মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের নথি জালিয়াতি
মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণের নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার,(১লা জুলাই ২০২৫) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালত আগামী ৩ আগস্ট মামলার সাক্ষ্য নেয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের প্রায় ৪০ মিনিট শুনানির পর আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। ৩ আগস্ট মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। আদালত ৩ আগস্ট পর্যন্ত আসামিদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনও মঞ্জুর করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন কক্সবাজারের সাবেক ডিসি মো. রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, কক্সবাজার আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল। শুনানির সময় জামিনে থাকা আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার নথি অনুযায়ী, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি দুদককে তদন্তের জন্য পাঠায়। ২০১৭ সালের ২২ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ডিসি রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়, পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
পরবর্তীতে তৎকালীন জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার প্রধান আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথি দুদকে পাঠান। বিষয়টি জানতে পেরে বাদী একই আদালতে নতুন করে জালিয়াতির মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদক ২০২৪ সালের ১ জুলাই সাবেক ডিসি-জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এ মামলায় কক্সবাজার দুদকের কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শাহ হাবিবুর রহমানকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি এই প্রতিবেদনের শুনানি শেষে ২৩ জানুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। মামলাটি পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের নথি জালিয়াতি
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণের নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার,(১লা জুলাই ২০২৫) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালত আগামী ৩ আগস্ট মামলার সাক্ষ্য নেয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের প্রায় ৪০ মিনিট শুনানির পর আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। ৩ আগস্ট মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। আদালত ৩ আগস্ট পর্যন্ত আসামিদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনও মঞ্জুর করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন কক্সবাজারের সাবেক ডিসি মো. রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, কক্সবাজার আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল। শুনানির সময় জামিনে থাকা আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার নথি অনুযায়ী, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি দুদককে তদন্তের জন্য পাঠায়। ২০১৭ সালের ২২ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ডিসি রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়, পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
পরবর্তীতে তৎকালীন জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার প্রধান আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথি দুদকে পাঠান। বিষয়টি জানতে পেরে বাদী একই আদালতে নতুন করে জালিয়াতির মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদক ২০২৪ সালের ১ জুলাই সাবেক ডিসি-জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এ মামলায় কক্সবাজার দুদকের কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শাহ হাবিবুর রহমানকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি এই প্রতিবেদনের শুনানি শেষে ২৩ জানুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। মামলাটি পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।