বিগত সরকারের সময়ে গুমের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে সেনা সদর দপ্তর। মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য ডেপুটেশনে থাকেন, তারা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকেন না। ডেপুটেশনে থাকা কিছু সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর তদন্ত চলমান রয়েছে।
কেএনএফের ভয়ে চলে যাওয়া বম পরিবারগুলো ফিরে আসতে শুরু করেছে, এরই মধ্যে ১৩৮ জন নিজ ভিটায় ফিরেছে
মব ভায়োলেন্স এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী
জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় লুট হওয়া অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার
তিনি জানান, ‘এই তদন্তে যদি গুমের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়, তা হলে অবশ্যই সেনাবাহিনী তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে বাংলদেশ সেনাবাহিনী সব ধরনের সহযোগিতা করেছে এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা থাকবে।’ ভুক্তভোগী কোনো পরিবার সহযোগিতা চাইলে, তাদেরও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এই সেনা কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার ভোরে বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনা অভিযানে পাহাড়ি সংগঠন কেএনএফর দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে দেখছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনা পাহাড়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে মন্তব্য করে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘কেএনএফের ভয়ে যেসব বম পরিবার চলে গিয়েছিল, তারা ফিরে আসতে শুরু করেছে। ১৩৮ জন তাদের বসতভিটায় ফিরে এসেছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে গতবছর আগস্টে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করে সরকার। ‘গুমের’ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর মধ্যে কার কী ভূমিকা ছিল, তা গত ৪ জুন জমা দেয়া কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
মব ভায়োলেন্স এবং জনদুর্ভোগ
ভবিষ্যতে ‘জানমালের ক্ষতিসাধন, মব ভায়োলেন্স এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারে, এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে’ এ কথা জানিয়েছে সেনা
সদর দপ্তর। ব্রিফিংয়ে ‘মব ভায়োলেন্স’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল ইসলাম বলেছেন ‘সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে হেনস্তা করার ঘটনায় যে ৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তাদের একজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী।’
এ ধরনের ঘটনায় সেনাবাহিনী ‘সব সময় সোচ্চার’ বলে মন্তব্য করেন এই সেনা কর্মকর্তা।
নির্বাচন প্রসঙ্গ
সেনাসদরের সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল শফিকুল ইসলাম দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত বছর জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র লুট হয়, যার ৮০ শতাংশ এরইমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই সময় প্রায় ১২ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজারের বেশি অস্ত্র শুধু সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। আগামী নির্বাচনের পূর্বে যতদূর সম্ভব বাকি অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনী তৎপর রয়েছে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গও সংবাদ সম্মেলনে আসে। সেনাবাহিনী কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। পাওয়ামাত্র অবাধ, সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।’
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
বিগত সরকারের সময়ে গুমের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে সেনা সদর দপ্তর। মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য ডেপুটেশনে থাকেন, তারা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকেন না। ডেপুটেশনে থাকা কিছু সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর তদন্ত চলমান রয়েছে।
কেএনএফের ভয়ে চলে যাওয়া বম পরিবারগুলো ফিরে আসতে শুরু করেছে, এরই মধ্যে ১৩৮ জন নিজ ভিটায় ফিরেছে
মব ভায়োলেন্স এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী
জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় লুট হওয়া অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার
তিনি জানান, ‘এই তদন্তে যদি গুমের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়, তা হলে অবশ্যই সেনাবাহিনী তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে বাংলদেশ সেনাবাহিনী সব ধরনের সহযোগিতা করেছে এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা থাকবে।’ ভুক্তভোগী কোনো পরিবার সহযোগিতা চাইলে, তাদেরও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এই সেনা কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার ভোরে বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনা অভিযানে পাহাড়ি সংগঠন কেএনএফর দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে দেখছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনা পাহাড়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে মন্তব্য করে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘কেএনএফের ভয়ে যেসব বম পরিবার চলে গিয়েছিল, তারা ফিরে আসতে শুরু করেছে। ১৩৮ জন তাদের বসতভিটায় ফিরে এসেছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে গতবছর আগস্টে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করে সরকার। ‘গুমের’ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর মধ্যে কার কী ভূমিকা ছিল, তা গত ৪ জুন জমা দেয়া কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
মব ভায়োলেন্স এবং জনদুর্ভোগ
ভবিষ্যতে ‘জানমালের ক্ষতিসাধন, মব ভায়োলেন্স এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারে, এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে’ এ কথা জানিয়েছে সেনা
সদর দপ্তর। ব্রিফিংয়ে ‘মব ভায়োলেন্স’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল ইসলাম বলেছেন ‘সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে হেনস্তা করার ঘটনায় যে ৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তাদের একজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী।’
এ ধরনের ঘটনায় সেনাবাহিনী ‘সব সময় সোচ্চার’ বলে মন্তব্য করেন এই সেনা কর্মকর্তা।
নির্বাচন প্রসঙ্গ
সেনাসদরের সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল শফিকুল ইসলাম দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত বছর জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র লুট হয়, যার ৮০ শতাংশ এরইমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই সময় প্রায় ১২ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজারের বেশি অস্ত্র শুধু সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। আগামী নির্বাচনের পূর্বে যতদূর সম্ভব বাকি অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনী তৎপর রয়েছে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গও সংবাদ সম্মেলনে আসে। সেনাবাহিনী কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। পাওয়ামাত্র অবাধ, সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।’