জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো তিন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরার পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। শুক্রবার তারা দেশে আসার পর তাদের হেফাজতে নেয় এটিইউ।
এটিইউ প্রধান ডিআইজি আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, “তিনজনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।” তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মামলা হয়েছে, আর ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে এই তিনজন রয়েছে।
মালয়েশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সিরিয়া ও বাংলাদেশে আইএস সংশ্লিষ্ট সেলগুলোকে অর্থ পাঠাতো এবং সামাজিক মাধ্যমে উগ্রবাদী মতাদর্শ ছড়াত।
মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল বলেন, “এই গোষ্ঠী ‘গেরাকান মিলিটান র্যাডিকাল বাংলাদেশ’ (জিএমআরবি) নামে পরিচিত। হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে সদস্য নিয়োগ এবং উগ্রবাদ প্রচার করত। প্রতি সদস্যকে বছরে ৫০০ রিংগিত করে চাঁদা দিতে হতো।”
তিনি আরও বলেন, এই চক্র আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার ও ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে সিরিয়া ও বাংলাদেশে আইএসের জন্য অর্থ পাঠাত। তবে এখনো তদন্ত চলছে যে তারা আসলে ঠিক কত অর্থ সংগ্রহ করেছিল।
মালয়েশিয়া বলছে, যাদের সম্পৃক্ততা কম তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে এবং যাদের সংশ্লিষ্টতা বেশি, তাদের বিরুদ্ধে দেশটির প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “তাদের সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে আটক করা হয়েছে। আমরা মালয়েশিয়া সরকারের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। দেশে ফেরত পাঠানোদের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখবে, কারা জড়িত, কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না।”
তিনি আরও বলেন, “যে কোনো নেতিবাচক ঘটনা বিদেশে ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সঠিক ব্যবস্থা নিলে সেই প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব।”
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো তিন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরার পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। শুক্রবার তারা দেশে আসার পর তাদের হেফাজতে নেয় এটিইউ।
এটিইউ প্রধান ডিআইজি আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, “তিনজনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।” তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মামলা হয়েছে, আর ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে এই তিনজন রয়েছে।
মালয়েশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সিরিয়া ও বাংলাদেশে আইএস সংশ্লিষ্ট সেলগুলোকে অর্থ পাঠাতো এবং সামাজিক মাধ্যমে উগ্রবাদী মতাদর্শ ছড়াত।
মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল বলেন, “এই গোষ্ঠী ‘গেরাকান মিলিটান র্যাডিকাল বাংলাদেশ’ (জিএমআরবি) নামে পরিচিত। হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে সদস্য নিয়োগ এবং উগ্রবাদ প্রচার করত। প্রতি সদস্যকে বছরে ৫০০ রিংগিত করে চাঁদা দিতে হতো।”
তিনি আরও বলেন, এই চক্র আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার ও ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে সিরিয়া ও বাংলাদেশে আইএসের জন্য অর্থ পাঠাত। তবে এখনো তদন্ত চলছে যে তারা আসলে ঠিক কত অর্থ সংগ্রহ করেছিল।
মালয়েশিয়া বলছে, যাদের সম্পৃক্ততা কম তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে এবং যাদের সংশ্লিষ্টতা বেশি, তাদের বিরুদ্ধে দেশটির প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “তাদের সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে আটক করা হয়েছে। আমরা মালয়েশিয়া সরকারের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। দেশে ফেরত পাঠানোদের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখবে, কারা জড়িত, কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না।”
তিনি আরও বলেন, “যে কোনো নেতিবাচক ঘটনা বিদেশে ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সঠিক ব্যবস্থা নিলে সেই প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব।”