alt

জাতীয়

হবিগঞ্জ গ্যাসফিল্ড খনন প্রকল্পের নামে সমান হচ্ছে পাহাড়

মোহাম্মদ শাহ আলম, হবিগঞ্জ : মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলার পানিউমদা এলাকায় পাহাড় কাটার মহোৎসব -সংবাদ

হবিগঞ্জে নবীগঞ্জ সদর উপজেলার পানিউমদা এলাকায় দাপটের সঙ্গে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই, দিনের পর দিন পাহাড় কেটে ফেলা হলেও প্রশাসন নিরব, এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

অবৈধভাবে পাহাড় কাটা চলছে দিব্যি, প্রশাসনের নীরব উপস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ

একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমিধসের ঝুঁকি

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রশিদপুর গ্যাসের ১১ নং কূপ খনন প্রকল্পকে ব্যবহার করে, একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ঠিকাদারি চক্র সরকারি আইন অমান্য করে একের পর এক পাহাড় কেটে নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহ করছে। কোথাও তৈরি হচ্ছে নতুন বসতি, কোথাও আবার জমি সমতল করে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের তোড়জোড় দেখা যায়। এতে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমিধসের ঝুঁকিও।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নানান অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চলছে রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ১১ নম্বর কূপ খনন প্রকল্পের কাজ , এই খনন প্রকল্পকে ঘিরে এলাকায় গড়ে উঠেছে বিশাল এক সিন্ডিকেট টিম, এই সিন্ডিকেট টিম এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা ও কূপ খননের মাঠ নির্মাণের নামে অবৈধভাবে সাধারণ মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে, নির্দিষ্ট নকশা ব্যতীত, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই প্রায় ১২টি পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা ও বিশাল একটি সমতল মাঠ, দলীয় পরিচয় খাটিয়ে ও দখল করে নিয়েছেন চা বাগানের বিশাল পাহাড়, এমনি এক অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য হয়ে গড়ে উঠেছে নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ভরগাঁও গ্রামে।

এলাকার বাসিন্দা আকলু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, সিন্ডিকেট টিমের একাধিক লোক ও কোম্পানির লোক আমাকে ক্ষতিপূরণ দিবে বলে জোরপূর্বক আমার ফসলি টিলা দখল করে নিয়ে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে পাহাড় কেটে সমতল করে ফেলেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ কোনো টাকা-পয়সা দেয়নি, বরং আমি আমার ক্ষতিপূরণ চাইলে এখন আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়ায়, একই ধরনের অভিযোগ তুলে ধরেন জিতু মিয়া ও আব্দুল কাদির, আব্দুল কাদির বলেন তাদের পূর্বপুরুষদের জমি তাদের রেকর্ড ভুক্ত জমি তাদের কে সঠিক মূল্য বা ক্ষতিপূরণ না দিয়েই দখল করে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানী ও সিন্ডিকেট টিম , তার ক্ষতি পূরণের টাকা সংগ্রহ করার নোটিশ দিয়েও ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করা হয় নি । এব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিয়ে ও পাননি কোন সুরাহা বলে দাবি করেন।বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়ারেল গ্যাস কোম্পানির দ্বায়িত্বশীল নজরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা উক্ত কাজ সাব কন্টাক্ট হিসেবে সততা কন্টাকশন কোম্পানি কে দিয়েছি, কাজটি তারাই যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী সম্পূর্ণ করবে,উনারা ভালো বলতে পারবে তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই কিভাবে পাহাড় কেটে সমতল করেছে, পরবর্তীতে সততা কন্টাকশন কোম্পানির দ্বায়িত্বশীল রাশেদ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন আমরা কাজ স্থানীয় কিছু লোকে দিয়ে করাচ্ছি , তারাই বলতে পারবে অনুমোদন ছাড়া কীভাবে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছে, এভাবেই একে অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন, সিন্ডিকেট টিমের একজন সুশেল মিয়া তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান পাহাড় কাটার কাজ আমাদের নয় আমরা পাহাড় কাটিনি, আমরা শুধু ইট এবং বালু সাপ্লাই দিয়েছি , কোম্পানি কিভাবে পাহাড় কাটল আমার জানা নেই

সরকারি কাজে পাহাড় কাটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন ও বিধান পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ধারা ১২ অনুযায়ী, কোনো প্রকল্প গ্রহণের আগে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (ঊওঅ) বাধ্যতামূলক।সরকারি সংস্থা বা প্রকল্পও এর ব্যতিক্রম নয়। রিজার্ভ বন বা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সরকারি উন্নয়ন কাজ করতে হলেও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের অনুমতি লাগবে। সরকারি কাজে পাহাড় বা উঁচু ভূমি ব্যবহার করতে হলে ভূমি ব্যবহার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে।পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় বড় অবকাঠামো নির্মাণ সীমিত বা নিষিদ্ধ।?

যদি কোনো সরকারি সংস্থাও অনুমতি ও নিয়ম না মেনে পাহাড় কাটে: সেটি বেআইনি হিসেবে গণ্য হয়, হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে মামলা হতে পারে,পরিবেশ অধিদপ্তর বা আদালত সেই কাজ বন্ধ করে দিতে পারে।

এভাবে পাহাড় কাটা চলতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যাবে। পাহাড়ের গাছপালা কেটে ফেলা ও মাটি সরিয়ে ফেলার ফলে এলাকার জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে এ ধরনের কর্মকা- পরিবেশের জন্য চরম হুমকি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা জানান, এবিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি, হবিগঞ্জ জেলা অফিস যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না,এখন যেহেতু তথ্য পেয়েছি “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যেসব স্থানে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে, সেখানে অভিযান চালানো হবে।” তবে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় নাগরিকরা বলছেন, যেভাবে এতো পরিমাণ পাহাড় কাটা হয়েছে,এটা নিঃসন্দেহে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য বিশাল হুমকির মুখে পড়েছে, অন্যদিকে প্রকল্পের বাহিরে ও পাহাড় দখল ও কাটার হিড়িক পড়েছে, এদেরকে ও দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি বলে দাবি করেন

আগামী ছয় মাস নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে নিউমুরিং টার্মিনাল: অর্থ উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠতা যোগদানের তারিখ থেকে, রুল হাইকোর্টের

মগবাজারে হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু

ডেঙ্গু: আরও ৩৮৬ জন আক্রান্ত, মৃত্যু ১

আদালতে সাবেক সিইসি নূরুল হুদার ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি

ছবি

বারোমাসিয়া নদীর ভাঙা সাঁকোয় বারোমাসই দুঃখ

ছবি

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি, জজসহ ৫ জনের বিচার শুরু আগামী ৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ

ছবি

মুরাদনগরে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির ১৫ সদস্যের দল

ছবি

ইস্টার্ন রিফাইনারিতে গত অর্থবছরে তেল শোধন ১৫ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন

ছবি

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা ৫ অভিযোগ সঠিক নয়, দাবি রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবীর

রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করেই ঘরে ফিরবো, ঘোষণা নাহিদ ইসলামের

ছবি

প্রতিবেশী দেশের নেতার সঙ্গে ফোনালাপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে অব্যাহতি

জ্বালানি আমদানিতে শুল্ক নীতি সংশোধন, চাপে বিপিসি

ভোটের তারিখ বা সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি: সিইসি

ছবি

জাতীয় সরকারের কথা বললেন তারেক

ছবি

স্বৈরাচার যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

পদ্মা সেতু মামলার পুনরুজ্জীবনে উদ্যোগ, ‘গায়ের জোরে’ দায়মুক্তি দেওয়ার অভিযোগ দুদকের

ছবি

ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, মৃতের সংখ্যা ৪৩

ছবি

দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ড. কামাল হোসেনের উদ্বেগ প্রকাশ

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী স্মৃতি উদ্‌যাপন শুরু

ছবি

শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনকে হাজিরার নির্দেশ, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ

ছবি

আসিফের ব্যাগে ম্যাগাজিন: শাহজালাল বিমানবন্দরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা

ছবি

বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই, ছিনতাইকারীরা-ই আসল সমস্যা: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ

ছবি

ইউনূস–রুবিও ফোনালাপে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারে জোর

ছবি

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১,৬৯০ জন

ছবি

‘ন্যায়সংগত ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা জরুরি’

আহমেদ আকবর সোবহান ও তারিক আহমেদ সিদ্দিককে দুদকে তলব

সাড়ে তিন মাসেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ কলেজছাত্রীর

এনসিপির সততা নিয়ে প্রশ্ন ‘আপ বাংলাদেশ’র

পলাতক লিয়াকত শিকদার, জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

ছবি

বাবুই পাখির ছানা হত্যা, অভিযুক্ত মোবারক আলী গ্রেপ্তার

শূন্য ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল ৪০ হাজার টাকা!

রূপপুর এনপিপির ১৮ কর্মকর্তাকে অপসারণের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

tab

জাতীয়

হবিগঞ্জ গ্যাসফিল্ড খনন প্রকল্পের নামে সমান হচ্ছে পাহাড়

মোহাম্মদ শাহ আলম, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জ জেলার পানিউমদা এলাকায় পাহাড় কাটার মহোৎসব -সংবাদ

মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

হবিগঞ্জে নবীগঞ্জ সদর উপজেলার পানিউমদা এলাকায় দাপটের সঙ্গে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই, দিনের পর দিন পাহাড় কেটে ফেলা হলেও প্রশাসন নিরব, এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

অবৈধভাবে পাহাড় কাটা চলছে দিব্যি, প্রশাসনের নীরব উপস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ

একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমিধসের ঝুঁকি

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রশিদপুর গ্যাসের ১১ নং কূপ খনন প্রকল্পকে ব্যবহার করে, একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ঠিকাদারি চক্র সরকারি আইন অমান্য করে একের পর এক পাহাড় কেটে নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহ করছে। কোথাও তৈরি হচ্ছে নতুন বসতি, কোথাও আবার জমি সমতল করে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের তোড়জোড় দেখা যায়। এতে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমিধসের ঝুঁকিও।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নানান অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চলছে রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ১১ নম্বর কূপ খনন প্রকল্পের কাজ , এই খনন প্রকল্পকে ঘিরে এলাকায় গড়ে উঠেছে বিশাল এক সিন্ডিকেট টিম, এই সিন্ডিকেট টিম এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা ও কূপ খননের মাঠ নির্মাণের নামে অবৈধভাবে সাধারণ মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে, নির্দিষ্ট নকশা ব্যতীত, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই প্রায় ১২টি পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা ও বিশাল একটি সমতল মাঠ, দলীয় পরিচয় খাটিয়ে ও দখল করে নিয়েছেন চা বাগানের বিশাল পাহাড়, এমনি এক অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য হয়ে গড়ে উঠেছে নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ভরগাঁও গ্রামে।

এলাকার বাসিন্দা আকলু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, সিন্ডিকেট টিমের একাধিক লোক ও কোম্পানির লোক আমাকে ক্ষতিপূরণ দিবে বলে জোরপূর্বক আমার ফসলি টিলা দখল করে নিয়ে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে পাহাড় কেটে সমতল করে ফেলেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ কোনো টাকা-পয়সা দেয়নি, বরং আমি আমার ক্ষতিপূরণ চাইলে এখন আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়ায়, একই ধরনের অভিযোগ তুলে ধরেন জিতু মিয়া ও আব্দুল কাদির, আব্দুল কাদির বলেন তাদের পূর্বপুরুষদের জমি তাদের রেকর্ড ভুক্ত জমি তাদের কে সঠিক মূল্য বা ক্ষতিপূরণ না দিয়েই দখল করে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানী ও সিন্ডিকেট টিম , তার ক্ষতি পূরণের টাকা সংগ্রহ করার নোটিশ দিয়েও ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করা হয় নি । এব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিয়ে ও পাননি কোন সুরাহা বলে দাবি করেন।বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়ারেল গ্যাস কোম্পানির দ্বায়িত্বশীল নজরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা উক্ত কাজ সাব কন্টাক্ট হিসেবে সততা কন্টাকশন কোম্পানি কে দিয়েছি, কাজটি তারাই যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী সম্পূর্ণ করবে,উনারা ভালো বলতে পারবে তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই কিভাবে পাহাড় কেটে সমতল করেছে, পরবর্তীতে সততা কন্টাকশন কোম্পানির দ্বায়িত্বশীল রাশেদ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন আমরা কাজ স্থানীয় কিছু লোকে দিয়ে করাচ্ছি , তারাই বলতে পারবে অনুমোদন ছাড়া কীভাবে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছে, এভাবেই একে অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন, সিন্ডিকেট টিমের একজন সুশেল মিয়া তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান পাহাড় কাটার কাজ আমাদের নয় আমরা পাহাড় কাটিনি, আমরা শুধু ইট এবং বালু সাপ্লাই দিয়েছি , কোম্পানি কিভাবে পাহাড় কাটল আমার জানা নেই

সরকারি কাজে পাহাড় কাটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন ও বিধান পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ধারা ১২ অনুযায়ী, কোনো প্রকল্প গ্রহণের আগে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (ঊওঅ) বাধ্যতামূলক।সরকারি সংস্থা বা প্রকল্পও এর ব্যতিক্রম নয়। রিজার্ভ বন বা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সরকারি উন্নয়ন কাজ করতে হলেও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের অনুমতি লাগবে। সরকারি কাজে পাহাড় বা উঁচু ভূমি ব্যবহার করতে হলে ভূমি ব্যবহার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে।পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় বড় অবকাঠামো নির্মাণ সীমিত বা নিষিদ্ধ।?

যদি কোনো সরকারি সংস্থাও অনুমতি ও নিয়ম না মেনে পাহাড় কাটে: সেটি বেআইনি হিসেবে গণ্য হয়, হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে মামলা হতে পারে,পরিবেশ অধিদপ্তর বা আদালত সেই কাজ বন্ধ করে দিতে পারে।

এভাবে পাহাড় কাটা চলতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যাবে। পাহাড়ের গাছপালা কেটে ফেলা ও মাটি সরিয়ে ফেলার ফলে এলাকার জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে এ ধরনের কর্মকা- পরিবেশের জন্য চরম হুমকি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা জানান, এবিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি, হবিগঞ্জ জেলা অফিস যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না,এখন যেহেতু তথ্য পেয়েছি “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যেসব স্থানে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে, সেখানে অভিযান চালানো হবে।” তবে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় নাগরিকরা বলছেন, যেভাবে এতো পরিমাণ পাহাড় কাটা হয়েছে,এটা নিঃসন্দেহে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য বিশাল হুমকির মুখে পড়েছে, অন্যদিকে প্রকল্পের বাহিরে ও পাহাড় দখল ও কাটার হিড়িক পড়েছে, এদেরকে ও দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি বলে দাবি করেন

back to top