পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে-ওসি
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) কমান্ডারসহ দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় সেনাবাহিনী তিনটি এসএমজি, একটি রাইফেলসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযান চলমান রয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ভোর ৫টার দিকে রুমা উপজেলার পলিপাংসা-মুলফিপাড়া এলাকায় কেএনএফের সশস্ত্রদলের বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালায়। অভিযানে সেনাবাহিনী তল্লাশি চালানোর সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দলটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কেএনএফ সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থল থেকে ইউনিফর্ম পরিহিত দুইজন সশস্ত্র কেএনএফ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহত ২ জনের মধ্যে একজনের নাম পুটিং/ডল। যিনি কেএনএফের নেতৃত্ব পর্যায়ে মেজর পদবীর সশস্ত্র সদস্য ছিলেন। নিহত আরেকজন কেএনএফের সশস্ত্র শাখার সদস্য ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযান শেষে অস্ত্র, গোলাবারুদ ছাড়াও কেএনএফের ব্যবহৃত ইউনিফর্ম ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে এ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের সময় সেনাবাহিনী ও কেএনএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অভিযান শেষে তল্লাশি করে ২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরও অভিযান অব্যাহত আছে।
রুমা থানার ওসি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দ্দী বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে চাইনিজ রাইফেল, ৬টা ম্যাগজিনসহ অনেক গোলাবারুদ্ধ উদ্ধার হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। বিগত বছরগুলোতে কেএনএফের সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের জন্য বম জনগোষ্ঠীর অনেক পরিবার বাস্তচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সেনাবাহিনীর অভিযানে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
ফলে ১৩৮টি পরিবার তাদের নিজ নিজ পাড়ায় ফিরে এসেছে। আবার অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও পুনবার্সনে সবার্ত্মক সহযোগীতা করছে।
পাহাড়িরা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে চেনে ‘বম পার্টি’ নামে। সংগঠনটি ‘কুকি-চিন রাজ্যে’ নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চায়; যেখানে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরারা থাকবে না; থাকবে বম, খিয়াং, পাংখুয়া, লুসাই, খুমি ও ম্রোরা।
কেএনএফ ও কেএনএর বিরুদ্ধে অভিযানের মুখে বিভিন্ন সময় বম সম্প্রদায়ের প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি ভারতের মিজোরাম ও বনজঙ্গলে আশ্রয় নেন। বমদের সামাজিক সংগঠন বম সোশ্যাল কাউন্সিল ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় সম্প্রতি তারা ভিটেমাটিতে ফিরতে শুরু করেছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতে দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে-ওসি
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) কমান্ডারসহ দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় সেনাবাহিনী তিনটি এসএমজি, একটি রাইফেলসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযান চলমান রয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ভোর ৫টার দিকে রুমা উপজেলার পলিপাংসা-মুলফিপাড়া এলাকায় কেএনএফের সশস্ত্রদলের বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালায়। অভিযানে সেনাবাহিনী তল্লাশি চালানোর সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দলটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কেএনএফ সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থল থেকে ইউনিফর্ম পরিহিত দুইজন সশস্ত্র কেএনএফ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহত ২ জনের মধ্যে একজনের নাম পুটিং/ডল। যিনি কেএনএফের নেতৃত্ব পর্যায়ে মেজর পদবীর সশস্ত্র সদস্য ছিলেন। নিহত আরেকজন কেএনএফের সশস্ত্র শাখার সদস্য ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযান শেষে অস্ত্র, গোলাবারুদ ছাড়াও কেএনএফের ব্যবহৃত ইউনিফর্ম ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে এ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের সময় সেনাবাহিনী ও কেএনএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অভিযান শেষে তল্লাশি করে ২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরও অভিযান অব্যাহত আছে।
রুমা থানার ওসি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দ্দী বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে চাইনিজ রাইফেল, ৬টা ম্যাগজিনসহ অনেক গোলাবারুদ্ধ উদ্ধার হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। বিগত বছরগুলোতে কেএনএফের সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের জন্য বম জনগোষ্ঠীর অনেক পরিবার বাস্তচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সেনাবাহিনীর অভিযানে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
ফলে ১৩৮টি পরিবার তাদের নিজ নিজ পাড়ায় ফিরে এসেছে। আবার অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও পুনবার্সনে সবার্ত্মক সহযোগীতা করছে।
পাহাড়িরা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে চেনে ‘বম পার্টি’ নামে। সংগঠনটি ‘কুকি-চিন রাজ্যে’ নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চায়; যেখানে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরারা থাকবে না; থাকবে বম, খিয়াং, পাংখুয়া, লুসাই, খুমি ও ম্রোরা।
কেএনএফ ও কেএনএর বিরুদ্ধে অভিযানের মুখে বিভিন্ন সময় বম সম্প্রদায়ের প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি ভারতের মিজোরাম ও বনজঙ্গলে আশ্রয় নেন। বমদের সামাজিক সংগঠন বম সোশ্যাল কাউন্সিল ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় সম্প্রতি তারা ভিটেমাটিতে ফিরতে শুরু করেছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতে দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।