সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের দুইপক্ষের মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতের মারামারির পর সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশবিরোধী আন্দোলনে লোক সমাগম কমে গেছে।
এক পক্ষ সরকারের টাকা খেয়ে মুখ বন্ধ করে ঘরে বসে আছে: মুজাহিদুল
সচিবালয়ে রড, লাঠি এলো কোথা থেকে?
সিসি ক্যামেরা
বন্ধ কেন?
সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ দুই ভাগে বিভক্ত। এক অংশে মো. নুরুল ইসলাম ও মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং অন্য অংশে মো. বাদিউল কবীর ও নিজাম উদ্দিন আহমেদ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সচিবালয়ে ক্যানটিন পরিচালনা নিয়ে এই দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয় গত মঙ্গলবার রাতে।
রোববার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে মিছিল শুরুর কথা থাকলেও সাড়ে ১১টায় জনাবিশেক মানুষের উপস্থিতিতে একটি মিছিল হয়।
পরে বাদাম তলায় সমাবেশে সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের মহাসচিব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘কালো আইনের বিরুদ্ধে আমরা প্রথম প্রতিবাদ করি এবং আন্দোলনে শরিক হই। কিন্তু আপনারা দেখেছেন সরকারের কিছু প্রেতাত্মার আমাদের ভেতরে আবির্ভাব ঘটেছিল। এখন সেই প্রেতাত্মারা মালটাল (টাকা-পয়সা) খেয়ে মুখ বন্ধ করে চুপচাপ ঘরে বসে আছে।’
রড, লাঠি
গত ২৪ জুলাই মারামারির ঘটনা প্রসঙ্গে মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগে তারা আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। আমাদের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাহেব আজও মেডিকেলে ভর্তি। আমি প্রশাসনকে বলতে চাই, সচিবালয়ের রড এলো কোথা থেকে, লাঠি এলো কোথা থেকে? শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২৪ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ৪ নম্বর ভবনের সমস্ত সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। কার নির্দেশে এটা করা হলো? সিসি ক্যামেরা কেন বন্ধ ছিল?’
সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি নূরুল ইসলামসহ অন্যদের ওপর হামলায় জড়িতদের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে শনাক্তের দাবি জানান তিনি।
সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তার-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মিলন মোল্লা বলেন, ‘যারা হামলা করেছে তাদের প্রতিহত করতে হবে। আপনারা তাদের ডাকে কোনো আন্দোলনে যোগ দেবেন না।’
এদিকে বিক্ষোভ মিছিলের পর সচিবালয়ে গত সোমবারের কর্মসূচি স্থগিত রেখেছে আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জানান, কর্মচারী নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে গত সোমবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
ক্যানটিন দখল
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সচিবালয়ের কর্মচারীদের একটি পক্ষ ক্যানটিনের দখল নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বর্তমানে ক্যানটিন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড তাদের নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চায়।
বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে সমবায় অধিদপ্তর একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দেয়।
কিন্তু তার আগেই কর্মচারীদের একটি পক্ষ ক্যানটিন দখল করে তা চালাতে শুরু করে। সমবায় সমিতির আগের কমিটি তখন অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে এবং পরে হাইকোর্টে রিট মামলা করে। তাতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ আদালত। ওই রায়কে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার সংযুক্ত পরিষদের দুই পক্ষ মারামারিতে জড়ায়।
রোববার, ২৯ জুন ২০২৫
সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের দুইপক্ষের মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতের মারামারির পর সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশবিরোধী আন্দোলনে লোক সমাগম কমে গেছে।
এক পক্ষ সরকারের টাকা খেয়ে মুখ বন্ধ করে ঘরে বসে আছে: মুজাহিদুল
সচিবালয়ে রড, লাঠি এলো কোথা থেকে?
সিসি ক্যামেরা
বন্ধ কেন?
সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ দুই ভাগে বিভক্ত। এক অংশে মো. নুরুল ইসলাম ও মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং অন্য অংশে মো. বাদিউল কবীর ও নিজাম উদ্দিন আহমেদ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সচিবালয়ে ক্যানটিন পরিচালনা নিয়ে এই দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয় গত মঙ্গলবার রাতে।
রোববার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে মিছিল শুরুর কথা থাকলেও সাড়ে ১১টায় জনাবিশেক মানুষের উপস্থিতিতে একটি মিছিল হয়।
পরে বাদাম তলায় সমাবেশে সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের মহাসচিব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘কালো আইনের বিরুদ্ধে আমরা প্রথম প্রতিবাদ করি এবং আন্দোলনে শরিক হই। কিন্তু আপনারা দেখেছেন সরকারের কিছু প্রেতাত্মার আমাদের ভেতরে আবির্ভাব ঘটেছিল। এখন সেই প্রেতাত্মারা মালটাল (টাকা-পয়সা) খেয়ে মুখ বন্ধ করে চুপচাপ ঘরে বসে আছে।’
রড, লাঠি
গত ২৪ জুলাই মারামারির ঘটনা প্রসঙ্গে মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগে তারা আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। আমাদের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাহেব আজও মেডিকেলে ভর্তি। আমি প্রশাসনকে বলতে চাই, সচিবালয়ের রড এলো কোথা থেকে, লাঠি এলো কোথা থেকে? শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২৪ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ৪ নম্বর ভবনের সমস্ত সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। কার নির্দেশে এটা করা হলো? সিসি ক্যামেরা কেন বন্ধ ছিল?’
সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি নূরুল ইসলামসহ অন্যদের ওপর হামলায় জড়িতদের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে শনাক্তের দাবি জানান তিনি।
সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তার-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মিলন মোল্লা বলেন, ‘যারা হামলা করেছে তাদের প্রতিহত করতে হবে। আপনারা তাদের ডাকে কোনো আন্দোলনে যোগ দেবেন না।’
এদিকে বিক্ষোভ মিছিলের পর সচিবালয়ে গত সোমবারের কর্মসূচি স্থগিত রেখেছে আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জানান, কর্মচারী নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে গত সোমবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
ক্যানটিন দখল
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সচিবালয়ের কর্মচারীদের একটি পক্ষ ক্যানটিনের দখল নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বর্তমানে ক্যানটিন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড তাদের নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চায়।
বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে সমবায় অধিদপ্তর একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দেয়।
কিন্তু তার আগেই কর্মচারীদের একটি পক্ষ ক্যানটিন দখল করে তা চালাতে শুরু করে। সমবায় সমিতির আগের কমিটি তখন অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে এবং পরে হাইকোর্টে রিট মামলা করে। তাতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ আদালত। ওই রায়কে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার সংযুক্ত পরিষদের দুই পক্ষ মারামারিতে জড়ায়।