সংস্কারকে সংসদে ঠেলে দেয়া হচ্ছে: এনসিপির আখতার, সব বিষয়ে একমত হওয়ার বিষয় নেই: আলী রীয়াজ
সুবিচার নিশ্চিত করতে উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে জরুরি আইনকে যেন ব্যবহার না করা হয়, সে ব্যাপারেও একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। সোমবার,(০৭ জুলাই ২০২৫) ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দশম দিনের আলোচনা (সংলাপ) শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান সংবিধানে জরুরি অবস্থা জারির যে বিধান রয়েছে, তা ভয়াবহভাবে নাগরিক অধিকারকে সংকুচিত করে এবং আদালতের ক্ষমতাও এক রকম স্থবির করে দেয়। এ কারণে সংবিধানের ১৪১ (ক), (খ), (গ) অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৬০ দিনের বেশি করা যাবে না। সেই সময়ও সংবিধান-নিশ্চিত নাগরিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই নাগরিকদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার খর্ব করা যাবে না।
আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বিএনপি। তবে তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা চলাকালে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি বিস্তর। বিএনপি মনে করে, এই বিস্তারিত আলোচনা পরবর্তী নির্বাচিত জাতীয় সংসদে হওয়া উচিত।
এনসিপির অভিযোগ
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভিযোগ সংস্কার ব্যবস্থাকে সংসদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ তুলে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আমরা চাই এই সরকারের আমলেই সংস্কার বাস্তবায়ন হোক। গণপরিষদ নির্বাচন দিতে হবে।
ব্রিফিংয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, তিনটি বিষয়ের মধ্যে একটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে অধস্তন আদালত গঠন করায় একমত হওয়া গেছে, এছাড়া চৌকিগুলো স্থায়ী আদালত করা হবে।
জামায়াতের বিরোধিতা
জরুরি অবস্থা নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৪১ এর ক খ গ তে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ, বহিঃশত্রু আক্রমণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বলা আছে। তবে ৫ বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়েছে, যা ছিল রাজনৈতিক কারণ। এমন অপব্যবহার যেন না হয় সেটার বিষয় কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাব করা হয়েছে মন্ত্রিসভায় লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে জামায়াত। সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে কথা হয়েছে।’
সুবিচার
ব্রিফিংয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, নাগরিকের কাছে সুবিচার পৌঁছে দেয়ার জন্য উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, তবে দল ও জোটগুলো অধস্তন আদালত সম্প্রসারণের জন্য কিছু বিষয় বিবেচনায় নেয়ার জন্য প্রয়োজন মনে করে। দলগুলো মনে করে, যেসব উপজেলা জেলা সদরে অবস্থিত অর্থাৎ সদর উপজেলা, সেসব উপজেলা জেলা জজকোর্টের অধীন করে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। বিদ্যমান চৌকি আদালত দীপাঞ্চল ও এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত উপজেলা আদালত বহাল রেখে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। জেলা সদরের কাছাকাছি উপজেলাসমূহ প্রয়োজন নেই, এজন্য প্রয়োজনীয় জরিপ করতে হবে। অবশিষ্ট যেসব উপজেলা থাকবে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী যাতায়াত সুবিধা, অর্থনৈতিক অবস্থা ও মামলার সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আদালত স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে।’
বিএনপির অবস্থান পরিবর্তন
উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ১৯৯১ সালে জাতীয় মনোভাবের সঙ্গে একমত হয়ে বিএনপি উপজেলা পর্যায়ে থাকা আদালত তুলে দেয়। তবে আগের অবস্থান পরিবর্তন করে নতুন করে উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণের প্রস্তাবে একমত হয়েছে বিএনপি। তিনি বলেন, ‘৩৫ বছর
আগের সেই সিদ্ধান্তে কোনো আপত্তি জাতীয়ভাবে আসেনি। বিভিন্ন চৌকি আদালত ও দ্বীপাঞ্চল মিলিয়ে বর্তমানে যে ৬৭টি আদালত আছে, সেটাও তখনকার সিদ্ধান্তে। কিন্তু সময় পরিবর্তিত হয়েছে। আমরা একটা সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। জাতির নতুন চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিবেচনায় বিএনপি নতুন করে এ প্রস্তাবে একমত হয়েছে।’
সার্বিকভাবে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় দুটি প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আদালত সম্প্রসারণ প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কয়েকটি সংযুক্তি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি হাইকোর্টের সঙ্গেও আলোচনার জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছি।’
*চাপিয়ে দিচ্ছি না*
সোমবার সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, দলগুলোর সঙ্গে আলাদা বৈঠকের সময় সুস্পষ্টভাবে বলেছি কমিশন কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। সব বিষয়ে একমত হওয়ার কোনো বিষয় নেই। আমরা সব বিষয়ে একমত হব না।’
ঐকমত্যের আলোচনা শেষ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ের স্বল্পতা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোরও নিজস্ব কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ, যত বেশি সম্ভব আলোচনায় অংশ নিয়ে অমীমাংসিত আলোচনা সম্পন্ন করবেন।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সোমবারের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া।
সংস্কারকে সংসদে ঠেলে দেয়া হচ্ছে: এনসিপির আখতার, সব বিষয়ে একমত হওয়ার বিষয় নেই: আলী রীয়াজ
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
সুবিচার নিশ্চিত করতে উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে জরুরি আইনকে যেন ব্যবহার না করা হয়, সে ব্যাপারেও একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। সোমবার,(০৭ জুলাই ২০২৫) ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দশম দিনের আলোচনা (সংলাপ) শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান সংবিধানে জরুরি অবস্থা জারির যে বিধান রয়েছে, তা ভয়াবহভাবে নাগরিক অধিকারকে সংকুচিত করে এবং আদালতের ক্ষমতাও এক রকম স্থবির করে দেয়। এ কারণে সংবিধানের ১৪১ (ক), (খ), (গ) অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৬০ দিনের বেশি করা যাবে না। সেই সময়ও সংবিধান-নিশ্চিত নাগরিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই নাগরিকদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার খর্ব করা যাবে না।
আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বিএনপি। তবে তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা চলাকালে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি বিস্তর। বিএনপি মনে করে, এই বিস্তারিত আলোচনা পরবর্তী নির্বাচিত জাতীয় সংসদে হওয়া উচিত।
এনসিপির অভিযোগ
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভিযোগ সংস্কার ব্যবস্থাকে সংসদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ তুলে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আমরা চাই এই সরকারের আমলেই সংস্কার বাস্তবায়ন হোক। গণপরিষদ নির্বাচন দিতে হবে।
ব্রিফিংয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, তিনটি বিষয়ের মধ্যে একটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে অধস্তন আদালত গঠন করায় একমত হওয়া গেছে, এছাড়া চৌকিগুলো স্থায়ী আদালত করা হবে।
জামায়াতের বিরোধিতা
জরুরি অবস্থা নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৪১ এর ক খ গ তে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ, বহিঃশত্রু আক্রমণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বলা আছে। তবে ৫ বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়েছে, যা ছিল রাজনৈতিক কারণ। এমন অপব্যবহার যেন না হয় সেটার বিষয় কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাব করা হয়েছে মন্ত্রিসভায় লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে জামায়াত। সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে কথা হয়েছে।’
সুবিচার
ব্রিফিংয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, নাগরিকের কাছে সুবিচার পৌঁছে দেয়ার জন্য উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, তবে দল ও জোটগুলো অধস্তন আদালত সম্প্রসারণের জন্য কিছু বিষয় বিবেচনায় নেয়ার জন্য প্রয়োজন মনে করে। দলগুলো মনে করে, যেসব উপজেলা জেলা সদরে অবস্থিত অর্থাৎ সদর উপজেলা, সেসব উপজেলা জেলা জজকোর্টের অধীন করে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। বিদ্যমান চৌকি আদালত দীপাঞ্চল ও এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত উপজেলা আদালত বহাল রেখে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। জেলা সদরের কাছাকাছি উপজেলাসমূহ প্রয়োজন নেই, এজন্য প্রয়োজনীয় জরিপ করতে হবে। অবশিষ্ট যেসব উপজেলা থাকবে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী যাতায়াত সুবিধা, অর্থনৈতিক অবস্থা ও মামলার সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আদালত স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে।’
বিএনপির অবস্থান পরিবর্তন
উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ১৯৯১ সালে জাতীয় মনোভাবের সঙ্গে একমত হয়ে বিএনপি উপজেলা পর্যায়ে থাকা আদালত তুলে দেয়। তবে আগের অবস্থান পরিবর্তন করে নতুন করে উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণের প্রস্তাবে একমত হয়েছে বিএনপি। তিনি বলেন, ‘৩৫ বছর
আগের সেই সিদ্ধান্তে কোনো আপত্তি জাতীয়ভাবে আসেনি। বিভিন্ন চৌকি আদালত ও দ্বীপাঞ্চল মিলিয়ে বর্তমানে যে ৬৭টি আদালত আছে, সেটাও তখনকার সিদ্ধান্তে। কিন্তু সময় পরিবর্তিত হয়েছে। আমরা একটা সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। জাতির নতুন চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিবেচনায় বিএনপি নতুন করে এ প্রস্তাবে একমত হয়েছে।’
সার্বিকভাবে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় দুটি প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আদালত সম্প্রসারণ প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কয়েকটি সংযুক্তি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি হাইকোর্টের সঙ্গেও আলোচনার জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছি।’
*চাপিয়ে দিচ্ছি না*
সোমবার সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, দলগুলোর সঙ্গে আলাদা বৈঠকের সময় সুস্পষ্টভাবে বলেছি কমিশন কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। সব বিষয়ে একমত হওয়ার কোনো বিষয় নেই। আমরা সব বিষয়ে একমত হব না।’
ঐকমত্যের আলোচনা শেষ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ের স্বল্পতা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোরও নিজস্ব কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ, যত বেশি সম্ভব আলোচনায় অংশ নিয়ে অমীমাংসিত আলোচনা সম্পন্ন করবেন।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সোমবারের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া।