চলতি বছরের মে মাসে দেশে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার ৩১০টি ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে নারীর প্রতি সহিংসতার প্রকৃত তথ্য পাওয়ার ওয়েবসাইট- ভাওট্র্যাকার। এই তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, গতবছরে একই সময়ের তুলনায় নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ১৮৯টি বেশি, যা ৬৪ শতাংশ।
সংবাদমাধ্যমের ২১টি অনলাইন ও মুদ্রিত সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে ভাওট্র্যাকারে। ডেটাভিত্তিক কনটেন্ট সাইট ডেটাফুলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, এ বছর মে মাসের যেসব ঘটনা ওয়েবসাইটে তলে ধরা হয়েছে, তার ৫০ দশমিক ৬৫ শতাংশই যৌন নিপীড়ন ও প্রাণঘাতী ঘটনা।
মে মাসে ৯৮টি হত্যা, ৫৩টি ধর্ষণ, ৩৮টি আত্মহত্যা, ৩৭টি শারীরিক নির্যাতন, ২৩টি যৌন হয়রানি, ২৩টি ধর্ষণের চেষ্টা এবং ১৫টি দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা এই তালিকায় এসেছে।
বিভাগভিত্তিক হিসেবে দেখা যায়, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ৪৪টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে; এরপরেই আছে চট্টগ্রাম, যেখানে মে মাসে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি ২০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
মে মাসে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সী নারী ও কন্যাশিশু (৬৯ জন)। একক বয়সসীমা বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৩৬ বছরের বেশি বয়সী নারীরা।
মে মাসে বাংলাদেশে ধর্ষণকেন্দ্রিক (ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ) ঘটনা ঘটেছে ৭১টি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকায় আটটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর ময়মনসিংহে পাঁচটি, সিরাজগঞ্জে চারটি, বরিশাল, মুন্সীগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁওয়ে তিনটি করে ধর্ষণকেন্দ্রিক ঘটনা ঘটে। এছাড়া, দেশের ৩৯টি জেলায় কমপক্ষে ১টি যৌন সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
আর মে মাসে বাংলাদেশে নারী ও কন্যাশিশুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মোট ২৩টি ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মে মাসে সংঘটিত ৩১০টি অপরাধের মধ্যে ১৬৩টি ঘটনায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি ঘটনায় আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ৪৭টি ঘটনায় বলা হয়েছে ‘তদন্ত চলমান’, ৪৪টি ঘটনায় ‘প্রক্রিয়াধীন’।
বাংলাদেশের নারী সহিংসতার হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরতে গত এপ্রিলে ‘ভাওট্র্যাকার ডটকম’ ওয়েবসাইটটি চালু করা হয়।
‘ডেটাফুল’, সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ’, ‘সুপ্রভাত বাংলাদেশ’ ও ‘উৎস’ নামে একটি সংগঠন এ ওয়েবসাইট তৈরি করেছে।
রোববার, ২৯ জুন ২০২৫
চলতি বছরের মে মাসে দেশে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার ৩১০টি ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে নারীর প্রতি সহিংসতার প্রকৃত তথ্য পাওয়ার ওয়েবসাইট- ভাওট্র্যাকার। এই তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, গতবছরে একই সময়ের তুলনায় নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ১৮৯টি বেশি, যা ৬৪ শতাংশ।
সংবাদমাধ্যমের ২১টি অনলাইন ও মুদ্রিত সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে ভাওট্র্যাকারে। ডেটাভিত্তিক কনটেন্ট সাইট ডেটাফুলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, এ বছর মে মাসের যেসব ঘটনা ওয়েবসাইটে তলে ধরা হয়েছে, তার ৫০ দশমিক ৬৫ শতাংশই যৌন নিপীড়ন ও প্রাণঘাতী ঘটনা।
মে মাসে ৯৮টি হত্যা, ৫৩টি ধর্ষণ, ৩৮টি আত্মহত্যা, ৩৭টি শারীরিক নির্যাতন, ২৩টি যৌন হয়রানি, ২৩টি ধর্ষণের চেষ্টা এবং ১৫টি দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা এই তালিকায় এসেছে।
বিভাগভিত্তিক হিসেবে দেখা যায়, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ৪৪টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে; এরপরেই আছে চট্টগ্রাম, যেখানে মে মাসে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি ২০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
মে মাসে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সী নারী ও কন্যাশিশু (৬৯ জন)। একক বয়সসীমা বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৩৬ বছরের বেশি বয়সী নারীরা।
মে মাসে বাংলাদেশে ধর্ষণকেন্দ্রিক (ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ) ঘটনা ঘটেছে ৭১টি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকায় আটটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর ময়মনসিংহে পাঁচটি, সিরাজগঞ্জে চারটি, বরিশাল, মুন্সীগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁওয়ে তিনটি করে ধর্ষণকেন্দ্রিক ঘটনা ঘটে। এছাড়া, দেশের ৩৯টি জেলায় কমপক্ষে ১টি যৌন সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
আর মে মাসে বাংলাদেশে নারী ও কন্যাশিশুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মোট ২৩টি ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মে মাসে সংঘটিত ৩১০টি অপরাধের মধ্যে ১৬৩টি ঘটনায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি ঘটনায় আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ৪৭টি ঘটনায় বলা হয়েছে ‘তদন্ত চলমান’, ৪৪টি ঘটনায় ‘প্রক্রিয়াধীন’।
বাংলাদেশের নারী সহিংসতার হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরতে গত এপ্রিলে ‘ভাওট্র্যাকার ডটকম’ ওয়েবসাইটটি চালু করা হয়।
‘ডেটাফুল’, সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ’, ‘সুপ্রভাত বাংলাদেশ’ ও ‘উৎস’ নামে একটি সংগঠন এ ওয়েবসাইট তৈরি করেছে।