রাষ্ট্রদ্রোহ, জনগণের ‘ভোট ছাড়া’ নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে বিএনপির করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে জামিন দেয়া হয়নি। বুধবার,(২ জুলাই ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে নূরুল হুদার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব। শুনানি শেষে বিচারক সেফাতুল্লাহ জামিন নামঞ্জুর করেন।
প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রফিকুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুরের তথ্য দিয়েছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান গত ২২ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি তাদের সময়ের নির্বাচন কমিশনারদের আসামি করা হয়।
এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়। মামলার দিনই নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। এরপর ২৭ জুন তাকে আবারও চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল মঙ্গলবার নূরুল হুদা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়।
‘সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
‘উক্ত ঘটনার সাক্ষী সব ভোটকেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যরা। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ অফিসারসহ স্থানীয় লোকজনসহ অন্যরা ঘটনার সাক্ষী হবে। এ ছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লিখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদ্ঘাটিত হবে।’
রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুক্ত হয়েছে এ মামলায়। নূরুল হুদার পর ২৫ জুন সাবেক আরেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরদিন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে গত রোববার তাকে কারাগারে পাঠানা হয়।
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
রাষ্ট্রদ্রোহ, জনগণের ‘ভোট ছাড়া’ নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে বিএনপির করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে জামিন দেয়া হয়নি। বুধবার,(২ জুলাই ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে নূরুল হুদার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব। শুনানি শেষে বিচারক সেফাতুল্লাহ জামিন নামঞ্জুর করেন।
প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রফিকুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুরের তথ্য দিয়েছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান গত ২২ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি তাদের সময়ের নির্বাচন কমিশনারদের আসামি করা হয়।
এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়। মামলার দিনই নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। এরপর ২৭ জুন তাকে আবারও চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল মঙ্গলবার নূরুল হুদা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়।
‘সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
‘উক্ত ঘটনার সাক্ষী সব ভোটকেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যরা। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ অফিসারসহ স্থানীয় লোকজনসহ অন্যরা ঘটনার সাক্ষী হবে। এ ছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লিখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদ্ঘাটিত হবে।’
রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুক্ত হয়েছে এ মামলায়। নূরুল হুদার পর ২৫ জুন সাবেক আরেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরদিন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে গত রোববার তাকে কারাগারে পাঠানা হয়।