রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সম্পর্কিত বিধান ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের নবম দিনের আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সংস্কার নিয়ে গত ৫৩ বছরে আলোচনার সুযোগ হয়নি: আলী রীয়াজ
এমন কিছু পরিবর্তন করা যাবে না, যা পরবর্তীতে টিকবে না: সালাহউদ্দিন
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার প্রসঙ্গে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্যকোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘বিগত সময়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেছে।’
এই অনুচ্ছেদে সংশোধন করে যা লেখা হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্যকোনো কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত মানদণ্ড, নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করা হইবে।’
আলী রীয়াজ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সংবিধানের ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন থেকে দেয়া প্রস্তাবের আলোকে যে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে তা ভবিষ্যতে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এতদিন ধরে এই ক্ষমতার যে অপব্যবহার হয়েছে তা বন্ধ হবে।’
বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে অগ্রগতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে। তবে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে প্রধান বিচারপতি সময়ে সময়ে যে সার্কিট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন, তার পরিবর্তে রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে এবং প্রধান বিচারপতি কর্র্তৃক প্রতিটি বিভাগে এক বা একাধিক স্থায়ী বেঞ্চ থাকবে। অর্থাৎ হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে সংবিধানের ১০০ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিবর্তন হবে।’
পরবর্তীতে টিকবে না
বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে একমত পোষণ করার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এ সময়ে এসে সংবিধানে এমন কিছু পরিবর্তন করতে পারবো না, যে পরিবর্তন পরবর্তীতে টিকবে না। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।’ তিনি বলেন, ‘এখন যে পর্যায়ে আছি, এখানে জনগণ ও রাষ্ট্রের কাছে আমাদের দায় অনেক বেশি। আমরা এখানেই রাজনৈতিকভাবে মতামত দিচ্ছি না; জনগণের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য সার্বিকভাবে মতামত দিচ্ছি।’
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন ক্ষমতা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের সময় রাষ্ট্রপতি এককভাবে এবং সংসদীয় সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে ফাঁসির আসামিকেও ক্ষমা করা হয়েছে। এজন্য এ বিষয়ে নীতিমালা জরুরি। এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নীতিগতভাবে একমত, ক্ষমা প্রদর্শন আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। সংবিধানে যা অন্তর্ভুক্ত হবে। আর হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপনের বিষয়েও আমরা একমত। তবে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করেই এটি করতে হবে। তা করা গেলে জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছবে।’
জাতীয় সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন হোক বিএনপি তা চায়- দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আর যেন এটি দীর্ঘায়িত না হয়। বিএনপি সরকারি বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করলেও একটি মহল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।’
৫৩ বছরে সুযোগ হয়নি
বৃহস্পতিবার সংলাপে সূচনা বক্তব্যে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে গত ৫৩ বছরে আলোচনার সুযোগ হয়নি। সেই সুযোগ অত্যন্ত কষ্টের মধ্য দিয়ে, অনেক রকম প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আত্মদানের মধ্য দিয়ে এসেছে। আলোচনার ইতিবাচক দিক আছে পরস্পরকে জানা বোঝার দিক থেকে।’ উপস্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, ‘শুধু এখানে নয়, আমরা এটা জানি আপনারা দলগতভাবে, জোটগতভাবে পরস্পরের মধ্যেও বিভিন্ন রকম আলাপ-আলোচনা করছেন; যেটা ইতিবাচক। কারণ এখানে বসে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছুর সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। আমরা দলগুলোকে অনুরোধ করেছিলাম আপনারা সমমনা দল, সংগঠন, জোটের সঙ্গে কথা বলুন। আমরা কিছু অনানুষ্ঠানিক খবর পাচ্ছি; যাতে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।’
এ পর্যন্ত সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সম্পর্কিত বিধান ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে আলোচনা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা জানানো হয় ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
বৃহস্পতিবার সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী ৭ জুলাই পুনরায় আলোচনার দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সম্পর্কিত বিধান ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের নবম দিনের আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সংস্কার নিয়ে গত ৫৩ বছরে আলোচনার সুযোগ হয়নি: আলী রীয়াজ
এমন কিছু পরিবর্তন করা যাবে না, যা পরবর্তীতে টিকবে না: সালাহউদ্দিন
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার প্রসঙ্গে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্যকোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘বিগত সময়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেছে।’
এই অনুচ্ছেদে সংশোধন করে যা লেখা হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্যকোনো কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত মানদণ্ড, নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করা হইবে।’
আলী রীয়াজ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সংবিধানের ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন থেকে দেয়া প্রস্তাবের আলোকে যে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে তা ভবিষ্যতে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এতদিন ধরে এই ক্ষমতার যে অপব্যবহার হয়েছে তা বন্ধ হবে।’
বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে অগ্রগতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে। তবে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে প্রধান বিচারপতি সময়ে সময়ে যে সার্কিট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন, তার পরিবর্তে রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে এবং প্রধান বিচারপতি কর্র্তৃক প্রতিটি বিভাগে এক বা একাধিক স্থায়ী বেঞ্চ থাকবে। অর্থাৎ হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে সংবিধানের ১০০ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিবর্তন হবে।’
পরবর্তীতে টিকবে না
বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে একমত পোষণ করার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এ সময়ে এসে সংবিধানে এমন কিছু পরিবর্তন করতে পারবো না, যে পরিবর্তন পরবর্তীতে টিকবে না। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।’ তিনি বলেন, ‘এখন যে পর্যায়ে আছি, এখানে জনগণ ও রাষ্ট্রের কাছে আমাদের দায় অনেক বেশি। আমরা এখানেই রাজনৈতিকভাবে মতামত দিচ্ছি না; জনগণের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য সার্বিকভাবে মতামত দিচ্ছি।’
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন ক্ষমতা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের সময় রাষ্ট্রপতি এককভাবে এবং সংসদীয় সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে ফাঁসির আসামিকেও ক্ষমা করা হয়েছে। এজন্য এ বিষয়ে নীতিমালা জরুরি। এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নীতিগতভাবে একমত, ক্ষমা প্রদর্শন আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। সংবিধানে যা অন্তর্ভুক্ত হবে। আর হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপনের বিষয়েও আমরা একমত। তবে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করেই এটি করতে হবে। তা করা গেলে জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছবে।’
জাতীয় সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন হোক বিএনপি তা চায়- দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আর যেন এটি দীর্ঘায়িত না হয়। বিএনপি সরকারি বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করলেও একটি মহল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।’
৫৩ বছরে সুযোগ হয়নি
বৃহস্পতিবার সংলাপে সূচনা বক্তব্যে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে গত ৫৩ বছরে আলোচনার সুযোগ হয়নি। সেই সুযোগ অত্যন্ত কষ্টের মধ্য দিয়ে, অনেক রকম প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আত্মদানের মধ্য দিয়ে এসেছে। আলোচনার ইতিবাচক দিক আছে পরস্পরকে জানা বোঝার দিক থেকে।’ উপস্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, ‘শুধু এখানে নয়, আমরা এটা জানি আপনারা দলগতভাবে, জোটগতভাবে পরস্পরের মধ্যেও বিভিন্ন রকম আলাপ-আলোচনা করছেন; যেটা ইতিবাচক। কারণ এখানে বসে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছুর সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। আমরা দলগুলোকে অনুরোধ করেছিলাম আপনারা সমমনা দল, সংগঠন, জোটের সঙ্গে কথা বলুন। আমরা কিছু অনানুষ্ঠানিক খবর পাচ্ছি; যাতে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।’
এ পর্যন্ত সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সম্পর্কিত বিধান ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে আলোচনা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা জানানো হয় ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
বৃহস্পতিবার সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী ৭ জুলাই পুনরায় আলোচনার দিন ধার্য করা হয়েছে।