটা একজন ব্যক্তির যে মানবিক অস্তিত্ব, তাকে আপনি অপমান করছেন। এটাকে বলে বিমানবিকীকরণ। একজন সর্বোচ্চ অপরাধীকেও তা করা হয় না কিন্তু। কারণ কোনও অপরাধীকে ফাঁসি দিলেও তারও কতগুলো মানবিক অধিকারকে স্বীকার করে নিয়ে কিন্তু সে কাজটা করা হয়।”
জোনায়েদ সাকি বলেন, “আপনি এটা করতে পারেন না। এই যে উদাহরণ তৈরি হচ্ছে, উদাহরণ কিন্তু ফেরত আসবে। এই উদাহরণগুলো কোনও কারণেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”
জোনায়েদ সাকি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেয়ার বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে আন্দোলন হয়েছে। সেসময় আমরা নিজেরাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। আমরা একটা কথাই বলেছিলাম যে, বন্দরের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেটাকে অর্থনীতির হৃৎপি- হিসেবে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন। সেটা যেমন অর্থনীতির হৃৎপি- আবার একই সঙ্গে এটা নিরাপত্তা ও কৌশলগত দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। ফলে এই বন্দরের উপর সার্বভৌম কর্তৃক আমাদের জনগণের, সরকারের থাকা দরকার। তারপরে এর অর্থনৈতিক এবং অন্য প্রযুক্তিগত দিক উন্নতির জন্য সরকার নানা পরিকল্পনা করতে পারে। সেখানে প্রয়োজন হলে প্রযুক্তিগত ও অন্য কাঠামোগত সহযোগিতা যদি বিদেশ থেকে নিতে হয়, সেটাও নেয়া যেতে পারে।”
তিনি বলেন, “সরকার কী প্রস্তাব করছে এটা এখন পর্যন্ত আসলে জনগণ অন্ধকারে। সরকার মনে হচ্ছে একটা বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে দিচ্ছে। কী জায়গা দিচ্ছেন, কোনও শর্তের ভিত্তিতে দিচ্ছেন, কত বছরের জন্য দিচ্ছেন সমস্ত আলাপ আলোচনা জনগণের জানার অধিকার ছিল “
বন্দর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “স্পষ্টতার সঙ্গে যাওয়া দরকার এবং জনগণের আলোচনার ভিত্তিতে যে রায়টা আসবে সেখানেই সিদ্ধান্তে যাওয়া দরকার।”