রাজধানীর কলাবাগান থানার সাবেক ওসি মোক্তারুজ্জামান ও দুই এসআই এর বিরুদ্ধে এক কোটি টাকা ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেয়। অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক এসআই বেলাল হোসেন ও আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট আব্দুল ওয়াদুদের কাছে কোটি টাকা চাঁদা দাবি এবং দুই লাখ টাকা অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত ২২ জুন আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। সেখানে ওসি ও দুই এসআই এর নাম দিয়ে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। আদালত আব্দুল ওয়াদুদের জবানবন্দি গ্রহণ করে ৩০ জুন আদেশের জন্য রাখেন। ওইদিন আদেশ না দিয়ে গতকাল বুধবার দিন রাখেন।
কলাবাগান থানাধীন সোনারগাঁ রোডের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াদুদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২৯ এপ্রিল রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানার এসআই বেলালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ও ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘ ৬ ঘণ্টাব্যাপী আইন বহির্ভূত অভিযানটি বাড়ির পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখভাল করেন কলাবাগান থানার ওসি।
তিনি ডিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ করার পর ওসির সঙ্গে একই থানার এসআই বেলাল ও মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাসুদ আলম জানান। গত ৫ মে মাসুদ আলম বলেন, ‘একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি সদর দপ্তর। এর প্রেক্ষিতে প্রথমে ওসি ও দুই এসআইকে প্রত্যাহার করে রমনা বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। পরে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি সদর দপ্তর। এর প্রেক্ষিতে প্রথমে ওসি ও দুই এসআইকে প্রত্যাহার করে রমনা বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। পরে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মাসুদ আলম।
আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন। পরে তিনি মামলার অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, ২৯ এপ্রিল গভীর রাতে কলাবাগান থানার ‘পুলিশের সহযোগিতায়’ একদল সন্ত্রাসী আব্দুল ওয়াদুদের বাসায় ঢুকে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দুই লাখ টাকা নিয়ে যায়। বাদবাকি টাকা দিতে না পারলে দশটি মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় তারা। সন্ত্রাসীরা বাড়ির আসবাব ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। বিশেষ করে গবেষণার জন্য সংগ্রহ করা ২০ জোড়া দুর্লভ পাখি নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য আড়াই কোটি টাকা। হরিণ ধরার চেষ্টা করলে একটি গর্ভবতী হরিণ মারা যায়।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর কলাবাগান থানার সাবেক ওসি মোক্তারুজ্জামান ও দুই এসআই এর বিরুদ্ধে এক কোটি টাকা ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেয়। অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক এসআই বেলাল হোসেন ও আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট আব্দুল ওয়াদুদের কাছে কোটি টাকা চাঁদা দাবি এবং দুই লাখ টাকা অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত ২২ জুন আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। সেখানে ওসি ও দুই এসআই এর নাম দিয়ে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। আদালত আব্দুল ওয়াদুদের জবানবন্দি গ্রহণ করে ৩০ জুন আদেশের জন্য রাখেন। ওইদিন আদেশ না দিয়ে গতকাল বুধবার দিন রাখেন।
কলাবাগান থানাধীন সোনারগাঁ রোডের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াদুদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২৯ এপ্রিল রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানার এসআই বেলালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ও ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘ ৬ ঘণ্টাব্যাপী আইন বহির্ভূত অভিযানটি বাড়ির পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখভাল করেন কলাবাগান থানার ওসি।
তিনি ডিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ করার পর ওসির সঙ্গে একই থানার এসআই বেলাল ও মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাসুদ আলম জানান। গত ৫ মে মাসুদ আলম বলেন, ‘একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি সদর দপ্তর। এর প্রেক্ষিতে প্রথমে ওসি ও দুই এসআইকে প্রত্যাহার করে রমনা বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। পরে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি সদর দপ্তর। এর প্রেক্ষিতে প্রথমে ওসি ও দুই এসআইকে প্রত্যাহার করে রমনা বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। পরে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মাসুদ আলম।
আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন। পরে তিনি মামলার অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, ২৯ এপ্রিল গভীর রাতে কলাবাগান থানার ‘পুলিশের সহযোগিতায়’ একদল সন্ত্রাসী আব্দুল ওয়াদুদের বাসায় ঢুকে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দুই লাখ টাকা নিয়ে যায়। বাদবাকি টাকা দিতে না পারলে দশটি মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় তারা। সন্ত্রাসীরা বাড়ির আসবাব ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। বিশেষ করে গবেষণার জন্য সংগ্রহ করা ২০ জোড়া দুর্লভ পাখি নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য আড়াই কোটি টাকা। হরিণ ধরার চেষ্টা করলে একটি গর্ভবতী হরিণ মারা যায়।