কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় জনতার গণপিটুনিতে এক মা ও তার দুই সন্তান নিহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সকালে, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কড়ইবাড়ি গ্রামে। ঘটনার পর তা সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
নিহত নারীর আরেক মেয়ে গুরুতর আহত
পরিবারটির বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের কথা
বলছে পুলিশ
নিহতরা হলেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৭)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (৩০), যিনি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন নিহতদের বাড়ি ঘেরাও করে। এরপর উত্তেজিত জনতা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন, একজন গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নিহতের পরিবারের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্ট একাধিক অভিযোগ ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে এবং তদন্ত চলছে।’
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
স্থানীয়দের দাবি, নিহত পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিল। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ দেয়া হলেও কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে জমে ছিল। সম্প্রতি একই উপজেলার একটি গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের পর
ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটনার একদিন পর ভিডিওটি ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এ ঘটনার পর পুলিশ প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। আরও চারজনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় জনতার গণপিটুনিতে এক মা ও তার দুই সন্তান নিহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সকালে, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কড়ইবাড়ি গ্রামে। ঘটনার পর তা সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
নিহত নারীর আরেক মেয়ে গুরুতর আহত
পরিবারটির বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের কথা
বলছে পুলিশ
নিহতরা হলেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৭)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (৩০), যিনি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন নিহতদের বাড়ি ঘেরাও করে। এরপর উত্তেজিত জনতা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন, একজন গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নিহতের পরিবারের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্ট একাধিক অভিযোগ ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে এবং তদন্ত চলছে।’
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
স্থানীয়দের দাবি, নিহত পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিল। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ দেয়া হলেও কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে জমে ছিল। সম্প্রতি একই উপজেলার একটি গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের পর
ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটনার একদিন পর ভিডিওটি ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এ ঘটনার পর পুলিশ প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। আরও চারজনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।