করোনাভাইরাসে শনাক্ত ২৭ জন ও মৃত্যু ১ জন
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। এই মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন শিশু থেকে বয়স্ক পর্যন্ত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আবার মারাও যাচ্ছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১৬ জন শুধু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বাসাবাড়িতে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের তথ্য জানা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার,(২ জুলাই ২০২৫) আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ জন হয়েছে।
গত জানুয়ারি থেকে চলতি জুলাই মাসের বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১ হাজার ৯৮ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৪৪জন।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬৫ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, ময়মনসিংহে ১০ জন, রাজশাহীতে ৫১ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আক্রান্তের মধ্যে শতকরা ৪০ দশমিক ১ ভাগ নারী ও ৫৯ দশমিক ৯ ভাগ পুরুষ।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আক্রান্তের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭১ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১২ জন, শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৭ জন, মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩২ জন ভর্তি হয়েছে। এইভাবে ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ২৬৮ জন। এ নিয়ে দেশের অন্যান্য হাসপাতাল মিলে মোট ভর্তি ১৩২৩ জন।
জুলাই মাসের ২ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ৮০২ জন। এর আগে জুন মাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫,৯৫১ জন। জুন মাসে মারা গেছে ১৯ জন। সব মিলিয়ে বুধবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে
মারা গেছে ৪৪ জন। একজন ডেঙ্গু গবেষক জানান, মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। লেখালেখি ও গবেষণা করলে তো আর মশা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর হবে। এরপরও মশা দমনে আরও উদ্যোগী হয়ে কাজ করলে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো? তবে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, মশা দমন এখন কষ্টকর হবে। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস: গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৮ জনের করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফলে ২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত ৬০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শুরু থেকে বুধবার পর্যন্ত সর্বমোট শনাক্তের পরিমাণ ২০,৫২,২৫৪।
অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে বুধবার আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত মোট মৃত্যু ২৩ জন। করোনাভাইরাসের শুরু থেকে বুধবার পর্যন্ত মোট মৃত্যু ২৯,৫২৩ জন।
নোয়াখালীতে করোনায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু, আরও আক্রান্ত ১০ জন
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে জেবল হক (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. ফরিদ ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জেবল হক কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের গনু মিয়ার ছেলে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আরও এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনও শুরু করা যাচ্ছে না। এদিকে এ মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কবির হাট এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
করোনাভাইরাসে শনাক্ত ২৭ জন ও মৃত্যু ১ জন
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। এই মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন শিশু থেকে বয়স্ক পর্যন্ত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আবার মারাও যাচ্ছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১৬ জন শুধু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বাসাবাড়িতে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের তথ্য জানা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার,(২ জুলাই ২০২৫) আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ জন হয়েছে।
গত জানুয়ারি থেকে চলতি জুলাই মাসের বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১ হাজার ৯৮ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৪৪জন।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬৫ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, ময়মনসিংহে ১০ জন, রাজশাহীতে ৫১ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আক্রান্তের মধ্যে শতকরা ৪০ দশমিক ১ ভাগ নারী ও ৫৯ দশমিক ৯ ভাগ পুরুষ।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আক্রান্তের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭১ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১২ জন, শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৭ জন, মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩২ জন ভর্তি হয়েছে। এইভাবে ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ২৬৮ জন। এ নিয়ে দেশের অন্যান্য হাসপাতাল মিলে মোট ভর্তি ১৩২৩ জন।
জুলাই মাসের ২ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ৮০২ জন। এর আগে জুন মাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫,৯৫১ জন। জুন মাসে মারা গেছে ১৯ জন। সব মিলিয়ে বুধবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে
মারা গেছে ৪৪ জন। একজন ডেঙ্গু গবেষক জানান, মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। লেখালেখি ও গবেষণা করলে তো আর মশা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর হবে। এরপরও মশা দমনে আরও উদ্যোগী হয়ে কাজ করলে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো? তবে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, মশা দমন এখন কষ্টকর হবে। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস: গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৮ জনের করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফলে ২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত ৬০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শুরু থেকে বুধবার পর্যন্ত সর্বমোট শনাক্তের পরিমাণ ২০,৫২,২৫৪।
অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে বুধবার আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত মোট মৃত্যু ২৩ জন। করোনাভাইরাসের শুরু থেকে বুধবার পর্যন্ত মোট মৃত্যু ২৯,৫২৩ জন।
নোয়াখালীতে করোনায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু, আরও আক্রান্ত ১০ জন
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে জেবল হক (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. ফরিদ ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জেবল হক কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের গনু মিয়ার ছেলে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আরও এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনও শুরু করা যাচ্ছে না। এদিকে এ মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কবির হাট এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।