গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সন্দেহে ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৭ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের একজন পুরুষ এবং একজন নারী। এ নিয়ে চলতি বছর করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২২ জন—যার মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী।
করোনা শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাসাবাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট ২৯,৫২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৮,৮৩০ জন পুরুষ এবং ১০,৬৯১ জন নারী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনা চিকিৎসার জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী মজুত রয়েছে।
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন
আক্রান্ত ২৬২, মৃত্যু ১
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬২ জন, মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৮৪ জনে। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪১ জন।
বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রভাব বাড়তে থাকায় শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেই মারাও যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬২ জন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার,(২৮ জুন ২০২৫) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিভাগে আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৪১ জন, চট্টগ্রামে ৪০ জন, ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪০ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। চলতি জুন মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৩৯ জন। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮ জন।
মহাখালী হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ৭৩ জন, মিটফোর্ডে ২৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৪ জন, সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেলে ১৬ জন, মুগদা মেডিকেলে ৫৩ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৮ জন এবং ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালে ২০ জন ভর্তি আছেন। সব মিলিয়ে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৩ জন।
কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গু একটি বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং জনসচেতনতার অভাবে এ রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যা স্বাস্থ্য খাতে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর ভয়াবহতা বেড়েছে। ২০১৯ ও ২০২০-২৩ সালে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং মৃত্যুহারও বেড়ে যায়। বর্তমানে ডেঙ্গু কেবল রাজধানীতে সীমাবদ্ধ নেই, বরং সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগের জন্য মূলত দায়ী এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস এলবোপিক্টাস প্রজাতির মশা, যা সাধারণত দিনে কামড়ায়। এখন সকাল ও সন্ধ্যায় বেশি কামড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব মশা রাতেও কামড়াতে শুরু করেছে।
উপকূলীয় জেলা বরগুনায় এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রার চেয়ে ৮ গুণ বেশি পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, বরগুনায় পানির সংকট থাকায় মানুষ ড্রাম ও পাত্রে পানি জমিয়ে রাখে। এসব পাত্র ঢেকে না রাখায় সেখানে মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। বরগুনা পৌর এলাকায় এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রার দ্বিগুণ, আর সদর এলাকায় তা ৮ গুণ বেশি। ফলে বরগুনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বেশি। সারা দেশের মোট আক্রান্তের এক-চতুর্থাংশের বেশি রোগী বরগুনা জেলায়।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, বরগুনার সদর উপজেলা ছাড়াও পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলাতেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। এপ্রিল মাস থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং জুন মাসে তা আরও বেড়ে যায়। বরগুনার বিভিন্ন বাড়িতে বৃষ্টির পানি ড্রাম ও পাত্রে জমিয়ে রাখার ফলে সেখানে মশার লার্ভা বিস্তার ঘটছে। এসব পাত্র পরিষ্কার না করায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
তাদের মতে, এসব পাত্র ঢেকে রাখা এবং ঘরবাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখা গেলে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা সম্ভব। ঘরের ভেতরেও মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় জনসচেতনতা এখন অত্যন্ত জরুরি।
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সন্দেহে ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৭ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের একজন পুরুষ এবং একজন নারী। এ নিয়ে চলতি বছর করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২২ জন—যার মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী।
করোনা শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাসাবাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট ২৯,৫২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৮,৮৩০ জন পুরুষ এবং ১০,৬৯১ জন নারী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনা চিকিৎসার জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী মজুত রয়েছে।
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন
আক্রান্ত ২৬২, মৃত্যু ১
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬২ জন, মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৮৪ জনে। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪১ জন।
বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রভাব বাড়তে থাকায় শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেই মারাও যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬২ জন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার,(২৮ জুন ২০২৫) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিভাগে আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৪১ জন, চট্টগ্রামে ৪০ জন, ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪০ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। চলতি জুন মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৩৯ জন। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮ জন।
মহাখালী হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ৭৩ জন, মিটফোর্ডে ২৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৪ জন, সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেলে ১৬ জন, মুগদা মেডিকেলে ৫৩ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৮ জন এবং ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালে ২০ জন ভর্তি আছেন। সব মিলিয়ে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৩ জন।
কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গু একটি বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং জনসচেতনতার অভাবে এ রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যা স্বাস্থ্য খাতে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর ভয়াবহতা বেড়েছে। ২০১৯ ও ২০২০-২৩ সালে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং মৃত্যুহারও বেড়ে যায়। বর্তমানে ডেঙ্গু কেবল রাজধানীতে সীমাবদ্ধ নেই, বরং সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগের জন্য মূলত দায়ী এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস এলবোপিক্টাস প্রজাতির মশা, যা সাধারণত দিনে কামড়ায়। এখন সকাল ও সন্ধ্যায় বেশি কামড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব মশা রাতেও কামড়াতে শুরু করেছে।
উপকূলীয় জেলা বরগুনায় এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রার চেয়ে ৮ গুণ বেশি পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, বরগুনায় পানির সংকট থাকায় মানুষ ড্রাম ও পাত্রে পানি জমিয়ে রাখে। এসব পাত্র ঢেকে না রাখায় সেখানে মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। বরগুনা পৌর এলাকায় এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রার দ্বিগুণ, আর সদর এলাকায় তা ৮ গুণ বেশি। ফলে বরগুনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বেশি। সারা দেশের মোট আক্রান্তের এক-চতুর্থাংশের বেশি রোগী বরগুনা জেলায়।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, বরগুনার সদর উপজেলা ছাড়াও পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলাতেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। এপ্রিল মাস থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং জুন মাসে তা আরও বেড়ে যায়। বরগুনার বিভিন্ন বাড়িতে বৃষ্টির পানি ড্রাম ও পাত্রে জমিয়ে রাখার ফলে সেখানে মশার লার্ভা বিস্তার ঘটছে। এসব পাত্র পরিষ্কার না করায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
তাদের মতে, এসব পাত্র ঢেকে রাখা এবং ঘরবাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখা গেলে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা সম্ভব। ঘরের ভেতরেও মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় জনসচেতনতা এখন অত্যন্ত জরুরি।