ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় টেলিকম নেটওয়ার্ক নীতিমালা প্রণয়নের পক্ষে নয় বিএনপি। গ্রামীণ জনগণের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তড়িঘড়ি করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া টেলিকম খাতের টেকসই উন্নয়নে বাধা হতে পারে বলে মনে করে দলটি। টেলিকম নীতিমালার খসড়ায় গুরুতর সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে একতরফাভাবে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা সমীচীন হবে না।’
বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খসড়া নীতিমালায় থাকা সমস্যাগুলো টেলিকম খাতে সমতাভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়নে বাধা হতে পারে। এটি বাজারে একচেটিয়া আধিপত্যের ঝুঁকি তৈরি করবে। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আর্থিক সংকটে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।’
টেলিকম খাতের খসড়া নীতিমালায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মালিকানার সীমা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে যা বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত ও এই খাতের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সরকারের এমন সব পদক্ষেপ নেয়া উচিত, যা দেশ ও জনগণের কল্যাণ বয়ে আনে।’ আগামীর রাজনীতি ও গণতন্ত্র উত্তরণের পথ যাতে মসৃণ রাখা যায়, সতর্কতার সঙ্গে সেই পথেই বিএনপি হাঁটছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর সাম্প্রতিক ‘ড্রাফট টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি ২০২৫’ উদ্যোগের বিষয়টি বিএনপির দৃষ্টিগোচর হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও আমরা এই মুহূর্তে এ ধরনের একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছি।’
এই গুরুত্বপূর্ণ নীতি বাস্তবায়নের আগে পূর্ণাঙ্গ আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের (এসএমই, বিশেষজ্ঞ, ভোক্তা সংগঠন) সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক আলোচনা করে নীতিমালা চূড়ান্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
বড় মোবাইল কোম্পানিকে সুযোগ করে দিতে টেলিকম নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বড় মোবাইল অপারেটর ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সুবিধা পেলেও দেশের জনগণ এই নীতিমালার সুফল পাবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় টেলিকম নেটওয়ার্ক নীতিমালা প্রণয়নের পক্ষে নয় বিএনপি। গ্রামীণ জনগণের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তড়িঘড়ি করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া টেলিকম খাতের টেকসই উন্নয়নে বাধা হতে পারে বলে মনে করে দলটি। টেলিকম নীতিমালার খসড়ায় গুরুতর সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে একতরফাভাবে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা সমীচীন হবে না।’
বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খসড়া নীতিমালায় থাকা সমস্যাগুলো টেলিকম খাতে সমতাভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়নে বাধা হতে পারে। এটি বাজারে একচেটিয়া আধিপত্যের ঝুঁকি তৈরি করবে। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আর্থিক সংকটে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।’
টেলিকম খাতের খসড়া নীতিমালায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মালিকানার সীমা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে যা বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত ও এই খাতের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সরকারের এমন সব পদক্ষেপ নেয়া উচিত, যা দেশ ও জনগণের কল্যাণ বয়ে আনে।’ আগামীর রাজনীতি ও গণতন্ত্র উত্তরণের পথ যাতে মসৃণ রাখা যায়, সতর্কতার সঙ্গে সেই পথেই বিএনপি হাঁটছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর সাম্প্রতিক ‘ড্রাফট টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি ২০২৫’ উদ্যোগের বিষয়টি বিএনপির দৃষ্টিগোচর হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও আমরা এই মুহূর্তে এ ধরনের একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছি।’
এই গুরুত্বপূর্ণ নীতি বাস্তবায়নের আগে পূর্ণাঙ্গ আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের (এসএমই, বিশেষজ্ঞ, ভোক্তা সংগঠন) সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক আলোচনা করে নীতিমালা চূড়ান্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
বড় মোবাইল কোম্পানিকে সুযোগ করে দিতে টেলিকম নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বড় মোবাইল অপারেটর ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সুবিধা পেলেও দেশের জনগণ এই নীতিমালার সুফল পাবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।