কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী এক সাবেক নেতার সঙ্গে ফোনালাপে দেশের সেনাবাহিনী নিয়ে যা বলেছিলেন, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই চলছে বিতর্ক। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩৬ জন সিনেটর নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি পিটিশন দায়ের করেন সম্প্রতি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী পায়েতংটার্ন শিনাওয়াত্রাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
মাত্র দশ মাস আগেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন। তার পূর্বসূরিকেও সরে যেতে হয়েছিল মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই। পায়েতংটার্নের এই অব্যাহতি এবং তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতা থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে
আরও ঘোলা করে তুলেছে। গাঢ় হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলা অস্থিরতা ও নেতৃত্বের টানাপোড়েন।
আদালত জানিয়েছে, চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত এই অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।
তার পদত্যাগের দাবিতে বিরোধীদের বিক্ষোভ চলমান রয়েছে, যা শুরু হয়েছিল কম্বোডিয়ার হুন সেনের সঙ্গে তার ফোনালাপ ফাঁসের পর থেকেই। এই দুই দেশের সীমান্ত সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি ছিল ১৫ জুনের। সেখানে হুন সেনকে পায়েতংটার্ন ‘কাকা’ বলে সম্বোধন করেন এবং নিজ দেশের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে বিরোধী একটি পক্ষের চাপে রয়েছেন এখানে তিনি বোঝাতে চান উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এক সেনা কমান্ডারকে।
হুন সেনকে তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আপনি আমাকে বলবেন, আমি দেখব।’
এই কথোপকথন প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধীরা তাকে ঘিরে সমালোচনায় মুখর হয়। তাদের দাবি, পায়েতংটার্ন দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছেন।
এই ঘটনার জেরে তার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শরিক দল ভুমজাইথাই পার্টি গত সপ্তাহে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায়। জনপ্রিয়তায় ধসের পাশাপাশি এখন তিনি সংসদেও অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনার মধ্যে আছেন।
প্রতিক্রিয়ায় আদালতের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেয়ারই ঘোষণা দিয়েছেন পায়েতংটার্ন।
তিনি বলেন, তার উদ্দেশ্য ছিল শুধু দেশের মঙ্গল সাধন। মঙ্গলবার,(১লা জুলাই ২০২৫) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি শতভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। আমি দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে, আমাদের সেনাদের সুরক্ষা দিতে এবং শান্তি বজায় রাখতে চেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি থাই জনগণের কাছে বিশেষ করে যারা এই ঘটনায় মনঃক্ষুণ্য হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই জটিল। পারস্পরিক সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিরাজ করছে কিছুটা উত্তেজনাও। এদের মধ্যে রয়েছে ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত, যেখানে প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তবে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের বিষয়বস্তু নিয়ে তেমন দুর্বলতা অনুভব করছেন না পায়েতংটার্ন। বরং তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এটি ছিল একটি ‘ব্যক্তিগত’ ফোনালাপ এবং এর ফাঁস হওয়াটাই প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি আরও বলেন, আলাপটি দেশের স্বার্থেই হয়েছিল এবং যেটি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, তা ছিল মূলত দরকষাকষির কৌশল কোনোভাবেই অন্য কোনো দেশের প্রতি সমর্পণের বিষয় নয়।
উল্লেখ্য, আগের প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিনকে বরখাস্ত করার পরই পায়েতংটার্ন প্রধানমন্ত্রী হন। এই সাংবিধানিক আদালতই ২০২৩ সালের নির্বাচনে বিজয়ী দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় দল ‘মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি’কে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিল।
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী এক সাবেক নেতার সঙ্গে ফোনালাপে দেশের সেনাবাহিনী নিয়ে যা বলেছিলেন, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই চলছে বিতর্ক। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩৬ জন সিনেটর নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি পিটিশন দায়ের করেন সম্প্রতি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী পায়েতংটার্ন শিনাওয়াত্রাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
মাত্র দশ মাস আগেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন। তার পূর্বসূরিকেও সরে যেতে হয়েছিল মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই। পায়েতংটার্নের এই অব্যাহতি এবং তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতা থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে
আরও ঘোলা করে তুলেছে। গাঢ় হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলা অস্থিরতা ও নেতৃত্বের টানাপোড়েন।
আদালত জানিয়েছে, চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত এই অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।
তার পদত্যাগের দাবিতে বিরোধীদের বিক্ষোভ চলমান রয়েছে, যা শুরু হয়েছিল কম্বোডিয়ার হুন সেনের সঙ্গে তার ফোনালাপ ফাঁসের পর থেকেই। এই দুই দেশের সীমান্ত সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি ছিল ১৫ জুনের। সেখানে হুন সেনকে পায়েতংটার্ন ‘কাকা’ বলে সম্বোধন করেন এবং নিজ দেশের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে বিরোধী একটি পক্ষের চাপে রয়েছেন এখানে তিনি বোঝাতে চান উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এক সেনা কমান্ডারকে।
হুন সেনকে তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আপনি আমাকে বলবেন, আমি দেখব।’
এই কথোপকথন প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধীরা তাকে ঘিরে সমালোচনায় মুখর হয়। তাদের দাবি, পায়েতংটার্ন দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছেন।
এই ঘটনার জেরে তার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শরিক দল ভুমজাইথাই পার্টি গত সপ্তাহে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায়। জনপ্রিয়তায় ধসের পাশাপাশি এখন তিনি সংসদেও অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনার মধ্যে আছেন।
প্রতিক্রিয়ায় আদালতের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেয়ারই ঘোষণা দিয়েছেন পায়েতংটার্ন।
তিনি বলেন, তার উদ্দেশ্য ছিল শুধু দেশের মঙ্গল সাধন। মঙ্গলবার,(১লা জুলাই ২০২৫) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি শতভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। আমি দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে, আমাদের সেনাদের সুরক্ষা দিতে এবং শান্তি বজায় রাখতে চেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি থাই জনগণের কাছে বিশেষ করে যারা এই ঘটনায় মনঃক্ষুণ্য হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই জটিল। পারস্পরিক সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিরাজ করছে কিছুটা উত্তেজনাও। এদের মধ্যে রয়েছে ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত, যেখানে প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তবে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের বিষয়বস্তু নিয়ে তেমন দুর্বলতা অনুভব করছেন না পায়েতংটার্ন। বরং তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এটি ছিল একটি ‘ব্যক্তিগত’ ফোনালাপ এবং এর ফাঁস হওয়াটাই প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি আরও বলেন, আলাপটি দেশের স্বার্থেই হয়েছিল এবং যেটি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, তা ছিল মূলত দরকষাকষির কৌশল কোনোভাবেই অন্য কোনো দেশের প্রতি সমর্পণের বিষয় নয়।
উল্লেখ্য, আগের প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিনকে বরখাস্ত করার পরই পায়েতংটার্ন প্রধানমন্ত্রী হন। এই সাংবিধানিক আদালতই ২০২৩ সালের নির্বাচনে বিজয়ী দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় দল ‘মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি’কে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিল।