সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচন এবং আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে বিএনপি। এই পিআর পদ্ধতির নির্বাচন বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে ‘নতুন আইডিয়া’ উল্লেখ করে এই দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি নেতারা বলছেন, একটি গোষ্ঠী এসব নতুন নতুন দাবি তুলে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে জাতির সর্বনাশ করতে চাচ্ছে।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় ঐকমত্য হওয়া সম্ভব হয়নি। যারা আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা বলছে, তাদের একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমেদ
একটি গোষ্ঠী নতুন নতুন দাবি তুলে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে জাতির সর্বনাশ করতে চাচ্ছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোটের দাবিকে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন। কারণ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় পিআর পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে এখনও পর্যন্ত ঐকমত্য হওয়া সম্ভব হয়নি। আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা যারা বলছেন, তাদের একটি উদ্দেশ্য আছে বলেও মনে করেন তিনি। তার অভিযোগ, তারা (যারা পিআর পদ্ধাতিতে নির্বাচন চায়) স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চায়। কারণ, এই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়ার মাধ্যমে ‘নির্বাচন বিলম্বিত করা’ অথবা ‘বাংলাদেশে নির্বাচন না হওয়া’ কারও উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ গতকাল শনিবার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘বাংলাদেশের বাস্তবতায় ইতোপূর্বে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আমাদের যেসব আলোচনা হয়েছে, সেখানে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মধ্যে আমরা কোনো ঐকমত্য পাইনি। তাছাড়া বাংলাদেশে আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কোনো ইতিহাস নেই, সংসদীয় রাজনীতি বা সংসদীয় নির্বাচন ইতিহাসেও নেই।’
রবিবার,(২৯ জুন ২০২৫) একই অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস। একটি গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দাবি তুলে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে জাতির সর্বনাশ করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে রমনা থানা বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একেকজন একেকটা দাবি তুলে নির্বাচনকে পিছিয়ে, নির্বাচনের সর্বনাশ করে দিয়ে জাতির সর্বনাশ করতে চাচ্ছে।’ তিনি ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এভাবে বড় বড় সমাবেশ করে জাতির কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবেন না। সমাবেশ দিয়ে যদি প্রমাণ করা যায় কে কত জনপ্রিয়, আমরা সারা বাংলাদেশকে একদিনে সমাবেশের আওতায় আনতে পারি। সারা বাংলাদেশ একদিনে সমাবেশ করবে। কেউ কোনো জায়গা ছাড়বে না। এটা তো সিস্টেম হলো না।’
ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ রেজাউল করীমকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যখন বিএনপি-জামায়াতের ওপরে স্টিমরোলার চালানো হচ্ছিল, তখন ওই দলটি এবং তার নেতা দূরে থেকে বাহবা দিয়েছেন। ইনডাইরেক্টলি হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছেন। কালো নির্বাচন, রাতের নির্বাচন, দিনের নির্বাচন; তিনবার নির্বাচন হয়েছে, উনারা কোনো প্রতিবাদ করেন নাই। এখন লম্বা কথা বলতেছেন, আগে দিতে হবে স্থানীয় নির্বাচন, এরপর দিতে হবে পিআর সিস্টেম (আনুপাতিক পদ্ধতি)। যতদিন এগুলো না হবে, ততদিন এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
‘পিআর পদ্ধতি কই থেকে আসে’ প্রশ্ন করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশটাকে সুন্দর করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কিছু করেন না, শুধু আপনার কথামতোই হতে হবে, স্থানীয় সরকার আগে হতে হবে, আবার পিআর ভোট করতে হবে। কেন ভাই? কই থেকে আবিষ্কার করেন এগুলা? কে দেয় বুদ্ধি আপনাদের? এসব কু-পরামর্শ নিয়ে, এই দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করার জন্য একদল লোক আজ মাঠে নেমেছে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সমস্যা হিসেবে বলেন, ‘আনুপাতিক হারে নির্বাচনে কোনো সংসদীয় এলাকার ভোটাররা জানবেন না যে, কে তাদের এমপি হবে। তাছাড়া তারা যে তাদের নেতার কাছে যাবেন, সেজন্য নির্ধারিত কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাবেন না।’
রোববার, ২৯ জুন ২০২৫
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচন এবং আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে বিএনপি। এই পিআর পদ্ধতির নির্বাচন বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে ‘নতুন আইডিয়া’ উল্লেখ করে এই দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি নেতারা বলছেন, একটি গোষ্ঠী এসব নতুন নতুন দাবি তুলে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে জাতির সর্বনাশ করতে চাচ্ছে।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় ঐকমত্য হওয়া সম্ভব হয়নি। যারা আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা বলছে, তাদের একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমেদ
একটি গোষ্ঠী নতুন নতুন দাবি তুলে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে জাতির সর্বনাশ করতে চাচ্ছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোটের দাবিকে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন। কারণ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় পিআর পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে এখনও পর্যন্ত ঐকমত্য হওয়া সম্ভব হয়নি। আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা যারা বলছেন, তাদের একটি উদ্দেশ্য আছে বলেও মনে করেন তিনি। তার অভিযোগ, তারা (যারা পিআর পদ্ধাতিতে নির্বাচন চায়) স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চায়। কারণ, এই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়ার মাধ্যমে ‘নির্বাচন বিলম্বিত করা’ অথবা ‘বাংলাদেশে নির্বাচন না হওয়া’ কারও উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ গতকাল শনিবার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘বাংলাদেশের বাস্তবতায় ইতোপূর্বে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আমাদের যেসব আলোচনা হয়েছে, সেখানে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মধ্যে আমরা কোনো ঐকমত্য পাইনি। তাছাড়া বাংলাদেশে আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কোনো ইতিহাস নেই, সংসদীয় রাজনীতি বা সংসদীয় নির্বাচন ইতিহাসেও নেই।’
রবিবার,(২৯ জুন ২০২৫) একই অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস। একটি গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দাবি তুলে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে জাতির সর্বনাশ করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে রমনা থানা বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একেকজন একেকটা দাবি তুলে নির্বাচনকে পিছিয়ে, নির্বাচনের সর্বনাশ করে দিয়ে জাতির সর্বনাশ করতে চাচ্ছে।’ তিনি ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এভাবে বড় বড় সমাবেশ করে জাতির কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবেন না। সমাবেশ দিয়ে যদি প্রমাণ করা যায় কে কত জনপ্রিয়, আমরা সারা বাংলাদেশকে একদিনে সমাবেশের আওতায় আনতে পারি। সারা বাংলাদেশ একদিনে সমাবেশ করবে। কেউ কোনো জায়গা ছাড়বে না। এটা তো সিস্টেম হলো না।’
ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ রেজাউল করীমকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যখন বিএনপি-জামায়াতের ওপরে স্টিমরোলার চালানো হচ্ছিল, তখন ওই দলটি এবং তার নেতা দূরে থেকে বাহবা দিয়েছেন। ইনডাইরেক্টলি হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছেন। কালো নির্বাচন, রাতের নির্বাচন, দিনের নির্বাচন; তিনবার নির্বাচন হয়েছে, উনারা কোনো প্রতিবাদ করেন নাই। এখন লম্বা কথা বলতেছেন, আগে দিতে হবে স্থানীয় নির্বাচন, এরপর দিতে হবে পিআর সিস্টেম (আনুপাতিক পদ্ধতি)। যতদিন এগুলো না হবে, ততদিন এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
‘পিআর পদ্ধতি কই থেকে আসে’ প্রশ্ন করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশটাকে সুন্দর করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কিছু করেন না, শুধু আপনার কথামতোই হতে হবে, স্থানীয় সরকার আগে হতে হবে, আবার পিআর ভোট করতে হবে। কেন ভাই? কই থেকে আবিষ্কার করেন এগুলা? কে দেয় বুদ্ধি আপনাদের? এসব কু-পরামর্শ নিয়ে, এই দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করার জন্য একদল লোক আজ মাঠে নেমেছে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সমস্যা হিসেবে বলেন, ‘আনুপাতিক হারে নির্বাচনে কোনো সংসদীয় এলাকার ভোটাররা জানবেন না যে, কে তাদের এমপি হবে। তাছাড়া তারা যে তাদের নেতার কাছে যাবেন, সেজন্য নির্ধারিত কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাবেন না।’