জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কমিশনারসহ আরও ৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তথ্যানুসন্ধান শুরুর কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তারা হলেন- ঢাকা পূর্বের কমিশনার (কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট) কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থল বন্দরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, উপ-কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট) সেহেলা সিদ্দিকা এবং কর অঞ্চল-২ এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ।
তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধান শুরুর কথা বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সাংবাদিকদের জানান দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম। গতমাসে এনবিআরে সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আন্দোলন শুরু হয়। এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে ওই আন্দোলনে এই ৫ জনের অংশগ্রহণ ছিল। সেহেলা সিদ্দিকা ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে গত রোববার ও মঙ্গলবার মোট ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধান শুরুর কথা বলেছিল দুদক। ওই ১১ জনের অনেকেই এনবিআরের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির ‘নেতৃত্বে’ ছিলেন। দুদকের নথিতে বলা হয়, ‘কতিপয় অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
‘এক্ষেত্রে প্রতিবছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিককে হয়রানি করেন বলে জানা যায়।’ এনবিআরের চেয়ারম্যানের অপরসারণ দাবিতে এক সপ্তাহের কলমবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ও সর্বশেষ দুই দিনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালনের পর গত সোমবার থেকে কাজে ফেরেন আন্দোলনকারীরা।
এনবিআরে টানা আন্দোলনের মধ্যে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ দ্বিতীয় দিন গত রোববার নড়েচড়ে বসে সরকার। এনবিআরের সেবা ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করে আন্দোলনরতদের কাজে যোগ দিতে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এর মধ্যেই আন্দোলনরত ৬ এনবিআর কর্মকর্তার ‘দুর্নীতির’ তথ্যানুসন্ধান শুরুর তথ্য দেয় দুদক। আর সংকট সমাধানে পাঁচ উপদেষ্টাকে নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করার কথা জানায় সরকার।
দিনভর নানা নাটকীয়তার মধ্যে পরে ব্যবসায়ীদের বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন অর্থ উপদেষ্টা। সেখানেই মেলে সমাধানের সূত্র। ওই বৈঠকে ‘ইতিবাচক আশ্বাসের’ ভিত্তিতে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের মধ্যস্থতায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ শাটডাউন কর্মসূচি তুলে নেয়। পরদিন কাজে ফেরেন এনবিআরের কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কমিশনারসহ আরও ৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তথ্যানুসন্ধান শুরুর কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তারা হলেন- ঢাকা পূর্বের কমিশনার (কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট) কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থল বন্দরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, উপ-কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট) সেহেলা সিদ্দিকা এবং কর অঞ্চল-২ এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ।
তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধান শুরুর কথা বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সাংবাদিকদের জানান দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম। গতমাসে এনবিআরে সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আন্দোলন শুরু হয়। এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে ওই আন্দোলনে এই ৫ জনের অংশগ্রহণ ছিল। সেহেলা সিদ্দিকা ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে গত রোববার ও মঙ্গলবার মোট ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধান শুরুর কথা বলেছিল দুদক। ওই ১১ জনের অনেকেই এনবিআরের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির ‘নেতৃত্বে’ ছিলেন। দুদকের নথিতে বলা হয়, ‘কতিপয় অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
‘এক্ষেত্রে প্রতিবছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিককে হয়রানি করেন বলে জানা যায়।’ এনবিআরের চেয়ারম্যানের অপরসারণ দাবিতে এক সপ্তাহের কলমবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ও সর্বশেষ দুই দিনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালনের পর গত সোমবার থেকে কাজে ফেরেন আন্দোলনকারীরা।
এনবিআরে টানা আন্দোলনের মধ্যে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ দ্বিতীয় দিন গত রোববার নড়েচড়ে বসে সরকার। এনবিআরের সেবা ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করে আন্দোলনরতদের কাজে যোগ দিতে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এর মধ্যেই আন্দোলনরত ৬ এনবিআর কর্মকর্তার ‘দুর্নীতির’ তথ্যানুসন্ধান শুরুর তথ্য দেয় দুদক। আর সংকট সমাধানে পাঁচ উপদেষ্টাকে নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করার কথা জানায় সরকার।
দিনভর নানা নাটকীয়তার মধ্যে পরে ব্যবসায়ীদের বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন অর্থ উপদেষ্টা। সেখানেই মেলে সমাধানের সূত্র। ওই বৈঠকে ‘ইতিবাচক আশ্বাসের’ ভিত্তিতে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের মধ্যস্থতায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ শাটডাউন কর্মসূচি তুলে নেয়। পরদিন কাজে ফেরেন এনবিআরের কর্মীরা।