সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি সাংবিধানিক বিশেষায়িত কমিটি গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। এছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়েও দলগুলো একমত, তবে এ নিয়ে আরও আলোচনা চলবে বলে জানান তিনি।
বুধবার,(২ জুলাই ২০২৫) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে তিনি এ কথা জানান।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী আসন নির্ধারণ নিয়ে কাজ চলমান দেখতে পাচ্ছি। নির্বাচন সংস্কার কমিশন থেকে সুস্পষ্ট সুপারিশ ছিল, সেখানে বলা হয়েছে আশু ব্যবস্থা হিসেবে কী করা যেতে পারে। দ্বিতীয় বিষয় ছিল সাংবিধানিকভাবে দীর্ঘমেয়াদি কিছু করা যায় কিনা। দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধানে যে ঐকমত্য হয়েছে তা হলো প্রতি আদমশুমারি বা অনধিক ১০ বছর পরে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের জন্য সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের দফা এক-এর ‘ঘ’ শেষে আইনের দ্বারা একটি বিধান যুক্ত করা। এর অর্থ হচ্ছে সংসদীয় আসন নির্ধারণ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণের আইন ২০২১, যেটা ২০২৫ সালে সংশোধিত হয়েছে। আমরা সংবিধানে কিছু বিষয় যুক্ত করার কথা বলেছি, তার পাশাপাশি সেটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আইনের মধ্য দিয়ে কমিটির পরিধি ও কার্যপরিধি গঠন নিয়ে সুনির্দিষ্ট আইন যেন থাকে তা বলেছি।
দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সমাধানের জন্য এ ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।’
*তত্ত্বাবধায়ক সরকার*
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অভিন্ন মত পোষণ করে সুনির্দিষ্ট ঐকমত্যে আছে। এর গঠন এবং কাঠামোগত বিষয় ও সরকার কতদিন থাকবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনায় বিভিন্ন রকম মতামত এসেছে। এ বিষয়ে দুটি সুপারিশ ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন থেকে ছিল ৯০ দিনের আর নির্বাচন কমিশন থেকে ছিল ১২০ দিনের। এই সমস্ত সময় ও পরিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো অনেক কাছাকাছি এসেছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক।’
*জুলাই সনদ*
জুলাই সনদ নিয়ে আশা-হতাশা থাকলেও জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ‘একটা সনদের জায়গায়’ পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দলগতভাবে, জোটগতভাবে, ব্যক্তিগতভাবে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় আমরা চেষ্টা করেছি, কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়েছে। সেগুলো আমাদের আশাবাদী করছে। আমরা মনে করি যে, এই জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারব। কারণ আমাদের সবারই আন্তরিক প্রচেষ্টাটা আছে। মানুষ সেটা প্রত্যাশা করেন, তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। সেই জায়গায় আমরা সবাই যেন অগ্রসর হতে পারি। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে এক জায়গায় যেতে পারব।’
জুলাই সনদ হবে রাজনৈতিক দলগুলোর এক ধরনের অঙ্গীকারনামা যেখানে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, অভ্যুত্থান পরবর্তী জনআকাক্সক্ষার বয়ান থাকবে এবং সে অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কারের যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, তা এগিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেবে রাজনৈতিক দলগুলো।
জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের গড়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতোমধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘প্রতিশ্রুতি’ রক্ষা করতে না পারার অভিযোগ এনেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘কোনো একটি পক্ষ যদি দলীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে তাহলে সরকারের উচিত ভয় না করে অন্য সব পক্ষ ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করা।’
বুধবারের বৈঠকে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমার নিয়মে পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
*জুলাই সনদের পক্ষে*
বুধবার সংলাপের বিরতিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা সব সময় জুলাই সনদের পক্ষে। যে পরিবর্তনের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি, তার কিছুই যদি না হয়, আগের অবস্থাই যদি থাকি, তাহলে এই আত্মত্যাগ একেবারে অর্থহীন হয়ে যাবে।’
নির্বাচনী আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি কমিটি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলেও দাবি করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি পরিবর্তন এসেছে, যেখানে একটি বিশেষায়িত কমিটি নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন নিজেই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করবে।’
জামায়াতের এই নেতা জানান, সীমান্ত নির্ধারণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞ টিমের যে অ্যাডভাইজার থাকবে, তারা পরামর্শ দেবে। তিনি বলেন, ১০ বছর পর পর আদমশুমারির জন্য এই কমিটি একটি সাংবিধানিক কমিটি হিসেবে কাজ করবে এবং সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তার মতে, এ কমিটি স্বাধীন হবে এবং বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিচালিত হবে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত অক্টোবরে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিনের প্রতিবেদন জমা পড়ে ফেব্রুয়ারি মাসে। এসব প্রতিবেদনের সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপর ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশনের মাধ্যমে প্রথম পর্বের সংলাপ সম্পন্ন করে ঐকমত্য কমিশন।
ঈদুল আজহার আগে দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরুর পর বুধবার অষ্টম দিনের আলোচনা হয়। সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। আলোচনার শুরুতে জুলাই শহীদদের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি সাংবিধানিক বিশেষায়িত কমিটি গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। এছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়েও দলগুলো একমত, তবে এ নিয়ে আরও আলোচনা চলবে বলে জানান তিনি।
বুধবার,(২ জুলাই ২০২৫) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে তিনি এ কথা জানান।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী আসন নির্ধারণ নিয়ে কাজ চলমান দেখতে পাচ্ছি। নির্বাচন সংস্কার কমিশন থেকে সুস্পষ্ট সুপারিশ ছিল, সেখানে বলা হয়েছে আশু ব্যবস্থা হিসেবে কী করা যেতে পারে। দ্বিতীয় বিষয় ছিল সাংবিধানিকভাবে দীর্ঘমেয়াদি কিছু করা যায় কিনা। দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধানে যে ঐকমত্য হয়েছে তা হলো প্রতি আদমশুমারি বা অনধিক ১০ বছর পরে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের জন্য সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের দফা এক-এর ‘ঘ’ শেষে আইনের দ্বারা একটি বিধান যুক্ত করা। এর অর্থ হচ্ছে সংসদীয় আসন নির্ধারণ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণের আইন ২০২১, যেটা ২০২৫ সালে সংশোধিত হয়েছে। আমরা সংবিধানে কিছু বিষয় যুক্ত করার কথা বলেছি, তার পাশাপাশি সেটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আইনের মধ্য দিয়ে কমিটির পরিধি ও কার্যপরিধি গঠন নিয়ে সুনির্দিষ্ট আইন যেন থাকে তা বলেছি।
দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সমাধানের জন্য এ ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।’
*তত্ত্বাবধায়ক সরকার*
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অভিন্ন মত পোষণ করে সুনির্দিষ্ট ঐকমত্যে আছে। এর গঠন এবং কাঠামোগত বিষয় ও সরকার কতদিন থাকবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনায় বিভিন্ন রকম মতামত এসেছে। এ বিষয়ে দুটি সুপারিশ ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন থেকে ছিল ৯০ দিনের আর নির্বাচন কমিশন থেকে ছিল ১২০ দিনের। এই সমস্ত সময় ও পরিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো অনেক কাছাকাছি এসেছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক।’
*জুলাই সনদ*
জুলাই সনদ নিয়ে আশা-হতাশা থাকলেও জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ‘একটা সনদের জায়গায়’ পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দলগতভাবে, জোটগতভাবে, ব্যক্তিগতভাবে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় আমরা চেষ্টা করেছি, কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়েছে। সেগুলো আমাদের আশাবাদী করছে। আমরা মনে করি যে, এই জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারব। কারণ আমাদের সবারই আন্তরিক প্রচেষ্টাটা আছে। মানুষ সেটা প্রত্যাশা করেন, তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। সেই জায়গায় আমরা সবাই যেন অগ্রসর হতে পারি। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে এক জায়গায় যেতে পারব।’
জুলাই সনদ হবে রাজনৈতিক দলগুলোর এক ধরনের অঙ্গীকারনামা যেখানে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, অভ্যুত্থান পরবর্তী জনআকাক্সক্ষার বয়ান থাকবে এবং সে অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কারের যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, তা এগিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেবে রাজনৈতিক দলগুলো।
জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের গড়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতোমধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘প্রতিশ্রুতি’ রক্ষা করতে না পারার অভিযোগ এনেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘কোনো একটি পক্ষ যদি দলীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে তাহলে সরকারের উচিত ভয় না করে অন্য সব পক্ষ ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করা।’
বুধবারের বৈঠকে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমার নিয়মে পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
*জুলাই সনদের পক্ষে*
বুধবার সংলাপের বিরতিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা সব সময় জুলাই সনদের পক্ষে। যে পরিবর্তনের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি, তার কিছুই যদি না হয়, আগের অবস্থাই যদি থাকি, তাহলে এই আত্মত্যাগ একেবারে অর্থহীন হয়ে যাবে।’
নির্বাচনী আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি কমিটি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলেও দাবি করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি পরিবর্তন এসেছে, যেখানে একটি বিশেষায়িত কমিটি নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন নিজেই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করবে।’
জামায়াতের এই নেতা জানান, সীমান্ত নির্ধারণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞ টিমের যে অ্যাডভাইজার থাকবে, তারা পরামর্শ দেবে। তিনি বলেন, ১০ বছর পর পর আদমশুমারির জন্য এই কমিটি একটি সাংবিধানিক কমিটি হিসেবে কাজ করবে এবং সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তার মতে, এ কমিটি স্বাধীন হবে এবং বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিচালিত হবে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত অক্টোবরে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিনের প্রতিবেদন জমা পড়ে ফেব্রুয়ারি মাসে। এসব প্রতিবেদনের সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপর ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশনের মাধ্যমে প্রথম পর্বের সংলাপ সম্পন্ন করে ঐকমত্য কমিশন।
ঈদুল আজহার আগে দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরুর পর বুধবার অষ্টম দিনের আলোচনা হয়। সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। আলোচনার শুরুতে জুলাই শহীদদের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।