জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলায় আনা পাঁচটি অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি বলেছেন, এই মামলা থেকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে খালাস করার জন্য তার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
মঙ্গলবার,(১লা জুলাই ২০২৫) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শেষে আমির হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি। আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে যে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো হলো- উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ দেয়া; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যার দায়; চানখাঁরপুলে আন্দোলনরত ছয়জনকে গুলি করে হত্যার দায় এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, তিনি মনে করেন, তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে যে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো সঠিক নয়। অভিযোগগুলো সঠিক না বিধায় তিনি ট্রাইব্যুনালে ডিসচার্জের (অব্যাহতির) আবেদন করবেন।
এ ধরনের বড় মামলায় রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর কাউকে মুক্ত করার নজির আছে কিনা, তা আমির হোসেনের কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে তিনি বলেন, নজির নেই। কিন্তু নজির তো যেকোনো সময় হতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শুনানিতে আমির হোসেন বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মামলা। তিনি এই মামলার নথিপত্র ২৫ জুন পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার সময় পাননি, তা ছাড়া তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাই তার প্রস্তুতির জন্য ১৫ দিন সময় প্রয়োজন।
ট্রাইব্যুনাল ৬ দিন সময় মঞ্জুর করে আগামী সোমবার (৭ জুলাই) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। সেদিন আসামিপক্ষ যুক্তি তুলে ধরবে।
মামলার আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন কারাগারে আছেন। এদিন তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি না করে পরবর্তী তারিখে অংশ নেবেন বলে জানান।
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলায় আনা পাঁচটি অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি বলেছেন, এই মামলা থেকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে খালাস করার জন্য তার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
মঙ্গলবার,(১লা জুলাই ২০২৫) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শেষে আমির হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি। আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে যে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো হলো- উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ দেয়া; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যার দায়; চানখাঁরপুলে আন্দোলনরত ছয়জনকে গুলি করে হত্যার দায় এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, তিনি মনে করেন, তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে যে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো সঠিক নয়। অভিযোগগুলো সঠিক না বিধায় তিনি ট্রাইব্যুনালে ডিসচার্জের (অব্যাহতির) আবেদন করবেন।
এ ধরনের বড় মামলায় রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর কাউকে মুক্ত করার নজির আছে কিনা, তা আমির হোসেনের কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে তিনি বলেন, নজির নেই। কিন্তু নজির তো যেকোনো সময় হতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শুনানিতে আমির হোসেন বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মামলা। তিনি এই মামলার নথিপত্র ২৫ জুন পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার সময় পাননি, তা ছাড়া তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাই তার প্রস্তুতির জন্য ১৫ দিন সময় প্রয়োজন।
ট্রাইব্যুনাল ৬ দিন সময় মঞ্জুর করে আগামী সোমবার (৭ জুলাই) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। সেদিন আসামিপক্ষ যুক্তি তুলে ধরবে।
মামলার আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন কারাগারে আছেন। এদিন তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি না করে পরবর্তী তারিখে অংশ নেবেন বলে জানান।