জ্বালানি আমদানি শুল্ক কাঠামোর নীতিগত পরিবর্তনের ফলে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে (বিপিসি) অতিরিক্ত ৮ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে, বিপিসি গতকাল সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৭০০ কোটি টাকা প্রদান করেছে, বাকি টাকা পর্যায়ক্রমে সমন্বয় করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
এতদিন আন্তর্জাতিক তেলের দাম ওঠানামা সত্ত্বেও বিপিসি ব্যারেলপ্রতি একটি নির্দিষ্ট (ট্যারিফ ভ্যালুভিত্তিক) আমদানি শুল্ক প্রদান করত। এর অর্থ হলো বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও, বিপিসির শুল্ক পরিশোধ অপরিবর্তিত ছিল। এনবিআর প্রকৃত চালান মূল্যের ওপর ভিত্তি করে (ইনভয়েস ভেল্যু বা ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে) শুল্ক গণনা করলেও, বিপিসি ট্যারিফ মূল্য ব্যবস্থা ব্যবহার অব্যাহত রেখেছিল। এখন ইনভয়েস ভ্যালুর হিসেবে বিপিসিকে পূর্বের বকেয়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপ, পারটেক্স গ্রুপ, এ কে খান গ্রুপসহ বেসরকারি খাতের আমদানিকারকরা দীর্ঘদিন ধরে ইনভয়েসভিত্তিক শুল্ক পদ্ধতির পক্ষে কথা বলে আসছে।
জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান সংবাদকে বলেন, ইনভয়েসভিত্তিক শুল্ক মূল্যায়নে বিপিসির খরচ বৃদ্ধি পাবে। তবে এই প্রভাব কমাতে, সরকার সর্বশেষ বাজেটে আমদানি শুল্ক হার কমিয়েছে। পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানির ওপর অগ্রিম কর ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ এবং অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে।
সরকারের সচিব আমিন উল আহসান বলেন, সম্প্রতি, এনবিআর ২৪০৩ কোটি টাকা বকেয়া দাবি করেছে, যার মধ্যে বিপিসি গতকাল সোমবার ৭০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।
বর্তমানে, বিপিসি পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি ও পরিশোধনে প্রতি মাসে ৪৫০ মিলিয়ন থেকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করে। গত বুধবার, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়ের জন্য সরকার-থেকে-সরকার (জিটুজি) ব্যবস্থার আওতায় প্রায় ১০০০৬.৬৩ কোটি টাকার পেট্রোলিয়াম আমদানি অনুমোদন করেছে।
জ্বালানি তেল ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করা হবে: পিটিটিটি (থাইল্যান্ড), ইএনওসি (আরব আমিরাত), পেট্রোচায়না এবং ইউনিপ্যাক (চীন), বিএসপি (ইন্দোনেশিয়া), পিটিএলসিএল (মালয়েশিয়া) এবং আইওসিএল (ভারত)। এছাড়াও, কমিটি ইন্দোনেশিয়ার পিটি ভুমি সিয়াক পুসাকো জাপিন (বিএসপি) থেকে ২০৮.৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০০০ মেট্রিক টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড অকটেন আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এই ক্রয়টি প্রতি ব্যারেল ৭৩.৬১ ডলার রেফারেন্স মূল্যে করা হবে, যার প্রিমিয়াম প্রতি ব্যারেল ৫.৯৩ ডলার।
আইএমএফের চাপসহ নানা কারণে সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয় তেলের বাজার। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশে বাড়বে, আর কমে গেলে কমবে।
এজন্য ২০২৩ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। ওই ফর্মুলা অনুযায়ী প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা হয়। গেজেট অনুযায়ী বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকে শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য সমন্বয় করা হয়।
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
জ্বালানি আমদানি শুল্ক কাঠামোর নীতিগত পরিবর্তনের ফলে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে (বিপিসি) অতিরিক্ত ৮ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে, বিপিসি গতকাল সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৭০০ কোটি টাকা প্রদান করেছে, বাকি টাকা পর্যায়ক্রমে সমন্বয় করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
এতদিন আন্তর্জাতিক তেলের দাম ওঠানামা সত্ত্বেও বিপিসি ব্যারেলপ্রতি একটি নির্দিষ্ট (ট্যারিফ ভ্যালুভিত্তিক) আমদানি শুল্ক প্রদান করত। এর অর্থ হলো বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও, বিপিসির শুল্ক পরিশোধ অপরিবর্তিত ছিল। এনবিআর প্রকৃত চালান মূল্যের ওপর ভিত্তি করে (ইনভয়েস ভেল্যু বা ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে) শুল্ক গণনা করলেও, বিপিসি ট্যারিফ মূল্য ব্যবস্থা ব্যবহার অব্যাহত রেখেছিল। এখন ইনভয়েস ভ্যালুর হিসেবে বিপিসিকে পূর্বের বকেয়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপ, পারটেক্স গ্রুপ, এ কে খান গ্রুপসহ বেসরকারি খাতের আমদানিকারকরা দীর্ঘদিন ধরে ইনভয়েসভিত্তিক শুল্ক পদ্ধতির পক্ষে কথা বলে আসছে।
জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান সংবাদকে বলেন, ইনভয়েসভিত্তিক শুল্ক মূল্যায়নে বিপিসির খরচ বৃদ্ধি পাবে। তবে এই প্রভাব কমাতে, সরকার সর্বশেষ বাজেটে আমদানি শুল্ক হার কমিয়েছে। পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানির ওপর অগ্রিম কর ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ এবং অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে।
সরকারের সচিব আমিন উল আহসান বলেন, সম্প্রতি, এনবিআর ২৪০৩ কোটি টাকা বকেয়া দাবি করেছে, যার মধ্যে বিপিসি গতকাল সোমবার ৭০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।
বর্তমানে, বিপিসি পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি ও পরিশোধনে প্রতি মাসে ৪৫০ মিলিয়ন থেকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করে। গত বুধবার, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়ের জন্য সরকার-থেকে-সরকার (জিটুজি) ব্যবস্থার আওতায় প্রায় ১০০০৬.৬৩ কোটি টাকার পেট্রোলিয়াম আমদানি অনুমোদন করেছে।
জ্বালানি তেল ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করা হবে: পিটিটিটি (থাইল্যান্ড), ইএনওসি (আরব আমিরাত), পেট্রোচায়না এবং ইউনিপ্যাক (চীন), বিএসপি (ইন্দোনেশিয়া), পিটিএলসিএল (মালয়েশিয়া) এবং আইওসিএল (ভারত)। এছাড়াও, কমিটি ইন্দোনেশিয়ার পিটি ভুমি সিয়াক পুসাকো জাপিন (বিএসপি) থেকে ২০৮.৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০০০ মেট্রিক টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড অকটেন আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এই ক্রয়টি প্রতি ব্যারেল ৭৩.৬১ ডলার রেফারেন্স মূল্যে করা হবে, যার প্রিমিয়াম প্রতি ব্যারেল ৫.৯৩ ডলার।
আইএমএফের চাপসহ নানা কারণে সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয় তেলের বাজার। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশে বাড়বে, আর কমে গেলে কমবে।
এজন্য ২০২৩ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। ওই ফর্মুলা অনুযায়ী প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা হয়। গেজেট অনুযায়ী বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকে শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য সমন্বয় করা হয়।