বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিকম খাতের খসড়া নীতিমালাকে কেন্দ্র করে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সেটি পুরনো খসড়ার ভিত্তিতে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, নতুন খসড়ায় বিএনপির আশঙ্কাগুলোর সমাধান রয়েছে এবং এটি আরও আধুনিক ও সুষম কাঠামো নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি-২০২৫’-এর খসড়া স্থানীয় ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা, বিশেষ করে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং বাজারে একচেটিয়াভাবে বড় কোম্পানির আধিপত্য তৈরি করতে পারে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক অডিও বার্তায় ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “বিএনপি যে খসড়ার কথা বলছে, সেটি বিটিআরসি থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পুরনো খসড়া। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি নতুন একটি খসড়া তৈরি করেছে, যেখানে এসএমই, আইএসপি এবং গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হয়েছে।”
ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, “নতুন খসড়ায় এসএমইদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। আইএসপিদের পুরোপুরি ডি-রেগুলেট করার পরিকল্পনা থাকলেও তাদের অনুরোধে ‘লাইট টাচ লাইসেন্সিং’ কাঠামো রাখা হয়েছে, যাতে তারা ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে পারে।”
বিএনপি মহাসচিবের বিদেশি মালিকানার অস্পষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে তৈয়্যব বলেন, “আমরা প্রত্যেক লেয়ারে মালিকানার সীমা নির্ধারণ করেছি। যেমন, আন্তর্জাতিক স্তরে সর্বোচ্চ ৪৯%, জাতীয় স্তরে ৫৫-৬০% মালিকানা সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমনকি যেসব অপারেটর শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন, তারাও ৮০ শতাংশের বেশি মালিকানা রাখতে পারবে না—এমন সীমা নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে।”
বিদ্যমান কাঠামোর মধ্যস্তরে থাকা আইআইজি, আইসিএক্স, আইজিডব্লিউ, এনটিটিএন প্রভৃতি কোম্পানি নতুন কাঠামো থেকে বাদ পড়ছে। এ বিষয়ে তৈয়্যব বলেন, “এরা সামান্য বিনিয়োগে বিপুল অর্থ আয় করছে, কিন্তু সেবায় তেমন ভ্যালু অ্যাড করে না। এসব স্তর বাদ দিয়ে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের একটি স্ট্রাকচার গড়ার লক্ষ্যেই আমরা সংস্কার করছি।”
তৈয়্যবের মতে, বিএনপি যে খসড়ার ভিত্তিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, সেটি প্রাথমিক পর্যায়ের এবং পরবর্তীতে সংশোধিত হয়েছে। বর্তমানে মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় রয়েছে এবং দেশি-বিদেশি সব পক্ষের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়াও চলছে।
তৈয়্যব বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য একটি বিশ্বমানের, আধুনিক, উন্মুক্ত ও সুষম টেলিকম নীতিমালা তৈরি করা, যা সব স্টেকহোল্ডারদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে। আর কোনো পক্ষকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।”
তিনি আরও বলেন, টেলিকম খাতে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য গতানুগতিক কাঠামোর পরিবর্তন সময়ের দাবি, এবং সেটি বাস্তবায়নেই সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিকম খাতের খসড়া নীতিমালাকে কেন্দ্র করে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সেটি পুরনো খসড়ার ভিত্তিতে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, নতুন খসড়ায় বিএনপির আশঙ্কাগুলোর সমাধান রয়েছে এবং এটি আরও আধুনিক ও সুষম কাঠামো নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি-২০২৫’-এর খসড়া স্থানীয় ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা, বিশেষ করে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং বাজারে একচেটিয়াভাবে বড় কোম্পানির আধিপত্য তৈরি করতে পারে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক অডিও বার্তায় ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “বিএনপি যে খসড়ার কথা বলছে, সেটি বিটিআরসি থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পুরনো খসড়া। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি নতুন একটি খসড়া তৈরি করেছে, যেখানে এসএমই, আইএসপি এবং গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হয়েছে।”
ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, “নতুন খসড়ায় এসএমইদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। আইএসপিদের পুরোপুরি ডি-রেগুলেট করার পরিকল্পনা থাকলেও তাদের অনুরোধে ‘লাইট টাচ লাইসেন্সিং’ কাঠামো রাখা হয়েছে, যাতে তারা ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে পারে।”
বিএনপি মহাসচিবের বিদেশি মালিকানার অস্পষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে তৈয়্যব বলেন, “আমরা প্রত্যেক লেয়ারে মালিকানার সীমা নির্ধারণ করেছি। যেমন, আন্তর্জাতিক স্তরে সর্বোচ্চ ৪৯%, জাতীয় স্তরে ৫৫-৬০% মালিকানা সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমনকি যেসব অপারেটর শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন, তারাও ৮০ শতাংশের বেশি মালিকানা রাখতে পারবে না—এমন সীমা নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে।”
বিদ্যমান কাঠামোর মধ্যস্তরে থাকা আইআইজি, আইসিএক্স, আইজিডব্লিউ, এনটিটিএন প্রভৃতি কোম্পানি নতুন কাঠামো থেকে বাদ পড়ছে। এ বিষয়ে তৈয়্যব বলেন, “এরা সামান্য বিনিয়োগে বিপুল অর্থ আয় করছে, কিন্তু সেবায় তেমন ভ্যালু অ্যাড করে না। এসব স্তর বাদ দিয়ে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের একটি স্ট্রাকচার গড়ার লক্ষ্যেই আমরা সংস্কার করছি।”
তৈয়্যবের মতে, বিএনপি যে খসড়ার ভিত্তিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, সেটি প্রাথমিক পর্যায়ের এবং পরবর্তীতে সংশোধিত হয়েছে। বর্তমানে মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় রয়েছে এবং দেশি-বিদেশি সব পক্ষের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়াও চলছে।
তৈয়্যব বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য একটি বিশ্বমানের, আধুনিক, উন্মুক্ত ও সুষম টেলিকম নীতিমালা তৈরি করা, যা সব স্টেকহোল্ডারদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে। আর কোনো পক্ষকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।”
তিনি আরও বলেন, টেলিকম খাতে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য গতানুগতিক কাঠামোর পরিবর্তন সময়ের দাবি, এবং সেটি বাস্তবায়নেই সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।